সাইনবোর্ড-মোরেলগঞ্জ-বগি সড়ক নির্মাণে অনিশ্চয়তা by আহাদ হায়দার
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক সিদ্ধান্তের কারণে মাঝপথে আটকে গেছে বাগেরহাটের সাইনবোর্ড-মোরেলগঞ্জ-বগি সড়কের নির্মাণকাজ। আংশিক কাজ বাস্তবায়নের পর একসঙ্গে তিনটি দরপত্র বাতিল ঘোষণা করায় মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী একমাত্র এই সড়কের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
২০০৭ সালে ‘সিডরের’ পর ধারাবাহিক ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনার সুবিধার্থে ২০০৮ সালে সড়কে সামান্য রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়। এরপর আর কোনো ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ না করায় পুরো সড়কটিই ভেঙে খানাখন্দে ভরে গেছে। ১৪ নভেম্বর সরেজমিনে দেখা যায়, সাড়ে ৫২ কিলোমিটারের প্রায় ৪০ কিলোমিটার একেবারেই যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ডিসেম্বরে প্রায় ৯০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরে সাড়ে তিন বছর মেয়াদে সড়কটি উন্নয়নের কাজ শুরু করা হয়। প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করা হয় সড়ক বিভাগের ২০০৮ সালের নির্মাণ উপকরণের সরকারি ‘মূল্য তালিকা’ অনুসরণ করে।
সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্প প্রস্তাবনাটির সঙ্গে সংগতি রেখে তিনটি ধাপ অনুসরণ করে সড়কের কাজ শুরু করা হয়েছিল। প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট কাজের প্রায় ২৬ ভাগ সম্পন্ন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। চলতি বছরের মার্চে ২০১১ সালের ‘মূল্য তালিকা’ অনুসরণ করে সড়কের তিনটি অংশে ২৫ কিলোমিটার কাজের পৃথক দরপত্র গ্রহণ করে তা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। গত ১০ অক্টোবর দরপত্রগুলো বাতিল করে ২০০৮ সালের মূল্য তালিকা অনুসরণ করে পুনরায় দরপত্র আহ্বানের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী আগামী ২৪ ডিসেম্বর এই তিনটি অংশের পুনঃ দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্ত এমন সময়ে নেওয়া হলো যখন আর বর্তমান সরকারের জন্য সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ করার সুযোগ থাকছে না। যথাযথ প্রক্রিয়ায় পুনঃ দরপত্র ও কার্যাদেশ প্রদান করতেই ২০১৩ সালের মার্চ-এপ্রিল এসে যাবে। সাধারণ প্রস্তুতি নিতে আরও প্রায় দুই মাস লাগবে। মে-জুনে বৃষ্টি শুরু হলে কাজে হাত দেওয়ার জন্য ঠিকাদারকে ২০১৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তত দিনে নির্মাণসামগ্রীর বাজার আরও কয়েক দফা বাড়লে ঠিকাদার হয়তো তাঁর লাভ-ক্ষতির হিসাব না করে কাজে হাত দেবেন না। ফলে সড়কটি ব্যবহারকারী কয়েক লাখ মানুষকে আরও অনেক দিন ভোগান্তির শিকার হতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাতিল করা দরপত্র তিনটির দুটি জমা পড়েছিল টিবিএল-এমই জেভির নামে ও একটি জমা পড়েছিল মেসার্স রুহুল আমিন ভুইঞার নামে। টিবিএল-এমইয়ের অন্যতম পরিচালক কাজী মোজাহারুল হক বলেন, দরপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত নজিরবিহীন, তেমনি পুনঃ দরপত্রের মাধ্যমে যদি এই সড়কের উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন করা যায় তাও হবে নজিরবিহীন।
বাগেরহাট সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মনোয়ার উজ জামান বলেন, ২০১২ সালের মার্চে রাস্তা উন্নয়নের এই তিনটি দরপত্র আহ্বানের আগেই সড়ক বিভাগের ২০১১ সালের ‘মূল্য তালিকা’ অনুমোদন হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সমঞ্চতি নিয়ে ২০১১ সালের মূল্য তালিকাঅনুযায়ী দরপত্র প্রাক্কলন করা হয়। কিন্তু মন্ত্রণালয় তা বাতিল করে ২০০৮ সালের মূল্য তালিকা অনুসরণ করে পুনঃ দরপত্র আহ্বান করার নির্দেশ দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ডিসেম্বরে প্রায় ৯০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরে সাড়ে তিন বছর মেয়াদে সড়কটি উন্নয়নের কাজ শুরু করা হয়। প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করা হয় সড়ক বিভাগের ২০০৮ সালের নির্মাণ উপকরণের সরকারি ‘মূল্য তালিকা’ অনুসরণ করে।
সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্প প্রস্তাবনাটির সঙ্গে সংগতি রেখে তিনটি ধাপ অনুসরণ করে সড়কের কাজ শুরু করা হয়েছিল। প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট কাজের প্রায় ২৬ ভাগ সম্পন্ন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। চলতি বছরের মার্চে ২০১১ সালের ‘মূল্য তালিকা’ অনুসরণ করে সড়কের তিনটি অংশে ২৫ কিলোমিটার কাজের পৃথক দরপত্র গ্রহণ করে তা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। গত ১০ অক্টোবর দরপত্রগুলো বাতিল করে ২০০৮ সালের মূল্য তালিকা অনুসরণ করে পুনরায় দরপত্র আহ্বানের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী আগামী ২৪ ডিসেম্বর এই তিনটি অংশের পুনঃ দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্ত এমন সময়ে নেওয়া হলো যখন আর বর্তমান সরকারের জন্য সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ করার সুযোগ থাকছে না। যথাযথ প্রক্রিয়ায় পুনঃ দরপত্র ও কার্যাদেশ প্রদান করতেই ২০১৩ সালের মার্চ-এপ্রিল এসে যাবে। সাধারণ প্রস্তুতি নিতে আরও প্রায় দুই মাস লাগবে। মে-জুনে বৃষ্টি শুরু হলে কাজে হাত দেওয়ার জন্য ঠিকাদারকে ২০১৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তত দিনে নির্মাণসামগ্রীর বাজার আরও কয়েক দফা বাড়লে ঠিকাদার হয়তো তাঁর লাভ-ক্ষতির হিসাব না করে কাজে হাত দেবেন না। ফলে সড়কটি ব্যবহারকারী কয়েক লাখ মানুষকে আরও অনেক দিন ভোগান্তির শিকার হতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাতিল করা দরপত্র তিনটির দুটি জমা পড়েছিল টিবিএল-এমই জেভির নামে ও একটি জমা পড়েছিল মেসার্স রুহুল আমিন ভুইঞার নামে। টিবিএল-এমইয়ের অন্যতম পরিচালক কাজী মোজাহারুল হক বলেন, দরপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত নজিরবিহীন, তেমনি পুনঃ দরপত্রের মাধ্যমে যদি এই সড়কের উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন করা যায় তাও হবে নজিরবিহীন।
বাগেরহাট সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মনোয়ার উজ জামান বলেন, ২০১২ সালের মার্চে রাস্তা উন্নয়নের এই তিনটি দরপত্র আহ্বানের আগেই সড়ক বিভাগের ২০১১ সালের ‘মূল্য তালিকা’ অনুমোদন হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সমঞ্চতি নিয়ে ২০১১ সালের মূল্য তালিকাঅনুযায়ী দরপত্র প্রাক্কলন করা হয়। কিন্তু মন্ত্রণালয় তা বাতিল করে ২০০৮ সালের মূল্য তালিকা অনুসরণ করে পুনঃ দরপত্র আহ্বান করার নির্দেশ দেয়।
No comments