যা নিয়ে আছি- স্বপ্ন দেখি, সত্যিকারের সোনার বাংলা
এ টি এম শামসুল হুদা, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ৩৪ বছর সরকারি চাকরি করেছেন। লিখেছেন এক ডজনেরও অধিক বই। তাঁর লেখা গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ, নিবন্ধ দেশ-বিদেশের উল্লেখযোগ্য জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
পলিটিক্স, পজিশন অ্যান্ড পাওয়ার
এখন পড়ছি আমেরিকার রাজনীতি ও ক্ষমতা নিয়ে গবেষণাধর্মী একটি বই পলিটিক্স, পজিশন অ্যান্ড পাওয়ার। লিখেছেন হ্যারল্ড সিড ম্যান। আমেরিকার রাজনীতি ও ক্ষমতায়নে টাকার খেলাসহ বিভিন্ন দিক জানতে ও বুঝতে এটি একটি চমৎকার বই।
এর আগে পড়েছি দি ইন্ডিয়া প্রজেক্ট বইটি। ভারতে ব্রিটিশ শাসন ও তাদের ভাবাদর্শের পরিবর্তন নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী বইটি বেশ ভালো লেগেছে। ব্রিটিশ শাসনের শুরুর দিকে দেখা যায়, ব্রিটিশরা শুধু এখান থেকে নিচ্ছে। লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংকের সময় থেকে এর পরিবর্তন হয়। তারা উপলব্ধি করে শুধু নিলে হবে না, দিতেও হবে। ইন্ডিয়া টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি নামে ভারত সরকার কর্তৃক প্রকাশিত তাদের রূপরেখাসংক্রান্ত বইটিও সম্প্রতি পড়লাম। ভারত আমাদের বৃহৎ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তাদের অনেক কিছু আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এ কারণে বইটি গুরুত্বপূর্ণ।
লালনের গান
আমার সবচেয়ে ভালো লাগে লালনের গান। এ ছাড়া রবীন্দ্রসংগীত ও নজরুলসংগীত শুনি। কাজের ফাঁকে ফাঁকে যখনই সময় পাই তখনই গান শুনি। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের গানগুলো বেশি ভালো লাগে। শাহনাজ রহমতুল্লাহ্, সাবিনা ইয়াসমীন ও ফেরদৌসী রহমানের গান ভালো লাগে। এই সময়ের গানে কোনো কথা বা দর্শন নেই, যে কারণে ব্যান্ডের গান আমার ভালো লাগে না।
দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট ও কাহানি
বিষয়বৈচিত্র্য না থাকায় দেশি ফিল্ম দেখা হয় না, ইংরেজি ও হিন্দি ফিল্ম দেখি। এইচবিও চ্যানেলে এবং গুলশান ক্লাবে সাধারণত ফিল্মগুলো দেখা হয়। দ্য হাঙ্গার গেম নামে একটি ফিল্ম দেখেছি, ভালো লেগেছে। বিদ্যা বালান অভিনীত কাহানিও চমৎকার লেগেছে।
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন
এই সময়ে চিত্র প্রদর্শনীতে যাওয়া হয়নি। ফ্রান্স, ইতালিতে যতবার গিয়েছি ততবারই ওখানকার মিউজিয়ামগুলোতে গিয়েছি, মুগ্ধ হওয়ার মতো সব সংগ্রহ সেখানে রয়েছে। আমাদের দেশের শিল্পীদের অনেকেরই কাজ আমার ভালো লাগে। উল্লেখযোগ্য হলো: শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, কামরুল হাসান, এস এম সুলতান, হাশেম খান, রফিকুন নবী প্রমুখ।
হরহামেশা দুুর্ঘটনা ঘটবে না
আমার স্বপ্ন আমাদের দেশ একদিন সত্যিকারের সোনার বাংলায় রূপান্তরিত হবে। আমাদের জীবদ্দশায় হয়তো হবে না, কিন্তু একদিন নিশ্চয়ই হবে। মানুষের জীবনমান উন্নত হবে, রাস্তায় হরহামেশা দুুর্ঘটনা ঘটবে না। আর স্বপ্ন দেখি, একদিন নিশ্চয় সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। কোনো বৈষম্য থাকবে না, সবাই সুখে-শান্তিতে স্বপ্নের সোনার বাংলায় বসবাস করবে।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ: কাজল রশীদ
এখন পড়ছি আমেরিকার রাজনীতি ও ক্ষমতা নিয়ে গবেষণাধর্মী একটি বই পলিটিক্স, পজিশন অ্যান্ড পাওয়ার। লিখেছেন হ্যারল্ড সিড ম্যান। আমেরিকার রাজনীতি ও ক্ষমতায়নে টাকার খেলাসহ বিভিন্ন দিক জানতে ও বুঝতে এটি একটি চমৎকার বই।
এর আগে পড়েছি দি ইন্ডিয়া প্রজেক্ট বইটি। ভারতে ব্রিটিশ শাসন ও তাদের ভাবাদর্শের পরিবর্তন নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী বইটি বেশ ভালো লেগেছে। ব্রিটিশ শাসনের শুরুর দিকে দেখা যায়, ব্রিটিশরা শুধু এখান থেকে নিচ্ছে। লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংকের সময় থেকে এর পরিবর্তন হয়। তারা উপলব্ধি করে শুধু নিলে হবে না, দিতেও হবে। ইন্ডিয়া টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি নামে ভারত সরকার কর্তৃক প্রকাশিত তাদের রূপরেখাসংক্রান্ত বইটিও সম্প্রতি পড়লাম। ভারত আমাদের বৃহৎ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তাদের অনেক কিছু আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এ কারণে বইটি গুরুত্বপূর্ণ।
লালনের গান
আমার সবচেয়ে ভালো লাগে লালনের গান। এ ছাড়া রবীন্দ্রসংগীত ও নজরুলসংগীত শুনি। কাজের ফাঁকে ফাঁকে যখনই সময় পাই তখনই গান শুনি। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের গানগুলো বেশি ভালো লাগে। শাহনাজ রহমতুল্লাহ্, সাবিনা ইয়াসমীন ও ফেরদৌসী রহমানের গান ভালো লাগে। এই সময়ের গানে কোনো কথা বা দর্শন নেই, যে কারণে ব্যান্ডের গান আমার ভালো লাগে না।
দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট ও কাহানি
বিষয়বৈচিত্র্য না থাকায় দেশি ফিল্ম দেখা হয় না, ইংরেজি ও হিন্দি ফিল্ম দেখি। এইচবিও চ্যানেলে এবং গুলশান ক্লাবে সাধারণত ফিল্মগুলো দেখা হয়। দ্য হাঙ্গার গেম নামে একটি ফিল্ম দেখেছি, ভালো লেগেছে। বিদ্যা বালান অভিনীত কাহানিও চমৎকার লেগেছে।
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন
এই সময়ে চিত্র প্রদর্শনীতে যাওয়া হয়নি। ফ্রান্স, ইতালিতে যতবার গিয়েছি ততবারই ওখানকার মিউজিয়ামগুলোতে গিয়েছি, মুগ্ধ হওয়ার মতো সব সংগ্রহ সেখানে রয়েছে। আমাদের দেশের শিল্পীদের অনেকেরই কাজ আমার ভালো লাগে। উল্লেখযোগ্য হলো: শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, কামরুল হাসান, এস এম সুলতান, হাশেম খান, রফিকুন নবী প্রমুখ।
হরহামেশা দুুর্ঘটনা ঘটবে না
আমার স্বপ্ন আমাদের দেশ একদিন সত্যিকারের সোনার বাংলায় রূপান্তরিত হবে। আমাদের জীবদ্দশায় হয়তো হবে না, কিন্তু একদিন নিশ্চয়ই হবে। মানুষের জীবনমান উন্নত হবে, রাস্তায় হরহামেশা দুুর্ঘটনা ঘটবে না। আর স্বপ্ন দেখি, একদিন নিশ্চয় সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। কোনো বৈষম্য থাকবে না, সবাই সুখে-শান্তিতে স্বপ্নের সোনার বাংলায় বসবাস করবে।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ: কাজল রশীদ
No comments