ডাক্তার হওয়ার আগেই ঝরে গেলো দুটি প্রাণ by সাব্বির আহমদ
ডাক্তার হয়ে সেবা করার বাসনা শূন্যে মিলিয়ে হয়ে গেলো দুই মেডিকেল শিক্ষার্থীর। নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের কোলে চড়তে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তারা। কলেজে ঈদ ও পূজার বন্ধ থাকায় বাড়িতে ফেরার কথা ছিল তাদের।
তাই তারা ১৭ জন বন্ধু ঠিক করেছিলেন, সেন্টামার্টিন ঘুরে তারপর বাড়ি ফিরবেন। সেন্টামার্টিন যাবার জন্য ট্রেন না পেয়ে গাড়িযোগে রওনা দিয়েছিলেন। আর মৃত্য যেন অপেক্ষা করছিল মহাসড়কে। তাদের ১৫ জন এখন হাসপাতালে আহত। আর বাকি দু’জন বাড়ি ফিরছেন লাশ হয়ে।
মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়া দুই শিক্ষার্থী এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের (নতুন) মঈনুদ্দীন ও চতুর্থ বর্ষের শহীদুল। সঙ্গে আহত হন ১৫ জন মেডিকেল ছাত্রসহ ২০ জন। এর মধ্যে শাবিপ্রবির দুই ছাত্র ও দুইজন বিজিবি সদস্য রয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত আরো দু’জন মেডিকেল ছাত্র শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত আশংকামুক্ত নয়। এর মধ্যে ৪৮ তম ব্যাচের মামুনুর রশীদকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিউ) রাখা হয়েছে। অপরজন মিজানুর রহমানের জরুরি চিকিৎসা চলছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার সদরঘাট নতুনবাজারে একজন পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে ছাত্রদের বহনকারী বাসটি উল্টে গিয়ে পাশ্ববর্তী কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
ওসমানী হাসপাতালের জরুরি বিভাগ জানায়, আহত অবস্থায় হাসপাতলে ভর্তি হয়েছেন কলেজের ৪৮তম ব্যাচের জালাল, ওয়ালী মাসুদ, তুর্য, পবন, আশরাফ, চঞ্চল, মামুন, এনাম, কামরুজ্জামান, জাহাঙ্গীর, মিজান এবং ৪৭তম ব্যাচের মাহমুদ।
নিহত ওসমানী মেডিকেল কলেজের ৪৭তম ব্যাচের মঈনুদ্দীন ২০০৯ সালে ভর্তি হয়েছিলেন ওসমানী মেডিকেল কলেজে। থাকতেন কলেজের আবু সিনা ছাত্রাবাসে। এর আগে ২০০৮ সালে ঢাকা সিটি কলেজ তিনি থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন ঢাকার আহমেদ বাউনি একাডেমীতে। ২০০৬ সালে এসএসসি পাশ করেন লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের বিরাহীমপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে।
নিহত শহীদুল নিজের সম্পর্কে ফেসবুকে লিখেছিলেন “আই লাইক টু মেইক ড্রিম”। ২০০৮ ঢাকার নটরডেম থেকে এইচএসসি পাশ করে ভর্তি হয়েছিলেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে। এর আগে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন ফেনীর শাহীন একাডেমীতে।
শুক্রবার দুপুরে নিহতদের আত্মীয় স্বজন হাসপাতালে এসে পৌঁছেছেন। কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে ওসমানী মেডিকেল কলেজের ছাত্রবাস। রাতে যখন বন্ধুদের দুর্ঘটনার খবর পেয়েছিলেন তখন শত শত শিক্ষার্থী হাসপাতালে গিয়ে লাইন ধরেছিলেন রক্ত দিতে।
হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মকবুল হোসেন জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়েই মেডিকেল ছাত্রছাত্রীরা ব্লাড ব্যাংকে রক্ত দিতে শুরু করেন। তখনো আহতদের কেউ ওসমানী হাসপাতালে আসেনি। তিনি জানান, রাত ৩টা পর্যন্ত প্রায় ২৫ ব্যাগ রক্ত সংগৃহীত হয়েছে। তখনো লাইনে প্রায় অর্ধশত ছাত্রছাত্রী রক্ত দেবার জন্যে অপেক্ষা করছিলেন।
আহত একজন শিক্ষার্থী মামুনুর রশীদ ওসমানী হাসপাতালে কথা বলেন বাংলনিউজের সঙ্গে। তিনি জানান, তার মামুন স্টেশাল (চট্ট-মেট্রো-ব-১১-০২৯৮) বাসে চড়ে চট্রগ্রামে যাচ্ছিলেন। সেখানে এক বন্ধুর বাসায় নাস্তা করে ভ্রমণের প্রথমদিন শুক্রবার কক্সবাজার এবং দ্বিতীয়দিন সেন্টমার্টিন তৃতীয়দিন আবার কক্সবাজার এরপর সবাই যার যার বাড়ি ফেরার কথা ছিল।
রাতে যখন বাস দুর্ঘটনায় পড়তে যাচ্ছে তখন অনেকেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি জানান, নিহত দুইজনই সামনের দিকে বসা ছিলেন। বাসটি একজন পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে পাশের একটি কালভার্টে সজোরে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। ওই পথচারীও মারা যান।
গুরুতর আহত অবস্থায় শহীদুল ইসলাম ওসমানী হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় আহত আরো দু’জন মেডিকেল ছাত্র শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত আশংকামুক্ত নয়। এর মধ্যে ৪৮ তম ব্যাচের মামুনুর রশীদকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিউ) রাখা হয়েছে। অপরজন মিজানুর রহমানের জরুরি চিকিৎসা চলছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার সদরঘাট নতুনবাজারে একজন পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে ছাত্রদের বহনকারী বাসটি উল্টে গিয়ে পাশ্ববর্তী কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
ওসমানী হাসপাতালের জরুরি বিভাগ জানায়, আহত অবস্থায় হাসপাতলে ভর্তি হয়েছেন কলেজের ৪৮তম ব্যাচের জালাল, ওয়ালী মাসুদ, তুর্য, পবন, আশরাফ, চঞ্চল, মামুন, এনাম, কামরুজ্জামান, জাহাঙ্গীর, মিজান এবং ৪৭তম ব্যাচের মাহমুদ।
নিহত ওসমানী মেডিকেল কলেজের ৪৭তম ব্যাচের মঈনুদ্দীন ২০০৯ সালে ভর্তি হয়েছিলেন ওসমানী মেডিকেল কলেজে। থাকতেন কলেজের আবু সিনা ছাত্রাবাসে। এর আগে ২০০৮ সালে ঢাকা সিটি কলেজ তিনি থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন ঢাকার আহমেদ বাউনি একাডেমীতে। ২০০৬ সালে এসএসসি পাশ করেন লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের বিরাহীমপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে।
নিহত শহীদুল নিজের সম্পর্কে ফেসবুকে লিখেছিলেন “আই লাইক টু মেইক ড্রিম”। ২০০৮ ঢাকার নটরডেম থেকে এইচএসসি পাশ করে ভর্তি হয়েছিলেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে। এর আগে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন ফেনীর শাহীন একাডেমীতে।
শুক্রবার দুপুরে নিহতদের আত্মীয় স্বজন হাসপাতালে এসে পৌঁছেছেন। কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে ওসমানী মেডিকেল কলেজের ছাত্রবাস। রাতে যখন বন্ধুদের দুর্ঘটনার খবর পেয়েছিলেন তখন শত শত শিক্ষার্থী হাসপাতালে গিয়ে লাইন ধরেছিলেন রক্ত দিতে।
হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মকবুল হোসেন জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়েই মেডিকেল ছাত্রছাত্রীরা ব্লাড ব্যাংকে রক্ত দিতে শুরু করেন। তখনো আহতদের কেউ ওসমানী হাসপাতালে আসেনি। তিনি জানান, রাত ৩টা পর্যন্ত প্রায় ২৫ ব্যাগ রক্ত সংগৃহীত হয়েছে। তখনো লাইনে প্রায় অর্ধশত ছাত্রছাত্রী রক্ত দেবার জন্যে অপেক্ষা করছিলেন।
আহত একজন শিক্ষার্থী মামুনুর রশীদ ওসমানী হাসপাতালে কথা বলেন বাংলনিউজের সঙ্গে। তিনি জানান, তার মামুন স্টেশাল (চট্ট-মেট্রো-ব-১১-০২৯৮) বাসে চড়ে চট্রগ্রামে যাচ্ছিলেন। সেখানে এক বন্ধুর বাসায় নাস্তা করে ভ্রমণের প্রথমদিন শুক্রবার কক্সবাজার এবং দ্বিতীয়দিন সেন্টমার্টিন তৃতীয়দিন আবার কক্সবাজার এরপর সবাই যার যার বাড়ি ফেরার কথা ছিল।
রাতে যখন বাস দুর্ঘটনায় পড়তে যাচ্ছে তখন অনেকেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি জানান, নিহত দুইজনই সামনের দিকে বসা ছিলেন। বাসটি একজন পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে পাশের একটি কালভার্টে সজোরে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। ওই পথচারীও মারা যান।
গুরুতর আহত অবস্থায় শহীদুল ইসলাম ওসমানী হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
No comments