ক্রমবর্ধমান কিশোর অপরাধ-সব মহলকে যত্নবান হতে হবে
কিশোর অপরাধ বলতে একসময় অন্যের গাছের ফল চুরি, খেলাধুলা করতে গিয়ে সমবয়সী অন্য কারো সঙ্গে ঝগড়া বাধিয়ে দেওয়া বা মারামারি করা, শিক্ষক বা অভিভাবকদের আদেশ-নিষেধ অমান্য করা, স্কুল পালিয়ে সিনেমা দেখা- এসবকে বোঝাত।
কিন্তু সময়ের বিবর্তনে কিশোর অপরাধের সে সংজ্ঞা দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় এতটাই চরমে, এখন অনেক কিশোরও জড়িয়ে পড়ছে লোমহর্ষক সব অপরাধের সঙ্গে। জড়িয়ে পড়ছে মাদকের নেশা, মাদক ব্যবসা, চোরাকারবার, এমনকি খুন ও ধর্ষণের মতো ঘটনার সঙ্গে। বিদেশি চলচ্চিত্র, ইন্টারনেটসহ নানা কারণ এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় এসব অপরাধপ্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। এ নিয়ে একদিকে যেমন অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন, তেমনি পাড়া-প্রতিবেশীরা কোমলমতি কিশোরদের ওপর হারাচ্ছে আস্থা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অপরাধী কিশোরদের আদালতে সোপর্দ করার ক্ষেত্রে বিব্রত হতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সমাজবিজ্ঞানী ও মনোবিজ্ঞানীদের গুরুত্বের সঙ্গে চিন্তা করার সময় এসেছে।
এদিকে কিশোর অপরাধের আইন নিয়েও রয়েছে জটিলতা। বাংলাদেশে সাধারণত সাত থেকে ১৬ বছর বয়সীদের কিশোর-কিশোরী বিবেচনা করা হয়ে থাকে। সাবালকত্ব আইন, ১৮৭৫-এর ৩ ধারা অনুযায়ী একজন কিশোরের ১৮ বছর পূর্ণ হলে নাবালকত্বের অবসান ঘটে। দণ্ডবিধির ৮২ ধারা অনুসারে, ৯ বছরের কম বয়সী শিশুর কোনো ধরনের অপরাধই আইনের দৃষ্টিতে শাস্তিযোগ্য নয়। ১৮৭৪ সালের চিলড্রেন অ্যাক্ট অনুসারে অনূর্ধ্ব ১৬ বছর বয়সীদের কিশোর হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। আবার জামিনের ক্ষেত্রে কিশোর-কিশোরীদের বেলায় আইন অত্যন্ত মানবিক। যেমন- ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৭(১) ধারা অনুযায়ী, ১৬ বছরের নিচে যে কাউকে, এমনকি জামিন অযোগ্য অপরাধেও আদালত জামিন দিতে পারবেন। এমনকি ১৬ বছরের নিচে যে কাউকে গ্রেপ্তার করা হলে এবং সঙ্গে সঙ্গে আদালতে উপস্থিত করা সম্ভব না হলে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাকে জামিন দিতে পারবেন। আমরা দেখতে পাচ্ছি, মূলত এই আইনগুলোরই এ মানবিকতার সুযোগ নিয়ে থাকে দুষ্টচক্র। এরই পরিণতিতে বাড়ছে কিশোর অপরাধ। সুতরাং কিশোর অপরাধে যাতে শিশু-কিশোররা জড়িয়ে না পড়ে, সেদিকটায় সমাজ ও রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট সবাইকে নজর দিতে হবে।
বর্তমানে শিশু-কিশোরদের গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে পড়ার প্রধান কারণ মাদক সেবন এবং পরবর্তী সময়ে মাদক ব্যবসায় জড়িত হওয়া। এই মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হলে শিশু-কিশোরদের অপরাধ অনেকটা হ্রাস পাবে। আর শিশু-কিশোরদের সুস্থ বিনোদন যেমন- খেলাধুলা, সংগীত, গ্রন্থপাঠ, শিক্ষাসফর, দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। সুস্থ বিনোদনের অভাব থাকলে শিশু-কিশোরদের অতি কোমল স্পর্শকাতর মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে বাধ্য। সেইসঙ্গে অভিভাবকদের সতর্ক দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। জনপ্রিয় স্লোগান- আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। বর্তমান প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের স্বাভাবিক মানসিক বিকাশ না ঘটলে জাতির জন্য ভবিষ্যতে মেধাবী নেতৃত্ব পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়বে। সুতরাং এখনই শিশু-কিশোরদের মঙ্গল ও কল্যাণের ব্যাপারে রাষ্ট্র তথা সরকার ও অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে।
এদিকে কিশোর অপরাধের আইন নিয়েও রয়েছে জটিলতা। বাংলাদেশে সাধারণত সাত থেকে ১৬ বছর বয়সীদের কিশোর-কিশোরী বিবেচনা করা হয়ে থাকে। সাবালকত্ব আইন, ১৮৭৫-এর ৩ ধারা অনুযায়ী একজন কিশোরের ১৮ বছর পূর্ণ হলে নাবালকত্বের অবসান ঘটে। দণ্ডবিধির ৮২ ধারা অনুসারে, ৯ বছরের কম বয়সী শিশুর কোনো ধরনের অপরাধই আইনের দৃষ্টিতে শাস্তিযোগ্য নয়। ১৮৭৪ সালের চিলড্রেন অ্যাক্ট অনুসারে অনূর্ধ্ব ১৬ বছর বয়সীদের কিশোর হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। আবার জামিনের ক্ষেত্রে কিশোর-কিশোরীদের বেলায় আইন অত্যন্ত মানবিক। যেমন- ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৭(১) ধারা অনুযায়ী, ১৬ বছরের নিচে যে কাউকে, এমনকি জামিন অযোগ্য অপরাধেও আদালত জামিন দিতে পারবেন। এমনকি ১৬ বছরের নিচে যে কাউকে গ্রেপ্তার করা হলে এবং সঙ্গে সঙ্গে আদালতে উপস্থিত করা সম্ভব না হলে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাকে জামিন দিতে পারবেন। আমরা দেখতে পাচ্ছি, মূলত এই আইনগুলোরই এ মানবিকতার সুযোগ নিয়ে থাকে দুষ্টচক্র। এরই পরিণতিতে বাড়ছে কিশোর অপরাধ। সুতরাং কিশোর অপরাধে যাতে শিশু-কিশোররা জড়িয়ে না পড়ে, সেদিকটায় সমাজ ও রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট সবাইকে নজর দিতে হবে।
বর্তমানে শিশু-কিশোরদের গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে পড়ার প্রধান কারণ মাদক সেবন এবং পরবর্তী সময়ে মাদক ব্যবসায় জড়িত হওয়া। এই মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হলে শিশু-কিশোরদের অপরাধ অনেকটা হ্রাস পাবে। আর শিশু-কিশোরদের সুস্থ বিনোদন যেমন- খেলাধুলা, সংগীত, গ্রন্থপাঠ, শিক্ষাসফর, দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। সুস্থ বিনোদনের অভাব থাকলে শিশু-কিশোরদের অতি কোমল স্পর্শকাতর মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে বাধ্য। সেইসঙ্গে অভিভাবকদের সতর্ক দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। জনপ্রিয় স্লোগান- আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। বর্তমান প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের স্বাভাবিক মানসিক বিকাশ না ঘটলে জাতির জন্য ভবিষ্যতে মেধাবী নেতৃত্ব পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়বে। সুতরাং এখনই শিশু-কিশোরদের মঙ্গল ও কল্যাণের ব্যাপারে রাষ্ট্র তথা সরকার ও অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে।
No comments