ক্যামেরনের হুঁশিয়ারি-প্রেস নীতিমালায় অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে-লেভিসন প্রতিবেদন প্রকাশ
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের বিদ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণযোগ্য নয় বলে হুঁশিয়ারি করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের নীতিমালাবিষয়ক লেভিসন তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর গত বুধবার তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
মিডিয়া মোগল রুপার্ট মারডকের মালিকানাধীন ট্যাবলয়েড পত্রিকা নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ডের ফোনে আড়িপাতা কেলেঙ্কারির পর গত বছর এ তদন্ত শুরু হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের কথা ছিল।
ফোনে আড়িপাতা কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁসের পর গত বছর ১ জুলাই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের নীতিমালা মূল্যায়নবিষয়ক এক তদন্ত শুরু হয়। ডেভিড ক্যামেরনের নির্দেশে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের আপিল আদালতের বিচারক লর্ড ব্রায়ান লেভিসন এ তদন্ত পরিচালনা করেন। গতকাল তদন্তের এক হাজার পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী যাতে পার্লামেন্টে এ ব্যাপারে বক্তব্য দেওয়ার প্রস্তুতি নিতে পারেন, সে জন্য এক দিন আগে গত বুধবার লেভিসন তদন্তের ছয়টি অনুলিপি তাঁর ডাউনিং স্ট্রিটের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলোর জন্য কঠোর নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়েছে। গতকাল এ প্রতিবেদন নিয়ে উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগের সঙ্গে ক্যামেরনের বৈঠকের কথা ছিল। লেভিসন তদন্তের সুপারিশগুলো নিয়ে আগামী সপ্তাহে পার্লামেন্টে বিতর্কের কথা রয়েছে।
বর্তমানে প্রেস কমপ্লেইন্টস কমিশনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের নীতিমালাসংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকদের নিয়ে গঠিত এ সংস্থাকে নখদন্তহীন প্রতিষ্ঠান বলে উল্লেখ করেন সমালোচকরা। ক্যামেরন গত বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বলেন, 'ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলোকে নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বাধীন সংস্থা গঠন করা হতে পারে ও নতুন আইনও প্রণয়ন করা হতে পারে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিদ্যমান স্থিতাবস্থা শুধু অগ্রহণযোগ্যই নয়, এর পরিবর্তন ঘটানো দরকার।'
তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো নীতিমালাসংক্রান্ত নতুন কোনো আইন প্রবর্তনের বিরোধিতা করেছে। এর ফলে সংবাদমাধ্যমের ৩০০ বছরের স্বাধীনতা বিঘ্নিত হবে বলে হুঁশিয়ারি করেছে তারা। ব্রিটেনের তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলের ৮০ জনেরও বেশি এমপি গত বুধবার এ ব্যাপারে টেলিগ্রাফ ও গার্ডিয়ান পত্রিকায় একটি চিঠি প্রকাশ করেছেন। ক্যামেরনের কনজারভেটিভ পার্টির ৪২ জন এমপি এর আগে এক চিঠিতে সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত কঠোর নীতিমালার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
ফোনে আড়িপাতা কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁসের পর গত বছর ১ জুলাই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের নীতিমালা মূল্যায়নবিষয়ক এক তদন্ত শুরু হয়। ডেভিড ক্যামেরনের নির্দেশে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের আপিল আদালতের বিচারক লর্ড ব্রায়ান লেভিসন এ তদন্ত পরিচালনা করেন। গতকাল তদন্তের এক হাজার পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী যাতে পার্লামেন্টে এ ব্যাপারে বক্তব্য দেওয়ার প্রস্তুতি নিতে পারেন, সে জন্য এক দিন আগে গত বুধবার লেভিসন তদন্তের ছয়টি অনুলিপি তাঁর ডাউনিং স্ট্রিটের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলোর জন্য কঠোর নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়েছে। গতকাল এ প্রতিবেদন নিয়ে উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগের সঙ্গে ক্যামেরনের বৈঠকের কথা ছিল। লেভিসন তদন্তের সুপারিশগুলো নিয়ে আগামী সপ্তাহে পার্লামেন্টে বিতর্কের কথা রয়েছে।
বর্তমানে প্রেস কমপ্লেইন্টস কমিশনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের নীতিমালাসংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকদের নিয়ে গঠিত এ সংস্থাকে নখদন্তহীন প্রতিষ্ঠান বলে উল্লেখ করেন সমালোচকরা। ক্যামেরন গত বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বলেন, 'ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলোকে নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বাধীন সংস্থা গঠন করা হতে পারে ও নতুন আইনও প্রণয়ন করা হতে পারে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিদ্যমান স্থিতাবস্থা শুধু অগ্রহণযোগ্যই নয়, এর পরিবর্তন ঘটানো দরকার।'
তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো নীতিমালাসংক্রান্ত নতুন কোনো আইন প্রবর্তনের বিরোধিতা করেছে। এর ফলে সংবাদমাধ্যমের ৩০০ বছরের স্বাধীনতা বিঘ্নিত হবে বলে হুঁশিয়ারি করেছে তারা। ব্রিটেনের তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলের ৮০ জনেরও বেশি এমপি গত বুধবার এ ব্যাপারে টেলিগ্রাফ ও গার্ডিয়ান পত্রিকায় একটি চিঠি প্রকাশ করেছেন। ক্যামেরনের কনজারভেটিভ পার্টির ৪২ জন এমপি এর আগে এক চিঠিতে সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত কঠোর নীতিমালার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments