ভারতে এফডিআই নিয়ে বিতর্ক-পার্লামেন্টে আলোচনা ও ভোটে রাজি সরকার
ভারতে খুচরা ব্যবসায় সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) নিয়ে অবশেষে পার্লামেন্টে আলোচনা ও ভোটাভুটির পথ তৈরি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নিম্নকক্ষ লোকসভার স্পিকার মীরা কুমার সংবিধানের ১৮৪ ধারা অনুযায়ী এফডিআই নিয়ে আলোচনার অনুমোদন দেন।
এ ধারায় জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে আলোচনা ও ভোটাভুটির সুযোগ রয়েছে। আগামী মঙ্গল ও বুধবার এফডিআই নিয়ে লোকসভায় আলোচনা ও ভোটাভুটি হতে পারে।
উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হামিদ আনসারী জানিয়েছেন, সেখানেও এফডিআই নিয়ে আলোচনা হবে। এফডিআই নিয়ে বিরোধের জেরে কয়েক দিন ধরেই পার্লামেন্টে অচলাবস্থা বিরাজ করছিল। আশা করা হচ্ছে, এবার তা কাটবে। বিরোধীদের দাবি, এফডিআই কার্যকর হলে প্রান্তিক পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে সর্বস্বান্ত হবে। মীরা কুমার গতকাল বলেন, '১৮৪ ধারায় এফডিআই আলোচনার জন্য আমি বিরোধীদের কাছ থেকে অন্তত ৩০টি নোটিশ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমি এ ধারাতেই আলোচনায় সম্মত।' এ সময় লোকসভায় বিরোধীদলীয় নেত্রী ভারতীয় জনতা পার্টির সুষমা স্বরাজ এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, 'পার্লামেন্টের কার্যক্রম সচল রাখার নিশ্চয়তা দিচ্ছি আমি।' গতকাল রাজ্যসভায় অধিবেশন শুরুর পর এফডিআই নিয়ে আলোচনার জন্য শোরগোল শুরু করে বিরোধীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়ে হামিদ আনসারী অধিবেশন মুলতবি করে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেন।
এ বৈঠকেই রাজ্যসভাতেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়। তবে রাজ্যসভায় আলোচনার দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে এফডিআই নিয়ে ভোটাভুটি হলে লোকসভায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা (ইউপিএ) সরকারের জয় প্রায় সুনিশ্চিত। তবে রাজ্যসভার হিসাব খুব সহজ হবে না। সমাজবাদী পার্টি জানিয়েছে, লোকসভায় তারা কংগ্রেসকে সমর্থন দিলেও রাজ্যসভায় এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। দুই কক্ষে দুই রকম ভূমিকা সম্পর্কে দলের নেতা রাম গোপাল যাদব বলেন, এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন নয়। অতীতেও বহুবার দুই কক্ষে দুই অবস্থান নিয়েছে তাঁর দল।
গত ২২ নভেম্বর লোকসভার শীতকালীন অধিবেশন শুরুর পর থেকেই এফডিআই নিয়ে বিতর্কের জের ধরে অচলাবস্থা চলছে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভি।
উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হামিদ আনসারী জানিয়েছেন, সেখানেও এফডিআই নিয়ে আলোচনা হবে। এফডিআই নিয়ে বিরোধের জেরে কয়েক দিন ধরেই পার্লামেন্টে অচলাবস্থা বিরাজ করছিল। আশা করা হচ্ছে, এবার তা কাটবে। বিরোধীদের দাবি, এফডিআই কার্যকর হলে প্রান্তিক পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে সর্বস্বান্ত হবে। মীরা কুমার গতকাল বলেন, '১৮৪ ধারায় এফডিআই আলোচনার জন্য আমি বিরোধীদের কাছ থেকে অন্তত ৩০টি নোটিশ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমি এ ধারাতেই আলোচনায় সম্মত।' এ সময় লোকসভায় বিরোধীদলীয় নেত্রী ভারতীয় জনতা পার্টির সুষমা স্বরাজ এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, 'পার্লামেন্টের কার্যক্রম সচল রাখার নিশ্চয়তা দিচ্ছি আমি।' গতকাল রাজ্যসভায় অধিবেশন শুরুর পর এফডিআই নিয়ে আলোচনার জন্য শোরগোল শুরু করে বিরোধীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়ে হামিদ আনসারী অধিবেশন মুলতবি করে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেন।
এ বৈঠকেই রাজ্যসভাতেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়। তবে রাজ্যসভায় আলোচনার দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে এফডিআই নিয়ে ভোটাভুটি হলে লোকসভায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা (ইউপিএ) সরকারের জয় প্রায় সুনিশ্চিত। তবে রাজ্যসভার হিসাব খুব সহজ হবে না। সমাজবাদী পার্টি জানিয়েছে, লোকসভায় তারা কংগ্রেসকে সমর্থন দিলেও রাজ্যসভায় এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। দুই কক্ষে দুই রকম ভূমিকা সম্পর্কে দলের নেতা রাম গোপাল যাদব বলেন, এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন নয়। অতীতেও বহুবার দুই কক্ষে দুই অবস্থান নিয়েছে তাঁর দল।
গত ২২ নভেম্বর লোকসভার শীতকালীন অধিবেশন শুরুর পর থেকেই এফডিআই নিয়ে বিতর্কের জের ধরে অচলাবস্থা চলছে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভি।
No comments