ইরানে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র-আইএইএর বৈঠক শুরু, মূল আলোচনা হবে ইরান নিয়ে
ইরানের ওপর আবারও নিষেধাজ্ঞা জারির একটি প্যাকেজ নিয়ে কাজ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস। উচ্চকক্ষ সিনেট এরই মধ্যে জ্বালানি, শিপিং ও ধাতু খাতে ইরানের বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্য কমিয়ে আনার লক্ষ্যে একটি খসড়া তৈরি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক প্রতিরক্ষা বিলের একটি অংশ হিসেবে শিগগির নিষেধাজ্ঞার এ বিষয়টিও কংগ্রেসে আলোচিত হবে বলে জানিয়েছেন সিনেটর ও তাঁদের সহকারীরা। এদিকে পরমাণু নজরদারি সংস্থা আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) বৈঠক গতকাল বৃহস্পতিবার ভিয়েনায় শুরু হয়েছে। এবারের বৈঠকে ইরানের পরমাণু ইস্যু সর্বাধিক গুরুত্ব পাচ্ছে।
ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পরিধি আরো বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে মার্কিন সিনেট। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধে গত বছর ওই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। ডেমোক্র্যাট সিনেটর রবার্ট মেনেনডেজ এবং রিপাবলিকান মার্ক কিরক নতুন নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ নিয়ে কাজ করছেন। এতে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষাকারী বিদেশি ব্যাংকগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। নতুন প্যাকেজে সতর্ক করে বলা হয়, এ ধরনের বিদেশি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে মার্কিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এদিকে আইএইএর দুই দিনের এ বৈঠকে পশ্চিমা বিশ্ব ইরানের কড়া সমালোচনা থেকে বিরত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে চলা এ সংকট সমাধানে ইরানকে একটি সুযোগ দিতে চায়। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে পরমাণু ইস্যু নিয়ে 'ইরানের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবকে অগ্রাহ্য করার' বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ৩৫ সদস্যের আইএইএর ৩১টি সদস্য রাষ্ট্র। ইরান বহুদিন থেকেই তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প স্থগিত রাখার প্রস্তাবে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। ইউরেনিয়াম দিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে জ্বালানি তৈরি করা যায়। একই সঙ্গে অস্ত্রও তৈরি করা সম্ভব। ইরানের দাবি, জ্বালানি তৈরির উদ্দেশ্যেই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে তারা।
অন্যদিকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে গোপন আলোচনা চলছে বলে গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা নাকচ করে দিয়েছে তেহরান। ইরানের দাবি, গত নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে আলোচনার খবর ছড়ানো হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রামিন মেহমানরাস্ত বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের অতীত নীতি আঁকড়ে থাকলে আলোচনা অর্থহীন। সূত্র : জিনিউজ, এএফপি।
ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পরিধি আরো বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে মার্কিন সিনেট। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধে গত বছর ওই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। ডেমোক্র্যাট সিনেটর রবার্ট মেনেনডেজ এবং রিপাবলিকান মার্ক কিরক নতুন নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ নিয়ে কাজ করছেন। এতে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষাকারী বিদেশি ব্যাংকগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। নতুন প্যাকেজে সতর্ক করে বলা হয়, এ ধরনের বিদেশি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে মার্কিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এদিকে আইএইএর দুই দিনের এ বৈঠকে পশ্চিমা বিশ্ব ইরানের কড়া সমালোচনা থেকে বিরত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে চলা এ সংকট সমাধানে ইরানকে একটি সুযোগ দিতে চায়। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে পরমাণু ইস্যু নিয়ে 'ইরানের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবকে অগ্রাহ্য করার' বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ৩৫ সদস্যের আইএইএর ৩১টি সদস্য রাষ্ট্র। ইরান বহুদিন থেকেই তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প স্থগিত রাখার প্রস্তাবে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। ইউরেনিয়াম দিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে জ্বালানি তৈরি করা যায়। একই সঙ্গে অস্ত্রও তৈরি করা সম্ভব। ইরানের দাবি, জ্বালানি তৈরির উদ্দেশ্যেই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে তারা।
অন্যদিকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে গোপন আলোচনা চলছে বলে গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা নাকচ করে দিয়েছে তেহরান। ইরানের দাবি, গত নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে আলোচনার খবর ছড়ানো হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রামিন মেহমানরাস্ত বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের অতীত নীতি আঁকড়ে থাকলে আলোচনা অর্থহীন। সূত্র : জিনিউজ, এএফপি।
No comments