সিসিমপুর- শিকুর ডাকাডাকি যন্ত্র

টুকটুকি, শিকু, ইকরি ও হালুমকে নিয়ে সিসিমপুরের গল্প। সঙ্গে আছে আরও অনেকে। সবাই মিলে নানা কাণ্ড ঘটায় এখানে, যা জানতে হলেপড়তে হবে। আবিষ্কারক শিকু একটা অদ্ভুত যন্ত্র নাড়াচাড়া করছে। ইকরি এসে বলল, ‘এটা কী, শিকু?’


শিকু বলল, ‘এটা আমার নতুন আবিষ্কার। এর নাম “শিকুর ডাকাডাকি যন্ত্র”। এই মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে যে প্রাণীর ডাক দেব, যন্ত্র থেকে সেই প্রাণীর ছবি বের হয়ে আসবে।’
ইকরি বলল, ‘দারুণ তো!’
শিকু বলল, ‘বলো ইকরি, তুমি কোন প্রাণীর ছবি চাও?’
ইকরি বলল, ‘বিড়ালের ছবি।’
শিকু যন্ত্রটি চালু করে দিয়ে মাইক্রোফোনের সামনে গিয়ে মিউমিউ করে ডাক দিল। আর অমনি একটা বিড়ালের ছবি বের হয়ে এল।
ইকরি তো মহাখুশি! সে বলল, ‘এবার কুকুরের ছবি?’
শিকু এবার ঘেউ ঘেউ করে ডাক দিল। আর যন্ত্রটি থেকে কুকুরের ছবি বের হয়ে এল।
ইকরি ভীষণ খুশি! সে বলল, ‘এবার কোকিলের ছবি?’
শিকু কুউউ কুউউ করে ডাকল। যন্ত্র থেকে এবার কোকিলের ছবি বের হয়ে এল।
ইকরির খুশি তো আর ধরে না। সে বলল, ‘শিকু, এবার ইকরি ডাক দিতে চায়।’
শিকু বলল, ‘ঠিক আছে, ডাকো।’
ইকরি লাফাতে লাফতে মাইক্রোফোনের সামনে এসে একসঙ্গে অনেক ডাক দিয়ে দিল। সে হাম্বা হাম্বা গরুর ডাক দিল। চিকচিক করে পাখির ডাক দিল। চিঁহি চিঁহি করে ঘোড়ার ডাক দিল।
এতগুলো ডাক একসঙ্গে দেওয়ায় যন্ত্রটা ঘরঘর করে কাঁপতে কাঁপতে ধোঁয়া উঠে বন্ধ হয়ে গেল। শিকুর তো মন ভীষণ খারাপ হলো। তা দেখে ইকরিরও মন খারাপ হলো। মেশিনটা বুঝি নষ্টই হয়ে গেল।
ঠিক সেই সময় মেশিনটা ঘড় ঘড় শব্দে আবার চালু হয়ে গেল। তারাও নড়েচড়ে বসল।
যন্ত্রটি থেকে অদ্ভুত একটা প্রাণীর ছবি বের হয়ে এল। প্রাণীর মাথাটা গরুর মতো, শরীরটা ঘোড়ার মতো আর তার পিঠে পাখির মতো দুটি ডানা।
ওরা তো ভীষণ অবাক। শিকু গর্বিত ভঙ্গিতে বলল, ‘হুম, এট আমার যুগান্তকারী আবিষ্কার।’

No comments

Powered by Blogger.