সংহতি সমাবেশে বক্তারা- এই সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রাষ্ট্রের জন্মসনদের পরিপন্থী
রাজধানীতে গতকাল শুক্রবার এক নাগরিক প্রতিবাদ ও সংহতি সমাবেশে বক্তারা বলেন, রামু, উখিয়া, টেকনাফ ও পটিয়ায় বৌদ্ধবিহার ও বসতিতে হামলার ঘটনায় জাতিগত ও ধর্মীয় সব সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মধ্যে গভীর আস্থাহীনতা তৈরি করেছে। তাঁরা বলেন, এই সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মসনদের পরিপন্থী।
‘অসাম্প্রদায়িক ও জাতিগত বৈষম্যমূলক বাংলাদেশ চাই’ দাবি সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে এ সমাবেশ থেকে পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো হলো: রামু, উখিয়া ও পটিয়ায় বৌদ্ধবিহারে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে প্রধান করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন, এ ঘটনায় ব্যর্থ স্থানীয় প্রশাসনকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করা এবং দোষী প্রমাণিত হলে তাদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা, সময়সীমা বেঁধে দিয়ে রামু, উখিয়া ও পটিয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন; অবিলম্বে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ করা এবং প্রশাসন ও শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রাথমিক স্তর থেকেই আধুনিক, অসাম্প্রদায়িক ও বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলা।
সমাবেশে গবেষক ও কলামলেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ রামুর ঘটনায় সরকারি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক খেলা শুরু হয়েছে। ওই ঘটনায় যারা ইন্ধন দিয়েছে এবং প্রশাসনের যারা এর সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের শাস্তির সম্মুখীন করতে হবে।
গণ-ঐক্য কমিটির আহ্বায়ক পঙ্কজ ভট্টাচার্য দাবি করেন, রামু ও উখিয়ায় বৌদ্ধমন্দির ও বসতিতে হামলার ঘটনাটি ছিল শতকোটি টাকার একটি পূর্বপরিকল্পিত প্রকল্প। অঢেল টাকা দিয়ে বশীভূত করায় স্থানীয় প্রশাসন তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই প্রশাসন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের প্রশাসন হতে পারে না, একে ভেঙে দিতে হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের একটি অসাম্প্রদায়িক সংবিধান ছিল। কিন্তু স্বৈরশাসকদের দ্বারা পরিবর্তিত হওয়ার কারণে একে আর সবার সংবিধান বলা যায় না। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, অতীতে সংখ্যালঘু ও আদিবাসী জাতিসত্তার ওপর হামলার বিচার হয়নি বলেই সাম্প্রদায়িক শক্তি আবার হামলা করতে সাহস পাচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শক্তিপদ ত্রিপুরা অভিযোগ করেন, ওই হামলার পেছনে একটি বিশেষ শক্তির উসকানি ও সহযোগিতা ছিল।
প্রবীণ শিক্ষাবিদ সরদার ফজলুল করিম সমাবেশে উপস্থিত হয়ে সংহতি প্রকাশ করেন। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক কাবেরী গায়েন।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কুদ্দুছ, সিপিবির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সামসুজ্জামান, বৌদ্ধ ধর্মগুরু ধর্মমিত্র মহাস্থবির, সম্মিলিত সামাজিক সংগঠনের সভাপতি অজয় রায় প্রমুখ। এ ছাড়া সমাবেশে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সংহতি প্রকাশ করেন।
দাবিগুলো হলো: রামু, উখিয়া ও পটিয়ায় বৌদ্ধবিহারে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে প্রধান করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন, এ ঘটনায় ব্যর্থ স্থানীয় প্রশাসনকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করা এবং দোষী প্রমাণিত হলে তাদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা, সময়সীমা বেঁধে দিয়ে রামু, উখিয়া ও পটিয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন; অবিলম্বে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ করা এবং প্রশাসন ও শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রাথমিক স্তর থেকেই আধুনিক, অসাম্প্রদায়িক ও বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলা।
সমাবেশে গবেষক ও কলামলেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ রামুর ঘটনায় সরকারি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক খেলা শুরু হয়েছে। ওই ঘটনায় যারা ইন্ধন দিয়েছে এবং প্রশাসনের যারা এর সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের শাস্তির সম্মুখীন করতে হবে।
গণ-ঐক্য কমিটির আহ্বায়ক পঙ্কজ ভট্টাচার্য দাবি করেন, রামু ও উখিয়ায় বৌদ্ধমন্দির ও বসতিতে হামলার ঘটনাটি ছিল শতকোটি টাকার একটি পূর্বপরিকল্পিত প্রকল্প। অঢেল টাকা দিয়ে বশীভূত করায় স্থানীয় প্রশাসন তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই প্রশাসন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের প্রশাসন হতে পারে না, একে ভেঙে দিতে হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের একটি অসাম্প্রদায়িক সংবিধান ছিল। কিন্তু স্বৈরশাসকদের দ্বারা পরিবর্তিত হওয়ার কারণে একে আর সবার সংবিধান বলা যায় না। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, অতীতে সংখ্যালঘু ও আদিবাসী জাতিসত্তার ওপর হামলার বিচার হয়নি বলেই সাম্প্রদায়িক শক্তি আবার হামলা করতে সাহস পাচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শক্তিপদ ত্রিপুরা অভিযোগ করেন, ওই হামলার পেছনে একটি বিশেষ শক্তির উসকানি ও সহযোগিতা ছিল।
প্রবীণ শিক্ষাবিদ সরদার ফজলুল করিম সমাবেশে উপস্থিত হয়ে সংহতি প্রকাশ করেন। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক কাবেরী গায়েন।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কুদ্দুছ, সিপিবির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সামসুজ্জামান, বৌদ্ধ ধর্মগুরু ধর্মমিত্র মহাস্থবির, সম্মিলিত সামাজিক সংগঠনের সভাপতি অজয় রায় প্রমুখ। এ ছাড়া সমাবেশে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সংহতি প্রকাশ করেন।
No comments