শিবগঞ্জ আ.লীগে চলছে পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠন
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের হাবিবপুর উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে গত বুধবার বিকেলে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীরা জড়ো হয়েছেন। উদ্দেশ্য: ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা। একসময় উপজেলা সদর থেকে নেতারা এলেন।
নতুন নেতা নির্বাচন করলেন।
একই সময়ে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে একই ইউনিয়নের জগন্নাথপুরেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা জড়ো হয়েছেন। তাঁরাও এসেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির নেতা নির্বাচন করতে। উপজেলা সদরের আরেক দল নেতা এলেন। সেখানেও নতুন নেতৃত্ব গঠন করা হলো।
এক ইউনিয়নে একই সময়ে একই দলের দুটি কমিটি গঠনের বিষয়টি অনেকের কাছে খটকা লাগলেও শিবগঞ্জ আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে এ রকম পাল্টাপাল্টি কমিটি হরহামেশাই গঠন করা হচ্ছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন নিয়ে এ বিরোধ এখন চরম আকার ধারণ করেছে। পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠনের জের ধরে এলাকায় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কাও করছেন অনেকে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিরোধ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এ অবস্থায় গত ২ জুন উপজেলায় প্রায় আট বছর ধরে চলা দুই সদস্যের আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দেয় জেলা আওয়ামী লীগ। এরপর ১৭ জুন ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। এতে আজিজুল হককে আহ্বায়ক এবং তৌহিদুর রহমান ও মোস্তাফিজার রহমানকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়। আহ্বায়ক কমিটিতে সভাপতি সৈয়দ মির্জারুল আলমকে রাখা হয়নি। এতে মির্জারুল আলম ও তাঁর অনুসারীরা ক্ষুব্ধ হন। তাঁরা মিছিল-মিটিং করে আহ্বায়ক কমিটিকে ‘পকেট কমিটি’ আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবি জানান। কিন্তু দাবি পূরণ না হওয়ায় সৈয়দ মির্জারুল আলম ও পিরব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল করিম তাঁদের অনুসারীদের নিয়ে নিজেদের উপজেলা আওয়ামী লীগের মূলধারা হিসেবে প্রচার চালাচ্ছেন।
দলীয় একটি সূত্র জানায়, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য আহ্বায়ক কমিটি উপজেলার ১১৭টি ওয়ার্ড শাখার সম্মেলন করে ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সম্মেলন শুরু করেছে। আহ্বায়ক কমিটি যেসব কমিটি গঠন করছে, তার পাল্টা কমিটি গঠন করে চলেছে সৈয়দ মির্জারুল আলম ও আবদুল করিমের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের অংশটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিচক ইউনিয়ন ও পিরব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুজন কর্মী বলেন, তাঁদের ইউনিয়নেও পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এভাবে একই ইউনিয়নে একই দলের দুটি কমিটি গঠিত হওয়ায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। মানুষের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে আবদুল করিম বলেন, ‘আহ্বায়ক কমিটি গঠনের কথা বলা হলেও তা ঠিক নয়। আমরা দলের হাইকমান্ডের কাছে গিয়েছিলাম। আমাদের বলা হয়েছে, আহ্বায়ক কমিটি বলে কিছু গঠন করা হয়নি। আগের কমিটিই এখনো বহাল আছে। অ াহ্বায়ক কমিটির নামে একটি মহল নেতৃত্ব কুক্ষিগত করার চেষ্টা চালাচ্ছে, যা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কহীন কিছু ব্যক্তি হঠকারিতা করার চেষ্টা করছে। সবার মতামতের ভিত্তিতে দলের পরীক্ষিত ও নিবেদিত নেতাদের নিয়ে জেলা কমিটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দিয়েছে।’
একই সময়ে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে একই ইউনিয়নের জগন্নাথপুরেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা জড়ো হয়েছেন। তাঁরাও এসেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির নেতা নির্বাচন করতে। উপজেলা সদরের আরেক দল নেতা এলেন। সেখানেও নতুন নেতৃত্ব গঠন করা হলো।
এক ইউনিয়নে একই সময়ে একই দলের দুটি কমিটি গঠনের বিষয়টি অনেকের কাছে খটকা লাগলেও শিবগঞ্জ আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে এ রকম পাল্টাপাল্টি কমিটি হরহামেশাই গঠন করা হচ্ছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন নিয়ে এ বিরোধ এখন চরম আকার ধারণ করেছে। পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠনের জের ধরে এলাকায় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কাও করছেন অনেকে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিরোধ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এ অবস্থায় গত ২ জুন উপজেলায় প্রায় আট বছর ধরে চলা দুই সদস্যের আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দেয় জেলা আওয়ামী লীগ। এরপর ১৭ জুন ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। এতে আজিজুল হককে আহ্বায়ক এবং তৌহিদুর রহমান ও মোস্তাফিজার রহমানকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়। আহ্বায়ক কমিটিতে সভাপতি সৈয়দ মির্জারুল আলমকে রাখা হয়নি। এতে মির্জারুল আলম ও তাঁর অনুসারীরা ক্ষুব্ধ হন। তাঁরা মিছিল-মিটিং করে আহ্বায়ক কমিটিকে ‘পকেট কমিটি’ আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবি জানান। কিন্তু দাবি পূরণ না হওয়ায় সৈয়দ মির্জারুল আলম ও পিরব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল করিম তাঁদের অনুসারীদের নিয়ে নিজেদের উপজেলা আওয়ামী লীগের মূলধারা হিসেবে প্রচার চালাচ্ছেন।
দলীয় একটি সূত্র জানায়, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য আহ্বায়ক কমিটি উপজেলার ১১৭টি ওয়ার্ড শাখার সম্মেলন করে ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সম্মেলন শুরু করেছে। আহ্বায়ক কমিটি যেসব কমিটি গঠন করছে, তার পাল্টা কমিটি গঠন করে চলেছে সৈয়দ মির্জারুল আলম ও আবদুল করিমের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের অংশটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিচক ইউনিয়ন ও পিরব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুজন কর্মী বলেন, তাঁদের ইউনিয়নেও পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এভাবে একই ইউনিয়নে একই দলের দুটি কমিটি গঠিত হওয়ায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। মানুষের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে আবদুল করিম বলেন, ‘আহ্বায়ক কমিটি গঠনের কথা বলা হলেও তা ঠিক নয়। আমরা দলের হাইকমান্ডের কাছে গিয়েছিলাম। আমাদের বলা হয়েছে, আহ্বায়ক কমিটি বলে কিছু গঠন করা হয়নি। আগের কমিটিই এখনো বহাল আছে। অ াহ্বায়ক কমিটির নামে একটি মহল নেতৃত্ব কুক্ষিগত করার চেষ্টা চালাচ্ছে, যা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কহীন কিছু ব্যক্তি হঠকারিতা করার চেষ্টা করছে। সবার মতামতের ভিত্তিতে দলের পরীক্ষিত ও নিবেদিত নেতাদের নিয়ে জেলা কমিটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দিয়েছে।’
No comments