বাজারদর- আরেক দফা বাড়ল নিত্যপণ্যের দাম
ঈদ সামনে রেখে বাজারে মসলা, শাকসবজি, মাংস, পোলাওয়ের চালসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম আবারও বেড়েছে। এতে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্তসহ সীমিত আয়ের মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে আরেক দফা। ক্রেতাদের অভিযোগ, বিক্রেতারা ইচ্ছা করেই দাম বাড়িয়েছেন।
আর বিক্রেতারা অজুহাত দিচ্ছেন পাইকারি পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধি, সরবরাহ-সংকট ইত্যাদির।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার, উত্তরাসহ বেশ কয়েকটি বাজারে গিয়ে এমন অভিযোগ ও অজুহাত শোনা গেছে। সকালে উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের কাঁচাবাজারে আসা স্কুলশিক্ষিকা দিল আফরোজা প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো উৎসব এলেই বিক্রেতারা পণ্যের চাহিদা বুঝে অযথা দাম বাড়ান। কোরবানির ঈদের সময় মসলার দাম আর রোজার সময় ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হয়। এটা রুটিন হয়ে গেছে।’
মসলা: গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, জিরাসহ বেশ কিছু মসলার দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম মানভেদে কেজিপ্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৩২ থেকে ৩৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগে ছিল ২২-২৪ টাকা।
আমদানি করা রসুনের দাম মানভেদে এক লাফে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৫৫ থেকে ১৬৫ টাকা। সাত দিন আগেও ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা। অবশ্য দেশি রসুনের দাম একই রয়েছে, ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আদার দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। আফগানিস্তানের জিরার দাম কেজিপ্রতি ৪৮০ টাকা, সাধারণ জিরার দাম ৪৬০ টাকা। উভয় ধরনের জিরায় কেজিতে দাম বেড়েছে ২০ টাকা।
মসলার মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে কারওয়ান বাজারের ফরিদগঞ্জ স্টোরের স্বত্বাধিকারী জয়নাল আবেদীন জানান, কোরবানির ঈদের আগে পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও জিরার চাহিদা বেশি থাকে। চাহিদা বেশি থাকায় পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ানোর কারণে খুচরা পর্যায়েও দাম বেশি হয়। ঈদের পর বাজার আবার ঠিক হয়ে যাবে।
শাকসবজি: ঈদের আগে ও দুর্গাপূজার সময় চাহিদা বেশি থাকায় সব ধরনের শাকসবজির দাম কেজিতে কম-বেশি পাঁচ টাকা বেড়েছে।
বাজারভেদে প্রতি কেজি পটল ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা, পেঁপে ১৫ থেকে ১৮ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, করলা ৬০ টাকা ও ঢ্যাঁড়স ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতের সবজির সরবরাহ কম বলে দামও চড়া। ভালো মানের এক কেজি শিমের দাম বিক্রেতারা চাইছেন ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। টমেটোর দাম কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। পাওয়া যাচ্ছে ছোট আকারের ফুলকপি ও বাঁধাকপি।
বিক্রেতারা জানান, সবজির সরবরাহ কম বলে দাম বেশি।
মাছ-মাংস: কোনো কোনো বাজারে গরুর মাংসের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। ২৮০ টাকার নিচে গরুর মাংস মিলছে না। খাসির মাংসের দামও কেজিতে ৬০ টাকা বেড়ে ৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের মাংস বিক্রেতা রউফ মিয়া জানান, কোরবানির পশুর হাটে বেশির ভাগ গরু ও ছাগল চলে যাচ্ছে। তাই সাধারণ বাজারের জন্য পশুর সংকট দেখা দিয়েছে। এ জন্য মাংসের দাম বেড়েছে।
তবে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। মাঝারি আকারের দেশি মুরগির দাম ১৫০ থেকে ২৭০ টাকা।
মাছের সরবরাহ তুলনামূলক ভালো থাকায় দাম স্থিতিশীল রয়েছে। মাঝারি আকারের (৯০০ গ্রাম) ইলিশ মাছের দাম ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। রুই মাছের কেজি ২২০ থেকে ২৮০ টাকা, প্রতি কেজি বড় আকারের চিংড়ি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, মাঝারি চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন আকারের তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, পাঁচমিশালি গুঁড়া মাছ প্রতি কেজি ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিভিন্ন ধরনের চালের দাম স্থিতিশীল থাকলেও পোলাওয়ের চালের দাম কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। গতকাল প্রতি কেজি খোলা পোলাওয়ের চাল বিক্রি হয়েছে বাজারভেদে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। প্যাকেটজাত পোলাওয়ের চালের দাম ১২০ টাকা।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার, উত্তরাসহ বেশ কয়েকটি বাজারে গিয়ে এমন অভিযোগ ও অজুহাত শোনা গেছে। সকালে উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের কাঁচাবাজারে আসা স্কুলশিক্ষিকা দিল আফরোজা প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো উৎসব এলেই বিক্রেতারা পণ্যের চাহিদা বুঝে অযথা দাম বাড়ান। কোরবানির ঈদের সময় মসলার দাম আর রোজার সময় ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হয়। এটা রুটিন হয়ে গেছে।’
মসলা: গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, জিরাসহ বেশ কিছু মসলার দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম মানভেদে কেজিপ্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৩২ থেকে ৩৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগে ছিল ২২-২৪ টাকা।
আমদানি করা রসুনের দাম মানভেদে এক লাফে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৫৫ থেকে ১৬৫ টাকা। সাত দিন আগেও ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা। অবশ্য দেশি রসুনের দাম একই রয়েছে, ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আদার দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। আফগানিস্তানের জিরার দাম কেজিপ্রতি ৪৮০ টাকা, সাধারণ জিরার দাম ৪৬০ টাকা। উভয় ধরনের জিরায় কেজিতে দাম বেড়েছে ২০ টাকা।
মসলার মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে কারওয়ান বাজারের ফরিদগঞ্জ স্টোরের স্বত্বাধিকারী জয়নাল আবেদীন জানান, কোরবানির ঈদের আগে পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও জিরার চাহিদা বেশি থাকে। চাহিদা বেশি থাকায় পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ানোর কারণে খুচরা পর্যায়েও দাম বেশি হয়। ঈদের পর বাজার আবার ঠিক হয়ে যাবে।
শাকসবজি: ঈদের আগে ও দুর্গাপূজার সময় চাহিদা বেশি থাকায় সব ধরনের শাকসবজির দাম কেজিতে কম-বেশি পাঁচ টাকা বেড়েছে।
বাজারভেদে প্রতি কেজি পটল ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা, পেঁপে ১৫ থেকে ১৮ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, করলা ৬০ টাকা ও ঢ্যাঁড়স ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতের সবজির সরবরাহ কম বলে দামও চড়া। ভালো মানের এক কেজি শিমের দাম বিক্রেতারা চাইছেন ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। টমেটোর দাম কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। পাওয়া যাচ্ছে ছোট আকারের ফুলকপি ও বাঁধাকপি।
বিক্রেতারা জানান, সবজির সরবরাহ কম বলে দাম বেশি।
মাছ-মাংস: কোনো কোনো বাজারে গরুর মাংসের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। ২৮০ টাকার নিচে গরুর মাংস মিলছে না। খাসির মাংসের দামও কেজিতে ৬০ টাকা বেড়ে ৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের মাংস বিক্রেতা রউফ মিয়া জানান, কোরবানির পশুর হাটে বেশির ভাগ গরু ও ছাগল চলে যাচ্ছে। তাই সাধারণ বাজারের জন্য পশুর সংকট দেখা দিয়েছে। এ জন্য মাংসের দাম বেড়েছে।
তবে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। মাঝারি আকারের দেশি মুরগির দাম ১৫০ থেকে ২৭০ টাকা।
মাছের সরবরাহ তুলনামূলক ভালো থাকায় দাম স্থিতিশীল রয়েছে। মাঝারি আকারের (৯০০ গ্রাম) ইলিশ মাছের দাম ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। রুই মাছের কেজি ২২০ থেকে ২৮০ টাকা, প্রতি কেজি বড় আকারের চিংড়ি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, মাঝারি চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন আকারের তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, পাঁচমিশালি গুঁড়া মাছ প্রতি কেজি ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিভিন্ন ধরনের চালের দাম স্থিতিশীল থাকলেও পোলাওয়ের চালের দাম কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। গতকাল প্রতি কেজি খোলা পোলাওয়ের চাল বিক্রি হয়েছে বাজারভেদে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। প্যাকেটজাত পোলাওয়ের চালের দাম ১২০ টাকা।
No comments