অসহায় বাবা অসহায় মেয়ে
রিকশাচালক বাবলু যাতভ (৩৮) বিয়ে করেছিলেন অনেক আগে। স্ত্রী শান্তি দেবীর সঙ্গে ভালোই দিন কাটছিল। অভাব একটা ছিল অবশ্য। বিয়ের বয়স পনেরতে পড়লেও তাঁদের ঘরে যে তখনো নতুন অতিথির পা পড়েনি। শেষ পর্যন্ত তাঁদের মুখে হাসি ফোটে। গত ২০ সেপ্টেম্বর তাঁদের ঘর আলো করে জন্ম নেয় এক কন্যাসন্তান।
তবে এত সুখ সহ্য হয়নি শান্তি দেবীর। মেয়েকে জন্ম দেওয়ার পরপরই পরপারে পাড়ি জমান তিনি। আর মেয়েকে নিয়ে অথৈ সাগরে পড়েন বাবলু। কারণ রিকশা নিয়ে যে পথে নামবেন, মেয়েকে দেখবে কে? ঘরে যে আর কেউ নেই।
এদিকে রিকশা নিয়ে বের না হলেও তো চলে না। নিজেই কী খাবেন, মেয়েকে কী খাওয়াবেন? বাধ্য হয়ে মেয়েকে নিয়েই রিকশা চালানো শুরু করেন। একহাতে মেয়েকে বুকের সঙ্গে জড়িয়ে ধরে আরেক হাতে রিকশার হাতল সামলান তিনি। সেখানেও বাধে বিপত্তি। এতটুকুন মেয়ে কী আর রোদ-বৃষ্টি-ঝড় সহ্য করতে পারে? কয়েকদিন পরই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। রিকশা ফেলে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন বাবলু।
ভারতের রাজস্থান রাজ্যের ভারতপুর এলাকায় বাড়ি বাবলুর। তাঁর ভাষ্যমতে, 'বিয়ের এত বছর পর সন্তান আসার খবরে আমরা খুবই খুশি ছিলাম। কিন্তু দুঃখের কথা ও (শান্তি) চলে গেল। কিন্তু সন্তান রেখে কাজে যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। দূরসম্পর্কের আত্মীয়দের বলেছিলাম মেয়েকে দেখাশোনার করার জন্য। কিন্তু তাঁরা না করে দিয়েছে। মেয়ের দুধের জোগাড় করতে রাস্তায় আমাকে নামতেই হয়। তা ছাড়া ঘর ভাড়া বাবদ মাসে ৫০০ রুপি এবং রিকশা ভাড়া বাবদ দৈনিক ৩০ রুপি দিতে হয়। সেটাও তো জোগাড় করতে হবে। আমার কোলে মেয়েকে দেখে অনেক যাত্রী তাকে তাঁদের কাছে দিতে বলেন, যাতে করে আমি নিরাপদে রিকশা চালাতে পারি। সন্তান নিয়ে নানাজনে নানা পরামর্শ দেয়। তবে সমাধানের উপায় কেউ বলে না।'
বাবলু ও তার মেয়ের দুরবস্থার এ চিত্র তুলে ধরে গত বৃহস্পতিবার বিবিসি হিন্দি সার্ভিসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তা দেখে গতকাল শুক্রবার স্থানীয় একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান বাবলুর মেয়ের দেখভাল করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে এত কষ্ট সত্ত্বেও দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে চান না বাবলু। আদরের সন্তানকে নিজ হাতে মানুষ করতে চান তিনি। সূত্র : বিবিসি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এদিকে রিকশা নিয়ে বের না হলেও তো চলে না। নিজেই কী খাবেন, মেয়েকে কী খাওয়াবেন? বাধ্য হয়ে মেয়েকে নিয়েই রিকশা চালানো শুরু করেন। একহাতে মেয়েকে বুকের সঙ্গে জড়িয়ে ধরে আরেক হাতে রিকশার হাতল সামলান তিনি। সেখানেও বাধে বিপত্তি। এতটুকুন মেয়ে কী আর রোদ-বৃষ্টি-ঝড় সহ্য করতে পারে? কয়েকদিন পরই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। রিকশা ফেলে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন বাবলু।
ভারতের রাজস্থান রাজ্যের ভারতপুর এলাকায় বাড়ি বাবলুর। তাঁর ভাষ্যমতে, 'বিয়ের এত বছর পর সন্তান আসার খবরে আমরা খুবই খুশি ছিলাম। কিন্তু দুঃখের কথা ও (শান্তি) চলে গেল। কিন্তু সন্তান রেখে কাজে যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। দূরসম্পর্কের আত্মীয়দের বলেছিলাম মেয়েকে দেখাশোনার করার জন্য। কিন্তু তাঁরা না করে দিয়েছে। মেয়ের দুধের জোগাড় করতে রাস্তায় আমাকে নামতেই হয়। তা ছাড়া ঘর ভাড়া বাবদ মাসে ৫০০ রুপি এবং রিকশা ভাড়া বাবদ দৈনিক ৩০ রুপি দিতে হয়। সেটাও তো জোগাড় করতে হবে। আমার কোলে মেয়েকে দেখে অনেক যাত্রী তাকে তাঁদের কাছে দিতে বলেন, যাতে করে আমি নিরাপদে রিকশা চালাতে পারি। সন্তান নিয়ে নানাজনে নানা পরামর্শ দেয়। তবে সমাধানের উপায় কেউ বলে না।'
বাবলু ও তার মেয়ের দুরবস্থার এ চিত্র তুলে ধরে গত বৃহস্পতিবার বিবিসি হিন্দি সার্ভিসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তা দেখে গতকাল শুক্রবার স্থানীয় একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান বাবলুর মেয়ের দেখভাল করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে এত কষ্ট সত্ত্বেও দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে চান না বাবলু। আদরের সন্তানকে নিজ হাতে মানুষ করতে চান তিনি। সূত্র : বিবিসি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments