সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী-যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব পুনরুদ্ধার হয়েছে
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরাজমান সন্দেহের অবসান ঘটেছে। পাকিস্তান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে তাদের পুরনো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পুনরুদ্ধার হয়েছে।
২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পরপরই পাক-মার্কিন সামরিক ও গোয়েন্দা তথ্যের আদান-প্রদান সম্পর্কিত কার্যক্রমও দ্রুত বেগবান হবে।
হিনা গতকাল বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদের মার্কিন দূতাবাসে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে সাক্ষাৎকার দেন। এ সময় তিনি বলেন, 'দুই রাষ্ট্রের সম্পর্কে কিছু জটিলতা ছিল। আমি মনে করি, সেসব দূর করে আমরা ইতিবাচক অবস্থানে আসতে পেরেছি। পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমরা বেশ তৎপর। আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং এর পরবর্তী পরিস্থিতিতে একসঙ্গে কাজ করতে চাই।'
হিনা আফগান সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে পাকিস্তানের বিশেষ আগ্রহের ব্যাখ্যা দেন। জানান, কাবুলের সংঘর্ষের রেশ পাকিস্তানকেও টানতে হতে পারে। তালেবানের জঙ্গি হামলা থেকে পাকিস্তানকে রক্ষা করতে আফগান সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান জরুরি। যুক্তরাষ্ট্র কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আল-কায়েদা, তালেবানসহ আফগান জঙ্গিদের মদদ দেওয়ার অভিযোগ তোলে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সুসম্পর্কের অবনতি মূলত ঘটে গত বছর লাহোরে সিআইএর এক কর্মকর্তার হাতে পাকিস্তানের দুই নাগরিক নিহত হওয়ার পর থেকে। এরপর পাকিস্তানের অনুমতি ছাড়াই অ্যাবোটাবাদে অভিযান চালিয়ে আল-কায়েদার ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন সেনারা। ওই বছরই নভেম্বরে মার্কিন ড্রোন হামলায় ২৪ পাকিস্তানি সেনা নিহত হওয়ার পর দুই দেশের সম্পর্কে চূড়ান্ত ধস নামে। আমেরিকার অর্থনৈতিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন সেনাদের রসদ সরবরাহের লাইন বন্ধ করে দেয়। এ ছাড়া মার্কিন কূটনীতিকদের ভিসা প্রদান কার্যক্রমও সীমিত করা হয়।
হিনা আরো জানান, ২০১৪ সালে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাঁরা যৌথ প্রশিক্ষণ পরিচালনা করবেন। অন্য এক আলোচনায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গেও তাঁদের সম্পর্ক ভালো বলে দাবি করেন হিনা। সূত্র : ডন।
হিনা গতকাল বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদের মার্কিন দূতাবাসে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে সাক্ষাৎকার দেন। এ সময় তিনি বলেন, 'দুই রাষ্ট্রের সম্পর্কে কিছু জটিলতা ছিল। আমি মনে করি, সেসব দূর করে আমরা ইতিবাচক অবস্থানে আসতে পেরেছি। পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমরা বেশ তৎপর। আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং এর পরবর্তী পরিস্থিতিতে একসঙ্গে কাজ করতে চাই।'
হিনা আফগান সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে পাকিস্তানের বিশেষ আগ্রহের ব্যাখ্যা দেন। জানান, কাবুলের সংঘর্ষের রেশ পাকিস্তানকেও টানতে হতে পারে। তালেবানের জঙ্গি হামলা থেকে পাকিস্তানকে রক্ষা করতে আফগান সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান জরুরি। যুক্তরাষ্ট্র কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আল-কায়েদা, তালেবানসহ আফগান জঙ্গিদের মদদ দেওয়ার অভিযোগ তোলে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সুসম্পর্কের অবনতি মূলত ঘটে গত বছর লাহোরে সিআইএর এক কর্মকর্তার হাতে পাকিস্তানের দুই নাগরিক নিহত হওয়ার পর থেকে। এরপর পাকিস্তানের অনুমতি ছাড়াই অ্যাবোটাবাদে অভিযান চালিয়ে আল-কায়েদার ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন সেনারা। ওই বছরই নভেম্বরে মার্কিন ড্রোন হামলায় ২৪ পাকিস্তানি সেনা নিহত হওয়ার পর দুই দেশের সম্পর্কে চূড়ান্ত ধস নামে। আমেরিকার অর্থনৈতিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন সেনাদের রসদ সরবরাহের লাইন বন্ধ করে দেয়। এ ছাড়া মার্কিন কূটনীতিকদের ভিসা প্রদান কার্যক্রমও সীমিত করা হয়।
হিনা আরো জানান, ২০১৪ সালে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাঁরা যৌথ প্রশিক্ষণ পরিচালনা করবেন। অন্য এক আলোচনায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গেও তাঁদের সম্পর্ক ভালো বলে দাবি করেন হিনা। সূত্র : ডন।
No comments