'নির্বাচনী' বরাদ্দ!-কাবিখার চালের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা হোক
পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র এক বছর বাকি, অর্থাৎ এই বছরটি হচ্ছে মহাজোট সরকারের শেষ বছর। ইতিমধ্যে নির্বাচনী আমেজও শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশন আগামী নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে। নেতা-নেত্রীরা ভোটও চাইতে শুরু করেছেন।
আর এ সময়ে এসে কাজের বিনিময়ে খাদ্য বা কাবিখার অধীনে প্রত্যেক এমপিকে ৩০০ টন ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপিদের ১২০ টন করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অনেকেই এই বরাদ্দের যৌক্তিকতা ও সদ্ব্যবহার নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। কেউ কেউ একে 'নির্বাচনী' বরাদ্দ হিসেবেও উল্লেখ করেছেন।
সাধারণভাবে টেস্ট রিলিফ (টিআর) ও কাবিখা নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আর শেষ বছরের বরাদ্দ নিয়ে তো অভিযোগের কোনো শেষ নেই। ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে পুরো বরাদ্দ লোপাট করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। বিগত জোট সরকারের সময়ও এ ব্যাপারে অনেক অভিযোগ ছিল। সে সময় বিরোধী দলে থাকা আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-নেত্রী এই বরাদ্দের সমালোচনায় মুখর ছিলেন। তাঁরা কেন আজ একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করছেন, তা আমাদের বোধগম্য নয়। তাহলে এটাকেই কি সত্য বলে ধরে নিতে হবে যে 'যে যায় লঙ্কা সেই হয় রাবণ?' টিআর-কাবিখা কর্মসূচির একটি প্রধান উদ্দেশ্য হলো, দরিদ্র জনগোষ্ঠী যখন দুরবস্থায় বা খাদ্যাভাবে থাকে, তখন তাদের প্রকারান্তরে সহায়তা করা। সেই সঙ্গে গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কারের বিষয়টিও প্রাধান্য পায়। নতুন ধান উঠেছে, হাতে কাজও আছে। তাই অগ্রহায়ণ মাসের মাঝামাঝি এসে গ্রামের দরিদ্র মানুষ তেমন একটা খাদ্যাভাবে নেই। অন্যদিকে এবার কাবিখার প্রতিটি প্রকল্পের জন্য পাঁচ থেকে ২০ টন পর্যন্ত চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। ব্যবহারের জন্য সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ৬০ দিন বা দুই মাস। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, আগের মতোই কাগজপত্রে কাজ সম্পন্ন করা হবে, বাস্তবে নয়। আর প্রতিটি উপজেলায় একজন মাত্র পিআইও বা প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন অফিসার টিআর-কাবিখা প্রকল্পের তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ করেন। তাঁর পক্ষে এত অল্প সময়ের মধ্যে এত বেশি প্রকল্পের কাজ তদারকি করে দেখাও সম্ভব নয়। তদুপরি এমপিরা হচ্ছেন এলাকার সব চেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি। কয়জন পিআইওর সাধ্য আছে এমপি সাহেবদের কাজের খুঁত ধরেন? ফলে এই বরাদ্দের ব্যবহার যে যথাযথ হবে না, তা এক প্রকার নিশ্চিত করেই বলা যায়। তার পরও কেন বর্তমান সরকার অতীতের ধারায় শেষ বছরে এসে একই কাজ করতে গেল, সে প্রশ্ন উঠবেই।
গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কার একটি কারিগরি ও প্রশাসনিক কাজ। এ জন্য স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, কাঠামো ও উপজেলা প্রশাসন রয়েছে। আইনপ্রণেতা হিসেবে পরিচিত এমপিদের কেন এসব কাজে চাল বা টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। আমরা দেখলাম, বর্তমান সরকারও সেই একই পথে হেঁটে চলেছে, যা মোটেও প্রত্যাশিত ছিল না। আমরা চাই, জনগণের অর্থ ও সম্পদের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার হোক। যেকোনো ধরনের অপচয় বন্ধ করা হোক এবং এসব ক্ষেত্রে দুর্নীতিকে কঠোরভাবে দমন করা হোক।
সাধারণভাবে টেস্ট রিলিফ (টিআর) ও কাবিখা নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আর শেষ বছরের বরাদ্দ নিয়ে তো অভিযোগের কোনো শেষ নেই। ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে পুরো বরাদ্দ লোপাট করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। বিগত জোট সরকারের সময়ও এ ব্যাপারে অনেক অভিযোগ ছিল। সে সময় বিরোধী দলে থাকা আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-নেত্রী এই বরাদ্দের সমালোচনায় মুখর ছিলেন। তাঁরা কেন আজ একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করছেন, তা আমাদের বোধগম্য নয়। তাহলে এটাকেই কি সত্য বলে ধরে নিতে হবে যে 'যে যায় লঙ্কা সেই হয় রাবণ?' টিআর-কাবিখা কর্মসূচির একটি প্রধান উদ্দেশ্য হলো, দরিদ্র জনগোষ্ঠী যখন দুরবস্থায় বা খাদ্যাভাবে থাকে, তখন তাদের প্রকারান্তরে সহায়তা করা। সেই সঙ্গে গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কারের বিষয়টিও প্রাধান্য পায়। নতুন ধান উঠেছে, হাতে কাজও আছে। তাই অগ্রহায়ণ মাসের মাঝামাঝি এসে গ্রামের দরিদ্র মানুষ তেমন একটা খাদ্যাভাবে নেই। অন্যদিকে এবার কাবিখার প্রতিটি প্রকল্পের জন্য পাঁচ থেকে ২০ টন পর্যন্ত চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। ব্যবহারের জন্য সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ৬০ দিন বা দুই মাস। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, আগের মতোই কাগজপত্রে কাজ সম্পন্ন করা হবে, বাস্তবে নয়। আর প্রতিটি উপজেলায় একজন মাত্র পিআইও বা প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন অফিসার টিআর-কাবিখা প্রকল্পের তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ করেন। তাঁর পক্ষে এত অল্প সময়ের মধ্যে এত বেশি প্রকল্পের কাজ তদারকি করে দেখাও সম্ভব নয়। তদুপরি এমপিরা হচ্ছেন এলাকার সব চেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি। কয়জন পিআইওর সাধ্য আছে এমপি সাহেবদের কাজের খুঁত ধরেন? ফলে এই বরাদ্দের ব্যবহার যে যথাযথ হবে না, তা এক প্রকার নিশ্চিত করেই বলা যায়। তার পরও কেন বর্তমান সরকার অতীতের ধারায় শেষ বছরে এসে একই কাজ করতে গেল, সে প্রশ্ন উঠবেই।
গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কার একটি কারিগরি ও প্রশাসনিক কাজ। এ জন্য স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, কাঠামো ও উপজেলা প্রশাসন রয়েছে। আইনপ্রণেতা হিসেবে পরিচিত এমপিদের কেন এসব কাজে চাল বা টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। আমরা দেখলাম, বর্তমান সরকারও সেই একই পথে হেঁটে চলেছে, যা মোটেও প্রত্যাশিত ছিল না। আমরা চাই, জনগণের অর্থ ও সম্পদের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার হোক। যেকোনো ধরনের অপচয় বন্ধ করা হোক এবং এসব ক্ষেত্রে দুর্নীতিকে কঠোরভাবে দমন করা হোক।
No comments