এএফপির বিশ্লেষণ- ইসরায়েলকে আইসিসিতে নিতে পারবে ফিলিস্তিন?
ফিলিস্তিনকে ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের’ মর্যাদা দেওয়া হবে কি না, এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। ওই মর্যাদা পাওয়ার পর স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের মর্যাদা পাওয়ার পথও ফিলিস্তিনের জন্য সুগম হতে পারে।
তা না হলেও ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের’ মর্যাদাবলে জাতিসংঘের অনেক সংস্থার সদস্য হতে পারবে তারা। এর একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। তখন কি ইসরায়েলের অপরাধের বিরুদ্ধে আইসিসির কাছে অভিযোগ করতে পারবে ফিলিস্তিন?
আইসিসি প্রতিষ্ঠার জন্য ‘রোম চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয় ২০০২ সালের ১ জুলাই। ওই তারিখ বা এর পরে সংঘটিত যেকোনো গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার করতে পারে হেগভিত্তিক আইসিসি।
জাতিসংঘের সদস্য ১২১টি রাষ্ট্র এ পর্যন্ত আইসিসিকে অনুসমর্থন দিয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া এখনো রোম চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি।
আইসিসি কেবল ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগের বিচার করতে পারে, কোনো রাষ্ট্রের নয়। অভিযুক্ত ও অভিযোগকারীকে সার্বভৌম দেশের নাগরিক হতে হবে এবং অপরাধ সংঘটিত হতে হবে সার্বভৌম কোনো দেশের ভূখণ্ডে। কেবল রাষ্ট্রপক্ষই কোনো অপরাধের বিচার বা তদন্তের জন্য আইসিসির কাছে আবেদন করতে পারে। তবে নিরাপত্তা পরিষদও কোনো অপরাধের বিচারের জন্য আইসিসিকে বলতে পারে। অথবা বিচারকদের সম্মতিক্রমে আইসিসির কোনো কৌঁসুলি নিজে থেকেই তদন্তের উদ্যোগ নিতে পারেন।
কিন্তু ইসরায়েলের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে এমন কোনো উদ্যোগের সম্ভবনা নেই বললেই চলে। কারণ ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। ইসরায়েলকে রক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রায়ই নিরাপত্তা পরিষদে তাদের ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে থাকে।
আইসিসি প্রতিষ্ঠার জন্য ‘রোম চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয় ২০০২ সালের ১ জুলাই। ওই তারিখ বা এর পরে সংঘটিত যেকোনো গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার করতে পারে হেগভিত্তিক আইসিসি।
জাতিসংঘের সদস্য ১২১টি রাষ্ট্র এ পর্যন্ত আইসিসিকে অনুসমর্থন দিয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া এখনো রোম চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি।
আইসিসি কেবল ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগের বিচার করতে পারে, কোনো রাষ্ট্রের নয়। অভিযুক্ত ও অভিযোগকারীকে সার্বভৌম দেশের নাগরিক হতে হবে এবং অপরাধ সংঘটিত হতে হবে সার্বভৌম কোনো দেশের ভূখণ্ডে। কেবল রাষ্ট্রপক্ষই কোনো অপরাধের বিচার বা তদন্তের জন্য আইসিসির কাছে আবেদন করতে পারে। তবে নিরাপত্তা পরিষদও কোনো অপরাধের বিচারের জন্য আইসিসিকে বলতে পারে। অথবা বিচারকদের সম্মতিক্রমে আইসিসির কোনো কৌঁসুলি নিজে থেকেই তদন্তের উদ্যোগ নিতে পারেন।
কিন্তু ইসরায়েলের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে এমন কোনো উদ্যোগের সম্ভবনা নেই বললেই চলে। কারণ ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। ইসরায়েলকে রক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রায়ই নিরাপত্তা পরিষদে তাদের ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে থাকে।
No comments