রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ছাঁটাই- সংস্কারচেষ্টার মূল্য
অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, আকারে বিশাল হলেও সোভিয়েত আমলের ‘পুরোনো ও অদক্ষ’ সেনাবাহিনী রাশিয়ার জন্য বোঝা হয়ে উঠেছে। তারা তাল মেলাতে পারছে না আধুনিক বিশ্বের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে।
এই নাজুক অবস্থা থেকে উত্তরণ আর অতীতের মন্ত্রীদের ব্যর্থতা মোচনে ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় আনাতোলি সেরদিউকোভকে।
সেরদিউকোভ সেই পথে ভালোই এগোচ্ছিলেন। সেনাবাহিনীকে ঢেলে সাজাতে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেন তিনি। কিন্তু পরিকল্পনা পুরো বাস্তবায়নের আগেই তাঁকে সরে যেতে হলো।
৬ নভেম্বর আনাতোলি সেরদিউকোভকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বলা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর ভূসম্পত্তি ও অন্যান্য সম্পদের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান ওবোরনসার্ভিসের এক অনিয়মে জড়িত তিনি। ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ছিলেন সেরদিউকোভ। তদন্তকারীরা বলছেন, প্রতিষ্ঠানটি জালিয়াতি করে ১০ কোটি ডলারের সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করেছে। এ অনিয়ম খতিয়ে দেখার স্বার্থেই মন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেক সাধারণ রুশই সন্দেহ করছেন তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার মূল কারণ অন্য। পুতিন জমানায় অপছন্দের লোককে বাগে আনতে দুর্নীতির অভিযোগ এক বহুলচর্চিত অস্ত্র।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেরদিউকোভ তাঁর সময়ে সামরিক ক্ষেত্রে বড় ধরনের কিছু সংস্কারের উদ্যোগ নেন। এই সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য ছিল দৈত্যাকার রুশ সামরিক বাহিনীকে কেটেছেঁটে একটু ছোট কিন্তু আধুনিক অস্ত্র-সরঞ্জামে সজ্জিত কার্যকর একটি বাহিনীতে পরিণত করা। সেই লক্ষ্যে ২০১০ সালে ৪৩ হাজার কোটি ডলার ব্যয়সাপেক্ষ ১৫ বছর মেয়াদি একটি সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেন তিনি। কেন্দ্রীয় সামরিক ও নিরাপত্তা প্রশাসনের লোকবল ৩০ শতাংশ কমিয়ে ফেলা, বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীর আকার ছোট করাটা ছিল তাঁর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটা বাস্তবায়নের কথা ছিল ২০১২ সালের মধ্যেই। কিন্তু বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি পুলিশ বাহিনী। তারা প্রকাশ্যেই এর বিরোধিতা করেছে। পুলিশের চাপের কারণেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের তারিখ চার বছর পিছিয়ে ২০১৬ নির্ধারণ করা হয়। অনেক শীর্ষ সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাই সেরদিউকোভের বিদায়ে যারপরনাই খুশি।
আসলে আনাতোলি সেরদিউকোভ কখনোই সেভাবে সামরিক ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেননি। তিনি একসময় আসবাব ব্যবসায়ী ছিলেন। সেখান থেকে হন করমন্ত্রী। পরবর্তী সময়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী। শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের কখনোই সুনজরে দেখেননি তিনি। সেরদিউকোভ তাঁদের বলতেন ‘খুদে সবুজ মানুষ’। এই খুদে সবুজ মানুষের ‘অকার্যকর’ বাহিনীকে সংস্কার করতে গিয়ে ক্ষমতাবানদের বিরাগভাজন হন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মার্ক গ্যালিয়োত্তি বলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ক্ষমতাবানদের শত্রুতে পরিণত হন সেরদিউকোভ। তিনি একেবারেই ‘অকপটরকম’ বেসামরিক চরিত্রের মানুষ। মন্ত্রিত্ব হারিয়েই যার খেসারত দিতে হলো।
সেরদিউকোভের সর্বনাশের ষোলোকলা পূরণ করেছে তাঁর এক ‘বিশেষ সম্পর্ক’। প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর জুবকভের মেয়ের জামাই তিনি। কিন্তু ওবোরনসার্ভিসের বোর্ড সদস্য ইয়েভগিনিয়া ভাসিলিভার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলেছিলেন তিনি। গোয়েন্দা বাহিনীর সূত্র বলেছে, গত অক্টোবরে এক সাতসকালে ভাসিলিভার ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখানে সেরদিউকোভকেও পাওয়া যায়।
সংস্কারের অংশ হিসেবে সেরদিউকোভ সেনাবাহিনীর ডিভিশনভিত্তিক অসুবিধাজনক কাঠামো ভেঙে ক্ষুদ্রতর, ক্ষিপ্রতর ব্রিগেডভিত্তিক কাঠামো গঠন করেছিলেন। অহেতুক বড় অফিসার কোরকে ছেঁটে ফেলেছেন। বন্ধ করে দিয়েছিলেন অদরকারি ইউনিট। প্রতিরক্ষা শিল্পের দুর্বলতা নিয়েও কাজ শুরু করেন সেরদিউকোভ। ২০০৮ সালের জর্জিয়া যুদ্ধে রাশিয়া জিতলেও প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল। ছিল সমন্বয়ের অভাব। যেমন যুদ্ধবিমানের বৈমানিক আর স্থলসেনারা নির্দেশ পেয়েছেন দুই আলাদা সদরদপ্তর থেকে। আকাশযুদ্ধে রুশদের সক্ষমতা ভালো থাকলেও প্রতিরক্ষার অন্য ক্ষেত্রে অবস্থা ভালো নয়। প্রতিরক্ষা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রযুক্তি হয়ে গেছে সেকেলে।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দিমিত্রি গোরেনবুর্গের মতে, সেরদিউকোভের পূর্বসূরি সের্গেই ইভানভের সময় রুশ প্রতিরক্ষা বাজেট মোটা অঙ্কের থাকলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। পরিস্থিতির উন্নতির জন্য নিয়োগ দেওয়া হয় সেরদিউকোভকে। দায়িত্ব পেয়ে তিনি রুশ সেনাবাহিনীকে কেবলই বড় শক্তিগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মানসিকতা থেকে বের করে আনতে চেয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন এ বাহিনীকে প্রতিবেশী সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্রগুলোতে মাথাচাড়া দেওয়া সন্ত্রাসবাদ ও বিদ্রোহ মোকাবিলায় কাজে লাগাতে। সেরদিউকোভ মনে করতেন, ইউরোপে স্থলযুদ্ধের দিন শেষ। সেনাবাহিনীকে পেশাদার করে তুলতে বাধ্যতামূলক সাময়িক নিয়োগের পদ্ধতি ধীরে ধীরে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে চেয়েছিলেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট পুতিন সেরদিউকোভকে সরিয়ে নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী করেছেন সের্গেই শোইগুকে। পুতিনের অনুগত হিসেবে পরিচিত শোইগু। তবে তাঁকে নিয়োগ করায় রুশ বাহিনীর সংস্কারের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেরদিউকোভ একজন দক্ষ প্রশাসক ছিলেন। সংস্কারের প্রতি বিরোধিতাকে দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিতে পেরেছিলেন তিনি।
সাবেক অর্থমন্ত্রী আলেক্সি কুদরিন বলেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা-ব্যয় সব সময়ই একটা মাথাব্যথার কারণ। দেশের পুরো রাজনৈতিক ব্যবস্থাই এটিকে কেন্দ্র করে চলছে। কুদরিনের মতে, সেরদিউকোভকে বরখাস্ত করাটা প্রমাণ করে প্রতিরক্ষা-ব্যয় রাশিয়ার রাজনীতিতে কত বড় নিয়ামক।
মনিরুল ইসলাম, সূত্র: দি ইকোনমিস্ট
সেরদিউকোভ সেই পথে ভালোই এগোচ্ছিলেন। সেনাবাহিনীকে ঢেলে সাজাতে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেন তিনি। কিন্তু পরিকল্পনা পুরো বাস্তবায়নের আগেই তাঁকে সরে যেতে হলো।
৬ নভেম্বর আনাতোলি সেরদিউকোভকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বলা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর ভূসম্পত্তি ও অন্যান্য সম্পদের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান ওবোরনসার্ভিসের এক অনিয়মে জড়িত তিনি। ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ছিলেন সেরদিউকোভ। তদন্তকারীরা বলছেন, প্রতিষ্ঠানটি জালিয়াতি করে ১০ কোটি ডলারের সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করেছে। এ অনিয়ম খতিয়ে দেখার স্বার্থেই মন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেক সাধারণ রুশই সন্দেহ করছেন তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার মূল কারণ অন্য। পুতিন জমানায় অপছন্দের লোককে বাগে আনতে দুর্নীতির অভিযোগ এক বহুলচর্চিত অস্ত্র।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেরদিউকোভ তাঁর সময়ে সামরিক ক্ষেত্রে বড় ধরনের কিছু সংস্কারের উদ্যোগ নেন। এই সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য ছিল দৈত্যাকার রুশ সামরিক বাহিনীকে কেটেছেঁটে একটু ছোট কিন্তু আধুনিক অস্ত্র-সরঞ্জামে সজ্জিত কার্যকর একটি বাহিনীতে পরিণত করা। সেই লক্ষ্যে ২০১০ সালে ৪৩ হাজার কোটি ডলার ব্যয়সাপেক্ষ ১৫ বছর মেয়াদি একটি সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেন তিনি। কেন্দ্রীয় সামরিক ও নিরাপত্তা প্রশাসনের লোকবল ৩০ শতাংশ কমিয়ে ফেলা, বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীর আকার ছোট করাটা ছিল তাঁর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটা বাস্তবায়নের কথা ছিল ২০১২ সালের মধ্যেই। কিন্তু বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি পুলিশ বাহিনী। তারা প্রকাশ্যেই এর বিরোধিতা করেছে। পুলিশের চাপের কারণেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের তারিখ চার বছর পিছিয়ে ২০১৬ নির্ধারণ করা হয়। অনেক শীর্ষ সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাই সেরদিউকোভের বিদায়ে যারপরনাই খুশি।
আসলে আনাতোলি সেরদিউকোভ কখনোই সেভাবে সামরিক ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেননি। তিনি একসময় আসবাব ব্যবসায়ী ছিলেন। সেখান থেকে হন করমন্ত্রী। পরবর্তী সময়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী। শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের কখনোই সুনজরে দেখেননি তিনি। সেরদিউকোভ তাঁদের বলতেন ‘খুদে সবুজ মানুষ’। এই খুদে সবুজ মানুষের ‘অকার্যকর’ বাহিনীকে সংস্কার করতে গিয়ে ক্ষমতাবানদের বিরাগভাজন হন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মার্ক গ্যালিয়োত্তি বলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ক্ষমতাবানদের শত্রুতে পরিণত হন সেরদিউকোভ। তিনি একেবারেই ‘অকপটরকম’ বেসামরিক চরিত্রের মানুষ। মন্ত্রিত্ব হারিয়েই যার খেসারত দিতে হলো।
সেরদিউকোভের সর্বনাশের ষোলোকলা পূরণ করেছে তাঁর এক ‘বিশেষ সম্পর্ক’। প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর জুবকভের মেয়ের জামাই তিনি। কিন্তু ওবোরনসার্ভিসের বোর্ড সদস্য ইয়েভগিনিয়া ভাসিলিভার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলেছিলেন তিনি। গোয়েন্দা বাহিনীর সূত্র বলেছে, গত অক্টোবরে এক সাতসকালে ভাসিলিভার ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখানে সেরদিউকোভকেও পাওয়া যায়।
সংস্কারের অংশ হিসেবে সেরদিউকোভ সেনাবাহিনীর ডিভিশনভিত্তিক অসুবিধাজনক কাঠামো ভেঙে ক্ষুদ্রতর, ক্ষিপ্রতর ব্রিগেডভিত্তিক কাঠামো গঠন করেছিলেন। অহেতুক বড় অফিসার কোরকে ছেঁটে ফেলেছেন। বন্ধ করে দিয়েছিলেন অদরকারি ইউনিট। প্রতিরক্ষা শিল্পের দুর্বলতা নিয়েও কাজ শুরু করেন সেরদিউকোভ। ২০০৮ সালের জর্জিয়া যুদ্ধে রাশিয়া জিতলেও প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল। ছিল সমন্বয়ের অভাব। যেমন যুদ্ধবিমানের বৈমানিক আর স্থলসেনারা নির্দেশ পেয়েছেন দুই আলাদা সদরদপ্তর থেকে। আকাশযুদ্ধে রুশদের সক্ষমতা ভালো থাকলেও প্রতিরক্ষার অন্য ক্ষেত্রে অবস্থা ভালো নয়। প্রতিরক্ষা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রযুক্তি হয়ে গেছে সেকেলে।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দিমিত্রি গোরেনবুর্গের মতে, সেরদিউকোভের পূর্বসূরি সের্গেই ইভানভের সময় রুশ প্রতিরক্ষা বাজেট মোটা অঙ্কের থাকলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। পরিস্থিতির উন্নতির জন্য নিয়োগ দেওয়া হয় সেরদিউকোভকে। দায়িত্ব পেয়ে তিনি রুশ সেনাবাহিনীকে কেবলই বড় শক্তিগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মানসিকতা থেকে বের করে আনতে চেয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন এ বাহিনীকে প্রতিবেশী সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্রগুলোতে মাথাচাড়া দেওয়া সন্ত্রাসবাদ ও বিদ্রোহ মোকাবিলায় কাজে লাগাতে। সেরদিউকোভ মনে করতেন, ইউরোপে স্থলযুদ্ধের দিন শেষ। সেনাবাহিনীকে পেশাদার করে তুলতে বাধ্যতামূলক সাময়িক নিয়োগের পদ্ধতি ধীরে ধীরে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে চেয়েছিলেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট পুতিন সেরদিউকোভকে সরিয়ে নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী করেছেন সের্গেই শোইগুকে। পুতিনের অনুগত হিসেবে পরিচিত শোইগু। তবে তাঁকে নিয়োগ করায় রুশ বাহিনীর সংস্কারের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেরদিউকোভ একজন দক্ষ প্রশাসক ছিলেন। সংস্কারের প্রতি বিরোধিতাকে দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিতে পেরেছিলেন তিনি।
সাবেক অর্থমন্ত্রী আলেক্সি কুদরিন বলেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা-ব্যয় সব সময়ই একটা মাথাব্যথার কারণ। দেশের পুরো রাজনৈতিক ব্যবস্থাই এটিকে কেন্দ্র করে চলছে। কুদরিনের মতে, সেরদিউকোভকে বরখাস্ত করাটা প্রমাণ করে প্রতিরক্ষা-ব্যয় রাশিয়ার রাজনীতিতে কত বড় নিয়ামক।
মনিরুল ইসলাম, সূত্র: দি ইকোনমিস্ট
No comments