মালালার ওপর হামলা- তালেবানের বিরুদ্ধে অভিযান নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত পাকিস্তান
মালালা ইউসুফজাইয়ের ওপর তালেবানের সশস্ত্র হামলার ঘটনায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় বইলেও পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকেরা এ ঘটনায় তালেবানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানো নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন।
উত্তর ওয়াজিরিস্তানের দুর্গম ও পার্বত্য অঞ্চলে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালাতে দীর্ঘদিন ধরে ইসলামাবাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু পাকিস্তানের কর্তাদের মধ্যে এই ইস্যুতে মতানৈক্য থাকায় সেই চাপ কূটনীতিক পর্যায়েই সীমাবদ্ধ রয়েছে। মালালার ওপর হামলার পর সেই বিতর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে।
এক পক্ষ বলছে, মালালাকে গুলি করার ঘটনায় যে জনরোষের সৃষ্টি হয়েছে, উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সামরিক অভিযান চালিয়ে সরকারের উচিত সেই ক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করা। অন্য পক্ষ বলছে, সামরিক অভিযান সমাধান হতে পারে না। এতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে। তাঁরা শান্তি আলোচনা এবং আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে ইসলামাবাদের সমর্থন প্রত্যাহার করার পক্ষে মত দিয়েছেন।
গত ৯ অক্টোবর সোয়াত উপত্যকায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মালালার (১৫) স্কুলবাসে হামলা চালিয়ে তাকে গুলি করে তালেবান জঙ্গিরা। পেশোয়ার ও রাওয়ালপিন্ডির সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তাকে এখন যুক্তরাজ্যে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার বর্তমান অবস্থা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
তালেবানের সমালোচনা এবং নারী শিক্ষার পক্ষে জোরালো অবস্থান নেওয়ায় মালালাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেছে জঙ্গিরা। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান এ ঘটনার পরপরই এর তীব্র নিন্দা জানান। তখন আশা করা হচ্ছিল, উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সামরিক অভিযান চালানো হতে পারে।
২০০৯ সালে সোয়াতে সামরিক অভিযান চালানোর আগে এই অভিযানের পক্ষে জনসমর্থন আদায়ে সচেষ্ট হয়েছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী। ব্যভিচারের অভিযোগে এক নারীকে তালেবানের ব্যাপক মারধরের একটি ভিডিওচিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরে এই সমর্থন আদায় সম্ভব হয়েছিল।
মালালার ওপর হামলার পরদিন সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কিয়ানি বলেছিলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসের কাছে নতি স্বীকার করব না। যেকোনো মূলে সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করা হবে।’
পাকিস্তানের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের (এমকিউএম) প্রধান আলতাফ হুসাইন গত রোববার করাচিতে এক সমাবেশে সামরিক অভিযানের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘অভিযান চালিয়ে তালেবানকে নিশ্চিহ্ন করে দিন। আপনাদের পাশে ১৮ কোটি মানুষ রয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক গত সপ্তাহে বলেন, সরকার উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সামরিক অভিযানের বিষয়টি বিবেচনা করছে। যদিও কয়েক দিন পরে তিনি এ অবস্থান থেকে সরে আসেন।
সামরিক অভিযানের বিরোধিতা করে জমিয়ত উলেমা ই-ইসলাম-ফজলের (জেইউআই-এফ) জ্যেষ্ঠ নেতা হাফিজ হুসাইন আহমেদ বলেন, ‘মালালার ওপর হামলার ঘটনায় আমরা অবশ্যই নিন্দা জানাই। এ হামলা হয়েছে সোয়াতে। কিন্তু আমরা কিছুতেই বুঝতে পারছি না, সরকার কেন উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সামরিক অভিযানের ব্যাপারে বিবৃতি দিচ্ছে।’
সাবেক ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ ইমরান খান মঙ্গলবার জিও টিভিকে বলেন, ‘সামরিক অভিযান সমাধান নয়। তারা (সরকার) ইস্যুটি নিয়ে রাজনীতি করছে।’ তিনি বলেন, ‘সমাধানের সঠিক পথ হচ্ছে—জঙ্গিদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা করা এবং আফগান যুদ্ধ থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়া।’
রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও বিষয়টি নিয়ে দুই মেরুতে ভাগ হয়ে গেছেন। সামরিক অভিযান চালালে তাতে বিপরীত ফল হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন লাহোরের আইনজীবী জামান ওয়াত্তো। তিনি বলেন, ‘এতে দেশে আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতি জটিল করে তুলতে পারে জঙ্গিরা।’ অন্যদিকে পেশোয়ারের শিক্ষক মকবুল খান বলেন, সন্ত্রাসীরা যেখানেই লুকিয়ে থাক না কেন, সরকারের উচিত সেখানে অভিযান চালানো। ডন অনলাইন।
এক পক্ষ বলছে, মালালাকে গুলি করার ঘটনায় যে জনরোষের সৃষ্টি হয়েছে, উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সামরিক অভিযান চালিয়ে সরকারের উচিত সেই ক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করা। অন্য পক্ষ বলছে, সামরিক অভিযান সমাধান হতে পারে না। এতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে। তাঁরা শান্তি আলোচনা এবং আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে ইসলামাবাদের সমর্থন প্রত্যাহার করার পক্ষে মত দিয়েছেন।
গত ৯ অক্টোবর সোয়াত উপত্যকায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মালালার (১৫) স্কুলবাসে হামলা চালিয়ে তাকে গুলি করে তালেবান জঙ্গিরা। পেশোয়ার ও রাওয়ালপিন্ডির সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তাকে এখন যুক্তরাজ্যে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার বর্তমান অবস্থা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
তালেবানের সমালোচনা এবং নারী শিক্ষার পক্ষে জোরালো অবস্থান নেওয়ায় মালালাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেছে জঙ্গিরা। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান এ ঘটনার পরপরই এর তীব্র নিন্দা জানান। তখন আশা করা হচ্ছিল, উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সামরিক অভিযান চালানো হতে পারে।
২০০৯ সালে সোয়াতে সামরিক অভিযান চালানোর আগে এই অভিযানের পক্ষে জনসমর্থন আদায়ে সচেষ্ট হয়েছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী। ব্যভিচারের অভিযোগে এক নারীকে তালেবানের ব্যাপক মারধরের একটি ভিডিওচিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরে এই সমর্থন আদায় সম্ভব হয়েছিল।
মালালার ওপর হামলার পরদিন সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কিয়ানি বলেছিলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসের কাছে নতি স্বীকার করব না। যেকোনো মূলে সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করা হবে।’
পাকিস্তানের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের (এমকিউএম) প্রধান আলতাফ হুসাইন গত রোববার করাচিতে এক সমাবেশে সামরিক অভিযানের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘অভিযান চালিয়ে তালেবানকে নিশ্চিহ্ন করে দিন। আপনাদের পাশে ১৮ কোটি মানুষ রয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক গত সপ্তাহে বলেন, সরকার উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সামরিক অভিযানের বিষয়টি বিবেচনা করছে। যদিও কয়েক দিন পরে তিনি এ অবস্থান থেকে সরে আসেন।
সামরিক অভিযানের বিরোধিতা করে জমিয়ত উলেমা ই-ইসলাম-ফজলের (জেইউআই-এফ) জ্যেষ্ঠ নেতা হাফিজ হুসাইন আহমেদ বলেন, ‘মালালার ওপর হামলার ঘটনায় আমরা অবশ্যই নিন্দা জানাই। এ হামলা হয়েছে সোয়াতে। কিন্তু আমরা কিছুতেই বুঝতে পারছি না, সরকার কেন উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সামরিক অভিযানের ব্যাপারে বিবৃতি দিচ্ছে।’
সাবেক ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ ইমরান খান মঙ্গলবার জিও টিভিকে বলেন, ‘সামরিক অভিযান সমাধান নয়। তারা (সরকার) ইস্যুটি নিয়ে রাজনীতি করছে।’ তিনি বলেন, ‘সমাধানের সঠিক পথ হচ্ছে—জঙ্গিদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা করা এবং আফগান যুদ্ধ থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়া।’
রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও বিষয়টি নিয়ে দুই মেরুতে ভাগ হয়ে গেছেন। সামরিক অভিযান চালালে তাতে বিপরীত ফল হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন লাহোরের আইনজীবী জামান ওয়াত্তো। তিনি বলেন, ‘এতে দেশে আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতি জটিল করে তুলতে পারে জঙ্গিরা।’ অন্যদিকে পেশোয়ারের শিক্ষক মকবুল খান বলেন, সন্ত্রাসীরা যেখানেই লুকিয়ে থাক না কেন, সরকারের উচিত সেখানে অভিযান চালানো। ডন অনলাইন।
No comments