বিক্ষোভের মধ্যেই মিসরে খসড়া সংবিধানে ভোট
মিসরে নতুন খসড়া সংবিধানের ওপর গতকাল বৃহস্পতিবার ভোটাভুটি হয়েছে। গত সপ্তাহে নিজের হাতে একচ্ছত্র ক্ষমতা রেখে জারি করা প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির অধ্যাদেশের প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভের মধ্যেই সাংবিধানিক পরিষদে এ ভোট হলো।
রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা এমইএনএ জানায়, সাংবিধানিক পরিষদে ভোটাভুটির পর খসড়াটির ওপর গণভোটের আয়োজন করা হবে। গতকাল জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল মুরসির।
এদিকে গণপরিষদ বিলুপ্ত ঘোষণার বৈধতার প্রশ্নে আগামী রবিবার দেশটির সাংবিধানিক আদালতের রুল জারি করার কথা। গত জুনে সুপ্রিম কোর্ট পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ গণপরিষদকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে।
বর্তমানে সাংবিধানিক পরিষদে মুসলিম ব্রাদারহুড ও অন্যান্য ইসলামী দলগুলোর প্রাধান্য রয়েছে। তারা ইসলামী আইন চালু করার চেষ্টা করছে_এমন অভিযোগ রয়েছে। পরিষদ থেকে উদারপন্থী, বামপন্থী ও কপটিক খ্রিস্টান সদস্যরা নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এ অবস্থায় খসড়া সংবিধানের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। চলমান অস্থিরতাও শিগগিরই দূর হবে_এমন আশা করতে পারছেন না বিশ্লেষকরা।
তবে প্রেসিডেন্ট মুরসি গত বুধবার টাইম সাময়িকীকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, নতুন সংবিধান প্রণয়নের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তাঁর অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে সমালোচনার ব্যাপারটি নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, 'আমাদের সংবিধান তৈরি হলেই আমি যে পদক্ষেপ নিয়েছি, তা বাতিল হয়ে যাবে।' তাঁকে এ যুগের ফারাও বলা হচ্ছে_এমন কথা তোলা হলে তিনি হেসে বলেন, লোকজন রাস্তায় বিক্ষোভ করছে। এটা ইতিবাচক দিক। এর মানে হোসনি মুবারকের যুগ অবসানের পর মিসর গণতান্ত্রিক পথে রয়েছে।
গত সপ্তাহে মুরসি বিতর্কিত ওই অধ্যাদেশ জারি করেন। এতে বলা হয়, তাঁর সিদ্ধান্ত বা জারি করা বিধিবিধান কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না। কোনো কর্তৃপক্ষ, এমনকি বিচার বিভাগও তা বাতিল করতে পারবে না। নতুন সংবিধান না হওয়া পর্যন্ত মুরসির এ অধ্যাদেশের বৈধতা থাকবে। এ ঘোষণার পরই সারা দেশে বিক্ষোভ দেখা দেয়। বিচারক ও আইনজীবীরাও ধর্মঘট শুরু করেছেন। পুলিশ ও মুসলিম ব্রাদারহুডের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত তিন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বলছে, অধ্যাদেশ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তারা কায়রোর তাহরির স্কয়ার ছাড়বে না। প্রসঙ্গত, চলমান বিক্ষোভের মধ্যে সাংবিধানিক গণপরিষদকে খসড়া তৈরির কাজ শেষ করতে আরো দুই মাস সময় দিয়েছিলেন মুরসি। তবে এর আগেই খসড়া সংবিধানের কাজ শেষ করা হলো।
আগামী রবিবার রুল জারির প্রসঙ্গে সাংবিধানিক আদালতের ডেপুটি চেয়ারম্যান মাহের সামি বলেন, আদালত তাঁর উদ্বেগের বিষয়টি তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর। শেষ পর্যন্ত আদালত তাঁর কাজ চালিয়ে যাবেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মুরসি সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে এ অধ্যাদেশ জারি করেছেন। তবে তাঁর সমর্থকদের দাবি, মিসরের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের স্বার্থে নিজের ক্ষমতার পরিধি বাড়িয়েছেন মুরসি। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
এদিকে গণপরিষদ বিলুপ্ত ঘোষণার বৈধতার প্রশ্নে আগামী রবিবার দেশটির সাংবিধানিক আদালতের রুল জারি করার কথা। গত জুনে সুপ্রিম কোর্ট পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ গণপরিষদকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে।
বর্তমানে সাংবিধানিক পরিষদে মুসলিম ব্রাদারহুড ও অন্যান্য ইসলামী দলগুলোর প্রাধান্য রয়েছে। তারা ইসলামী আইন চালু করার চেষ্টা করছে_এমন অভিযোগ রয়েছে। পরিষদ থেকে উদারপন্থী, বামপন্থী ও কপটিক খ্রিস্টান সদস্যরা নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এ অবস্থায় খসড়া সংবিধানের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। চলমান অস্থিরতাও শিগগিরই দূর হবে_এমন আশা করতে পারছেন না বিশ্লেষকরা।
তবে প্রেসিডেন্ট মুরসি গত বুধবার টাইম সাময়িকীকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, নতুন সংবিধান প্রণয়নের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তাঁর অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে সমালোচনার ব্যাপারটি নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, 'আমাদের সংবিধান তৈরি হলেই আমি যে পদক্ষেপ নিয়েছি, তা বাতিল হয়ে যাবে।' তাঁকে এ যুগের ফারাও বলা হচ্ছে_এমন কথা তোলা হলে তিনি হেসে বলেন, লোকজন রাস্তায় বিক্ষোভ করছে। এটা ইতিবাচক দিক। এর মানে হোসনি মুবারকের যুগ অবসানের পর মিসর গণতান্ত্রিক পথে রয়েছে।
গত সপ্তাহে মুরসি বিতর্কিত ওই অধ্যাদেশ জারি করেন। এতে বলা হয়, তাঁর সিদ্ধান্ত বা জারি করা বিধিবিধান কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না। কোনো কর্তৃপক্ষ, এমনকি বিচার বিভাগও তা বাতিল করতে পারবে না। নতুন সংবিধান না হওয়া পর্যন্ত মুরসির এ অধ্যাদেশের বৈধতা থাকবে। এ ঘোষণার পরই সারা দেশে বিক্ষোভ দেখা দেয়। বিচারক ও আইনজীবীরাও ধর্মঘট শুরু করেছেন। পুলিশ ও মুসলিম ব্রাদারহুডের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত তিন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বলছে, অধ্যাদেশ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তারা কায়রোর তাহরির স্কয়ার ছাড়বে না। প্রসঙ্গত, চলমান বিক্ষোভের মধ্যে সাংবিধানিক গণপরিষদকে খসড়া তৈরির কাজ শেষ করতে আরো দুই মাস সময় দিয়েছিলেন মুরসি। তবে এর আগেই খসড়া সংবিধানের কাজ শেষ করা হলো।
আগামী রবিবার রুল জারির প্রসঙ্গে সাংবিধানিক আদালতের ডেপুটি চেয়ারম্যান মাহের সামি বলেন, আদালত তাঁর উদ্বেগের বিষয়টি তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর। শেষ পর্যন্ত আদালত তাঁর কাজ চালিয়ে যাবেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মুরসি সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে এ অধ্যাদেশ জারি করেছেন। তবে তাঁর সমর্থকদের দাবি, মিসরের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের স্বার্থে নিজের ক্ষমতার পরিধি বাড়িয়েছেন মুরসি। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments