জেসমিন পাঁচ দিনের রিমান্ডে
হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদের স্ত্রী ও হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। তদন্তদলের প্রধান দুদকের জ্যেষ্ঠ উপপরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী সাংবাদিকদের বলেন, 'জেসমিন ইসলাম হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান।
সরিয়ে ফেলা অর্থ কোথায় রাখা হয়েছে, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু আমরা জানতে পারব বলে আশা করছি।'
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমবার রমনা থানা থেকে জেসমিন ইসলামকে দুদক কার্যালয়ে নেওয়া হয় গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টা ২৪ মিনিটে। দুদকের জ্যেষ্ঠ উপপরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি দল দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁকে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে আদালতে নিয়ে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেখান থেকে সন্ধ্যায় আবার জেসমিনকে দুদক কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখা থেকে অনিয়মের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের অর্থ তুলে নেওয়ার মামলায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ থেকে জেসমিনকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৪ ও র্যাবের গোয়েন্দা শাখার একটি যৌথ দল। জেসমিন সেখানে তাঁর এক খালাতো বোনের বাসায় আত্মগোপন করেছিলেন বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তারের পর ওই রাতেই তাঁকে রমনা থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাঁকে।
এদিকে র্যাব-৪-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ সাংবাদিকদের জানান, জেসমিন ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। গত ১০ অক্টোবর মিরপুরের বাসা থেকে মানিকগঞ্জে গিয়ে আত্মগোপন করেন তিনি। দুদক ও র্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়।
সোনালী ব্যাংক থেকে অনিয়মের মাধ্যমে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে গত ৭ অক্টোবর ঢাকার মিরপুরের একটি বাড়ি থেকে হলমার্কের এমডি তানভীর মাহমুদ এবং তাঁর ভায়রা ও প্রতিষ্ঠানের জিএম তুষার আহমেদকে গ্রেপ্তার করেন র্যাব সদস্যরা। ওই মামলায় বৃহস্পতিবার মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তানভীর মাহমুদ।
আমাদের আদালত প্রতিবেদক জানান, ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় গতকাল হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার মহানগর হাকিম মোস্তফা শাহরিয়ার খান। কারসাজির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক থেকে এক হাজার ৫৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ৪ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন তানভীর, জেসমিনসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা দায়ের করে। আসামিদের মধ্যে সাতজন হলমার্কের এবং বাকিরা সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা। ওই ১১ মামলার মধ্যে রমনা থানায় দায়ের করা ১০(১০)১২ নম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মশিউর রহমান গতকাল বিকেলে জেসমিনকে সিএমএম আদালতে হাজির করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অন্য ১০টি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর তদন্ত কর্মকর্তারা।
আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট কাজী নজিব উল্লাহ হিরু রিমান্ড বাতিল এবং জামিন আবেদনের ওপর শুনানি করেন। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন বিশেষ পিপি মোশারফ হোসেন কাজল, মো. কবির হোসেইন এবং মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
রিমান্ড আবেদনের শুনানিতে দুদকের বিশেষ পিপি কাজল বলেন, দুদক প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে মামলাটি দায়ের করেছে। আসামি হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান। আনোয়ারা স্পিনিং মিলস নামের একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে এলসি খুলে সোনালী ব্যাংকের ২০৮ কোটি আট লাখ ৭৬ হাজার ২০০ টাকা আত্মসাত করেছেন আসামি। টাকাগুলো কোথায় আছে, তা এই আসামি জানেন। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসামিকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমবার রমনা থানা থেকে জেসমিন ইসলামকে দুদক কার্যালয়ে নেওয়া হয় গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টা ২৪ মিনিটে। দুদকের জ্যেষ্ঠ উপপরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি দল দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁকে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে আদালতে নিয়ে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেখান থেকে সন্ধ্যায় আবার জেসমিনকে দুদক কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখা থেকে অনিয়মের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের অর্থ তুলে নেওয়ার মামলায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ থেকে জেসমিনকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৪ ও র্যাবের গোয়েন্দা শাখার একটি যৌথ দল। জেসমিন সেখানে তাঁর এক খালাতো বোনের বাসায় আত্মগোপন করেছিলেন বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তারের পর ওই রাতেই তাঁকে রমনা থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাঁকে।
এদিকে র্যাব-৪-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ সাংবাদিকদের জানান, জেসমিন ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। গত ১০ অক্টোবর মিরপুরের বাসা থেকে মানিকগঞ্জে গিয়ে আত্মগোপন করেন তিনি। দুদক ও র্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়।
সোনালী ব্যাংক থেকে অনিয়মের মাধ্যমে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে গত ৭ অক্টোবর ঢাকার মিরপুরের একটি বাড়ি থেকে হলমার্কের এমডি তানভীর মাহমুদ এবং তাঁর ভায়রা ও প্রতিষ্ঠানের জিএম তুষার আহমেদকে গ্রেপ্তার করেন র্যাব সদস্যরা। ওই মামলায় বৃহস্পতিবার মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তানভীর মাহমুদ।
আমাদের আদালত প্রতিবেদক জানান, ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় গতকাল হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার মহানগর হাকিম মোস্তফা শাহরিয়ার খান। কারসাজির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক থেকে এক হাজার ৫৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ৪ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন তানভীর, জেসমিনসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা দায়ের করে। আসামিদের মধ্যে সাতজন হলমার্কের এবং বাকিরা সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা। ওই ১১ মামলার মধ্যে রমনা থানায় দায়ের করা ১০(১০)১২ নম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মশিউর রহমান গতকাল বিকেলে জেসমিনকে সিএমএম আদালতে হাজির করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অন্য ১০টি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর তদন্ত কর্মকর্তারা।
আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট কাজী নজিব উল্লাহ হিরু রিমান্ড বাতিল এবং জামিন আবেদনের ওপর শুনানি করেন। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন বিশেষ পিপি মোশারফ হোসেন কাজল, মো. কবির হোসেইন এবং মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
রিমান্ড আবেদনের শুনানিতে দুদকের বিশেষ পিপি কাজল বলেন, দুদক প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে মামলাটি দায়ের করেছে। আসামি হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান। আনোয়ারা স্পিনিং মিলস নামের একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে এলসি খুলে সোনালী ব্যাংকের ২০৮ কোটি আট লাখ ৭৬ হাজার ২০০ টাকা আত্মসাত করেছেন আসামি। টাকাগুলো কোথায় আছে, তা এই আসামি জানেন। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসামিকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
No comments