উৎসবের আনন্দ by সেলিনা হোসেন
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হে উৎসব আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসবের একটি বড় যাত্রা নিঃসন্দেহে। যাঁরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন, তাঁদের অভিনন্দন জানাই। যে লেখকেরা এই উৎসবে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের বাংলাদেশে স্বাগতম।
মাতৃভাষার সম্মান রক্ষার জন্য জীবনদানকারী শহীদদের রক্তের মূল্যে গড়ে ওঠা বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে এই উৎসবের আয়োজনে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে। অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আজ ইউনেসকো ঘোষিত ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ আমাদের ভাষার জন্য প্রাণদানকে গৌরবমণ্ডিত করে।
এই উৎসবে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের অনেকের লেখা আগে পড়েছি। তাঁদের সঙ্গে পরিচয় ব্যক্তিগতভাবে আমাকে সম্মানিত করেছে। দেবেশ রায়, বিক্রম শেঠ, মোহাম্মদ হানিফ, কামিলা শামসি, ফিলিপ হেনসার, নন্দিতা দাশসহ এমন আরও কেউ কেউ।
হে উৎসবের উদ্বোধন হয়েছে মাইকেল মধুসূদন দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও জীবনানন্দ দাশকে ‘সাধনা’ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর চমৎকার পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। মঞ্চে এসেছে বাংলার আদিপ্রাণ লোকঐতিহ্যের নিদর্শন সয়ফুল মুলক বদিউজ্জামান-এর মতো লোকনাট্য। সঙ্গে এসেছে শেক্সপিয়ারের নাটক। এভাবে প্রাচ্য-প্রতীচ্যের মিলন ঘটিয়েছে হে উৎসব। আমরা এমন প্রাণের স্পন্দনই চাই।
এ উৎসবে এসে মনে হলো নিজের দেশের লেখকদের সঙ্গেও যেন নতুন করে পরিচয় হলো। কেউ কবিতা পড়ছেন, কেউ গল্প। কেউ আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। সবার মুখে এক কথা, বাংলাদেশের সাহিত্যের যে সপ্রাণতা, এখন তা অনুবাদের মাধ্যমে পৃথিবীর সামনে তুলে ধরা দরকার। যেভাবে অনুবাদের মাধ্যমে পরিচিত হয়েছেন গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ বা হেরটা ম্যুলার। বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেছিলেন, বাংলা ভাষার অনেক লেখকও নোবেল পুরস্কার পাওয়ার উপযুক্ত ছিলেন। অনুবাদের অভাবে তাঁরা দেশের জন্য সে সম্মান বয়ে আনতে পারেননি। বাংলা সাহিত্য অনুবাদের দায়িত্ব বাংলা একাডেমীর। এ দেশের কবি-সাহিত্যিকেরা ও অগণিত পাঠক ভবিষ্যতে এ উদ্যোগের প্রত্যাশায় থাকবেন।
হে উৎসবে আর যে বিষয়টি উঠে এসেছে, সেটি হলো বাংলাদেশের লেখকদের ইংরেজি ভাষায় লেখা সাহিত্য। লাইফলাইন নামে দিল্লি থেকে প্রকাশিত একটি বইয়ের অধিবেশনে আমার থাকার সুযোগ হয়েছিল। সেখানে দেখেছিলাম প্রাণবন্ত উৎসাহ। এই লেখকেরা বাংলাদেশের নারীদের জীবনকে মূল থিম হিসেবে নিয়ে নারীজীবনের নানা দিক নিয়ে গল্প লিখেছেন। একদিন তাঁরা বাংলার জনজীবনের নানা দিক, সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট ইত্যাদি তুলে ধরে তাঁদের সাহিত্যকে সামনে নিয়ে আসবেন, এই প্রত্যাশা রইল।
হে উৎসব আয়োজনের নেপথ্য কর্মী ছিলেন অনেকে। এত বড় আয়োজন অনেক মানুষ ছাড়া সম্পন্ন হওয়া সম্ভব নয়, সেটা আমরা সবাই বুঝি। তারপরও তাহমিমা আনাম ও সাদাফ সাজ সিদ্দিকীকে অভিনন্দন যে তাঁদের আমরা সামনে দেখেছি। তাঁরা বয়সে তরুণ, সাহিত্যে নিবেদিত এবং দেশকে ভালোবাসেন। বর্তমান প্রজন্মের হাতে আমাদের সাহিত্যে ভিন্ন মাত্রা অর্জিত হোক।
জয়তু বাংলা ভাষা। জয়তু বাংলা সাহিত্য।
এই উৎসবে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের অনেকের লেখা আগে পড়েছি। তাঁদের সঙ্গে পরিচয় ব্যক্তিগতভাবে আমাকে সম্মানিত করেছে। দেবেশ রায়, বিক্রম শেঠ, মোহাম্মদ হানিফ, কামিলা শামসি, ফিলিপ হেনসার, নন্দিতা দাশসহ এমন আরও কেউ কেউ।
হে উৎসবের উদ্বোধন হয়েছে মাইকেল মধুসূদন দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও জীবনানন্দ দাশকে ‘সাধনা’ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর চমৎকার পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। মঞ্চে এসেছে বাংলার আদিপ্রাণ লোকঐতিহ্যের নিদর্শন সয়ফুল মুলক বদিউজ্জামান-এর মতো লোকনাট্য। সঙ্গে এসেছে শেক্সপিয়ারের নাটক। এভাবে প্রাচ্য-প্রতীচ্যের মিলন ঘটিয়েছে হে উৎসব। আমরা এমন প্রাণের স্পন্দনই চাই।
এ উৎসবে এসে মনে হলো নিজের দেশের লেখকদের সঙ্গেও যেন নতুন করে পরিচয় হলো। কেউ কবিতা পড়ছেন, কেউ গল্প। কেউ আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। সবার মুখে এক কথা, বাংলাদেশের সাহিত্যের যে সপ্রাণতা, এখন তা অনুবাদের মাধ্যমে পৃথিবীর সামনে তুলে ধরা দরকার। যেভাবে অনুবাদের মাধ্যমে পরিচিত হয়েছেন গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ বা হেরটা ম্যুলার। বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেছিলেন, বাংলা ভাষার অনেক লেখকও নোবেল পুরস্কার পাওয়ার উপযুক্ত ছিলেন। অনুবাদের অভাবে তাঁরা দেশের জন্য সে সম্মান বয়ে আনতে পারেননি। বাংলা সাহিত্য অনুবাদের দায়িত্ব বাংলা একাডেমীর। এ দেশের কবি-সাহিত্যিকেরা ও অগণিত পাঠক ভবিষ্যতে এ উদ্যোগের প্রত্যাশায় থাকবেন।
হে উৎসবে আর যে বিষয়টি উঠে এসেছে, সেটি হলো বাংলাদেশের লেখকদের ইংরেজি ভাষায় লেখা সাহিত্য। লাইফলাইন নামে দিল্লি থেকে প্রকাশিত একটি বইয়ের অধিবেশনে আমার থাকার সুযোগ হয়েছিল। সেখানে দেখেছিলাম প্রাণবন্ত উৎসাহ। এই লেখকেরা বাংলাদেশের নারীদের জীবনকে মূল থিম হিসেবে নিয়ে নারীজীবনের নানা দিক নিয়ে গল্প লিখেছেন। একদিন তাঁরা বাংলার জনজীবনের নানা দিক, সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট ইত্যাদি তুলে ধরে তাঁদের সাহিত্যকে সামনে নিয়ে আসবেন, এই প্রত্যাশা রইল।
হে উৎসব আয়োজনের নেপথ্য কর্মী ছিলেন অনেকে। এত বড় আয়োজন অনেক মানুষ ছাড়া সম্পন্ন হওয়া সম্ভব নয়, সেটা আমরা সবাই বুঝি। তারপরও তাহমিমা আনাম ও সাদাফ সাজ সিদ্দিকীকে অভিনন্দন যে তাঁদের আমরা সামনে দেখেছি। তাঁরা বয়সে তরুণ, সাহিত্যে নিবেদিত এবং দেশকে ভালোবাসেন। বর্তমান প্রজন্মের হাতে আমাদের সাহিত্যে ভিন্ন মাত্রা অর্জিত হোক।
জয়তু বাংলা ভাষা। জয়তু বাংলা সাহিত্য।
No comments