চরাচর-হারিয়ে যাচ্ছে গেণ্ডারিয়ার বানর by শরাফত হোসেন
পুরান ঢাকার নানা ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ বানর আর আগের মতো চোখে পড়ে না। খাবার, বাসস্থান- কোনো কিছুই আর নিরাপদ নেই এই প্রাণীর। এ কারণেই হয়তো গেণ্ডারিয়ার বানরগুলো হারিয়ে যেতেবসেছে।ব্যক্তিগতভাবে কেউ কেউ বানরগুলোকে রুটি-কলা খেতে দেন।
ছুটির দিনে গেণ্ডারিয়ার সাধনা ঔষধালয় এলাকায় যাঁরা বানর দেখতে আসেন, তাঁরা এ কাজ বেশি করেন। কিন্তু সংকট নিরসনে এ যৎসামান্যই।
পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়া এলাকার ৭১ দীননাথ সেন রোড- এ ঠিকানায় শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. যোগেশ চন্দ্র ঘোষ প্রতিষ্ঠা করেন 'সাধনা ঔষধালয়'। এখানে রয়েছে হরীতকী, আমলকীসহ বিভিন্ন ঔষধি ফলের গাছ। মূল ভবনের গেটে দাঁড়ালেই চোখে পড়ে পাশের ভবনে বানরের অবাধ বিচরণ, আর তা দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়। সাধনা ভবনের মধ্যে বানরের অবাধ বিচরণ প্রসঙ্গে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, ডা. যোগেশ চন্দ্র ঘোষ এ জায়গায় বাড়ি করার আগে গোটা এলাকায় ছিল ঝোপ-জঙ্গল। বাড়ি তৈরির পর বানর, বেজি, বিড়াল, ইঁদুরসহ বিভিন্ন প্রাণী বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ডা. যোগেশ চন্দ্র ওগুলোকে খাবার দিতেন ও বেশ আদর-যত্ন করতেন। পরে কেউ আর তাদের তাড়ায়নি। এখনো কিছুসংখ্যক বানর আছে, এগুলো বাইরে ঘুরলেও ফ্যাক্টরি বা অফিস কক্ষে যায় না। দর্শনার্থীরা দূর থেকে এদের দেখে, খাবার দেয়। কোনোটা ছোট, কোনোটা বড়, ছোট বানরগুলো বড়গুলোর পিঠে চড়ে বেড়ায়। মা বানরগুলো বাচ্চাগুলোকে বুকে চেপে ধরে লাফিয়ে একটার পর একটা ছাদ পাড়ি দেয়।
বছর চারেক আগে থেকে সরকার বানরের খাবার সংগ্রহে সহায়তা দিয়ে আসছে। গত বছর থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসন এ দায়িত্ব হস্তান্তর করে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ওপর। কিন্তু নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অজুহাতে ২০১১-১২ অর্থবছরের অর্থছাড়ের বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে ডিসিসি। ফলে এখন আবার খাবার সংকটে পড়েছে পুরান ঢাকার বানরগুলো। খাবার সংগ্রহ করতে অনেক বাসাবাড়িতে হানা দিচ্ছে বানরগুলো। গেণ্ডারিয়ার বাসিন্দা লতিফুল বারী হামিম জানান, 'তাঁর বাসায় জানালার গ্রিল দিয়ে প্রায়ই ঢুকে পড়ে বানর, কিন্তু এতে তাঁরা আতঙ্কগ্রস্ত হন না, খাবার দিলে খেয়ে চলে যায়। তাঁর পাঁচ বছরের মেয়ে রুহামাও বানর দেখে ভয় পায় না, বরং খুশি হয়।' এ রকম অভিজ্ঞতা আশপাশের প্রায় সবারই আছে বলে জানান তিনি।
শরাফত হোসেন
পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়া এলাকার ৭১ দীননাথ সেন রোড- এ ঠিকানায় শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. যোগেশ চন্দ্র ঘোষ প্রতিষ্ঠা করেন 'সাধনা ঔষধালয়'। এখানে রয়েছে হরীতকী, আমলকীসহ বিভিন্ন ঔষধি ফলের গাছ। মূল ভবনের গেটে দাঁড়ালেই চোখে পড়ে পাশের ভবনে বানরের অবাধ বিচরণ, আর তা দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়। সাধনা ভবনের মধ্যে বানরের অবাধ বিচরণ প্রসঙ্গে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, ডা. যোগেশ চন্দ্র ঘোষ এ জায়গায় বাড়ি করার আগে গোটা এলাকায় ছিল ঝোপ-জঙ্গল। বাড়ি তৈরির পর বানর, বেজি, বিড়াল, ইঁদুরসহ বিভিন্ন প্রাণী বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ডা. যোগেশ চন্দ্র ওগুলোকে খাবার দিতেন ও বেশ আদর-যত্ন করতেন। পরে কেউ আর তাদের তাড়ায়নি। এখনো কিছুসংখ্যক বানর আছে, এগুলো বাইরে ঘুরলেও ফ্যাক্টরি বা অফিস কক্ষে যায় না। দর্শনার্থীরা দূর থেকে এদের দেখে, খাবার দেয়। কোনোটা ছোট, কোনোটা বড়, ছোট বানরগুলো বড়গুলোর পিঠে চড়ে বেড়ায়। মা বানরগুলো বাচ্চাগুলোকে বুকে চেপে ধরে লাফিয়ে একটার পর একটা ছাদ পাড়ি দেয়।
বছর চারেক আগে থেকে সরকার বানরের খাবার সংগ্রহে সহায়তা দিয়ে আসছে। গত বছর থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসন এ দায়িত্ব হস্তান্তর করে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ওপর। কিন্তু নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অজুহাতে ২০১১-১২ অর্থবছরের অর্থছাড়ের বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে ডিসিসি। ফলে এখন আবার খাবার সংকটে পড়েছে পুরান ঢাকার বানরগুলো। খাবার সংগ্রহ করতে অনেক বাসাবাড়িতে হানা দিচ্ছে বানরগুলো। গেণ্ডারিয়ার বাসিন্দা লতিফুল বারী হামিম জানান, 'তাঁর বাসায় জানালার গ্রিল দিয়ে প্রায়ই ঢুকে পড়ে বানর, কিন্তু এতে তাঁরা আতঙ্কগ্রস্ত হন না, খাবার দিলে খেয়ে চলে যায়। তাঁর পাঁচ বছরের মেয়ে রুহামাও বানর দেখে ভয় পায় না, বরং খুশি হয়।' এ রকম অভিজ্ঞতা আশপাশের প্রায় সবারই আছে বলে জানান তিনি।
শরাফত হোসেন
No comments