ঈদ প্রস্তুতির এখনই সময় by অনন্যা রহমান
ঈদের আর মাত্র ক'দিন বাকি। নানা আয়োজনের ব্যস্ততায় কাটবে একটা দিন। আসলে আমাদের জীবনে অনেক উৎসবের মাঝে ঈদুল আজহার আয়োজন একটু ব্যতিক্রমী হয়ে থাকে। নিজের জন্য কেনাকাটার ততটা তোড়জোড় থাকে না এই ঈদে। তবে কোরবানি বা উৎসর্গের মহিমায় মহিমান্বিত এ ঈদটিতে ঘরেই ব্যস্ত থাকতে হয় আমাদের।
পশু কোরবানির পর নিয়ম মেনে সেগুলো বিতরণ এবং নিজেদের জন্য গুছিয়ে রাখতে গিয়ে অনেকটা খাটাখাটনির মধ্য দিয়েই কাটে ঈদের দিনটি। তারপরও ঈদ বলে কথা। কিছুটা আয়োজন তো আপনাকে করতেই হবে। কীভাবে এ ঈদেও নিজের কাজগুলো গুছিয়ে করবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক তেমন কিছু টিপস।
ষ বাজারের লিস্ট করে ফেলুন। মাসের শেষ বলে তেল, পেঁয়াজ, মসলাপাতি নিশ্চয় ফুরিয়ে এসেছে? মাসের হিসাবে হাত না দিয়ে ঈদ বাজারের আলাদা একটা তালিকা করুন।
ষ যেহেতু ঈদ উপলক্ষে বিশেষ রান্না হয় কাজেই প্রয়োজনে কাবাব, রোস্ট, রেজালা, বিরিয়ানির মিক্সড মসলার প্যাকেট কিনে ফেলতে পারেন। এতে সহজেই সুস্বাদু নানারকম রান্নার আয়োজন করতে পারবেন। একই সঙ্গে ফিরনি, ফালুদা, বোরহানির মসলার প্যাকেট কিনে নিন। সময় বাঁচাব, ঝামেলা কমবে।
ষ পেঁয়াজ, আদা, রসুন বেটে ডিপ ফ্রিজে তুলে দিন। পেঁয়াজের বেরেস্তা ভাজতে কিন্তু বেশ সময় লাগে। এখনই বেরেস্তা তৈরি করে ভেজে ছাঁকনির ওপর ঢেলে কিছুক্ষণ রেখে তেল ঝরিয়ে ফ্রিজে তুলে রাখুন। মচমচে বেরেস্তা প্লাস্টিকের বক্সে ফ্রিজে রাখুন। অনেকদিন ভালো থাকবে।
ষ সময় থাকতে ফ্রিজটা ধুয়েমুছে গুছিয়ে নিন। ডিপ ফ্রিজে আগে কেনা মাছ-মাংস থাকলে সেগুলো গুছিয়ে নিলে ঈদের মাংস নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হবে না। যথেষ্ট পরিমাণে আইস কিউব জমিয়ে রাখুন। কাজে লাগবে।
ষ আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের জন্য মাংস খোলা প্লেটে পাঠালে দেখতে ভালো লাগে না। এজন্য আপনি প্লাস্টিকের বক্স কিনে নিতে পারেন। পরিমাণমতো মাংস দিয়ে স্টেপল করে ওপরে নাম লিখে দিন। যে নিয়ে যাবে তার জন্যও সুবিধা হবে। এ ছাড়া ফ্রিজে মাংস তুলে রাখার জন্য জিপ পাউচ প্যাক কিনতে পারেন।
ষ মাংস কাটাকুটি এবং গুছিয়ে রাখার পর প্রথম যে কাজটি আপনাকে করতে হবে তা হলো পরিচ্ছন্নতা। ডেটল, স্যাভলন, ফিনাইল, বি্লচিং পাউডারসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী এখনই গুছিয়ে রাখুন।
ষ ঈদে সবাই চান মাংস খেতে। কিন্তু শারীরিক সমস্যার কারণে অনেকে ভয় পান। সেক্ষেত্রে বাড়িতে কারও কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে তার জন্য মাংস রান্নার আগে অল্প সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে মাংস রান্না করতে পারেন। সাদা সিরকা, লেবুর রস, লবণ দিয়ে মাংস মেখে রেখে দিন। পরে সেটি ধুয়ে রান্না করলেও চর্বির পরিমাণ কিছুটা কমবে। মাংস কাটার সময় চর্বি বাদ দিন।
ষ ঈদে যেহেতু ভারী খাবারের আয়োজন বেশি, তাই এর সঙ্গে অবশ্যই বিভিন্ন রকম সালাদ, রায়তা, বোরহানি বা টক দইয়ের আয়োজন রাখবেন। সম্ভব হলে তেল-মসলায় ভরা গতানুগতিক মাংস রান্নার পাশাপাশি গ্রিল, কাবাব, হান্টারবিফ জাতীয় মাংসের আইটেম করতে পারেন।
ষ মাংস সংরক্ষণ করতে চাইলে হাড়সহ মাংস, হাড় ছাড়া মাংস এভাবে প্যাক ফ্রিজে রাখুন। এতে যখন যেটা প্রয়োজন সেটা বের করে নিতে পারবেন। টিন বা বোতলে ভিনেগারে মাংস সম্পূর্ণভাবে ডুবিয়ে রাখলে মাংস ভালো থাকে অনেক দিন। এ ছাড়া মাংস হালকা লবণ দিয়ে মেখে রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে মুখ বন্ধ করে কৌটায় তুলে রাখতে পারেন।
ষ এত কিছুর মধ্যে নিজের কথা ভুলে যাবেন না। সপ্তাহ খানেক সময় যেহেতু আছেই, নিজের জন্য কিছুটা সময় ব্যয় করুন। তবে এবার ঈদের আগেই পূজা পড়ছে। বাজার কিংবা পার্লারে ভিড় কিন্তু একটু
বেশিই থাকবে। হ
ষ বাজারের লিস্ট করে ফেলুন। মাসের শেষ বলে তেল, পেঁয়াজ, মসলাপাতি নিশ্চয় ফুরিয়ে এসেছে? মাসের হিসাবে হাত না দিয়ে ঈদ বাজারের আলাদা একটা তালিকা করুন।
ষ যেহেতু ঈদ উপলক্ষে বিশেষ রান্না হয় কাজেই প্রয়োজনে কাবাব, রোস্ট, রেজালা, বিরিয়ানির মিক্সড মসলার প্যাকেট কিনে ফেলতে পারেন। এতে সহজেই সুস্বাদু নানারকম রান্নার আয়োজন করতে পারবেন। একই সঙ্গে ফিরনি, ফালুদা, বোরহানির মসলার প্যাকেট কিনে নিন। সময় বাঁচাব, ঝামেলা কমবে।
ষ পেঁয়াজ, আদা, রসুন বেটে ডিপ ফ্রিজে তুলে দিন। পেঁয়াজের বেরেস্তা ভাজতে কিন্তু বেশ সময় লাগে। এখনই বেরেস্তা তৈরি করে ভেজে ছাঁকনির ওপর ঢেলে কিছুক্ষণ রেখে তেল ঝরিয়ে ফ্রিজে তুলে রাখুন। মচমচে বেরেস্তা প্লাস্টিকের বক্সে ফ্রিজে রাখুন। অনেকদিন ভালো থাকবে।
ষ সময় থাকতে ফ্রিজটা ধুয়েমুছে গুছিয়ে নিন। ডিপ ফ্রিজে আগে কেনা মাছ-মাংস থাকলে সেগুলো গুছিয়ে নিলে ঈদের মাংস নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হবে না। যথেষ্ট পরিমাণে আইস কিউব জমিয়ে রাখুন। কাজে লাগবে।
ষ আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের জন্য মাংস খোলা প্লেটে পাঠালে দেখতে ভালো লাগে না। এজন্য আপনি প্লাস্টিকের বক্স কিনে নিতে পারেন। পরিমাণমতো মাংস দিয়ে স্টেপল করে ওপরে নাম লিখে দিন। যে নিয়ে যাবে তার জন্যও সুবিধা হবে। এ ছাড়া ফ্রিজে মাংস তুলে রাখার জন্য জিপ পাউচ প্যাক কিনতে পারেন।
ষ মাংস কাটাকুটি এবং গুছিয়ে রাখার পর প্রথম যে কাজটি আপনাকে করতে হবে তা হলো পরিচ্ছন্নতা। ডেটল, স্যাভলন, ফিনাইল, বি্লচিং পাউডারসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী এখনই গুছিয়ে রাখুন।
ষ ঈদে সবাই চান মাংস খেতে। কিন্তু শারীরিক সমস্যার কারণে অনেকে ভয় পান। সেক্ষেত্রে বাড়িতে কারও কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে তার জন্য মাংস রান্নার আগে অল্প সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে মাংস রান্না করতে পারেন। সাদা সিরকা, লেবুর রস, লবণ দিয়ে মাংস মেখে রেখে দিন। পরে সেটি ধুয়ে রান্না করলেও চর্বির পরিমাণ কিছুটা কমবে। মাংস কাটার সময় চর্বি বাদ দিন।
ষ ঈদে যেহেতু ভারী খাবারের আয়োজন বেশি, তাই এর সঙ্গে অবশ্যই বিভিন্ন রকম সালাদ, রায়তা, বোরহানি বা টক দইয়ের আয়োজন রাখবেন। সম্ভব হলে তেল-মসলায় ভরা গতানুগতিক মাংস রান্নার পাশাপাশি গ্রিল, কাবাব, হান্টারবিফ জাতীয় মাংসের আইটেম করতে পারেন।
ষ মাংস সংরক্ষণ করতে চাইলে হাড়সহ মাংস, হাড় ছাড়া মাংস এভাবে প্যাক ফ্রিজে রাখুন। এতে যখন যেটা প্রয়োজন সেটা বের করে নিতে পারবেন। টিন বা বোতলে ভিনেগারে মাংস সম্পূর্ণভাবে ডুবিয়ে রাখলে মাংস ভালো থাকে অনেক দিন। এ ছাড়া মাংস হালকা লবণ দিয়ে মেখে রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে মুখ বন্ধ করে কৌটায় তুলে রাখতে পারেন।
ষ এত কিছুর মধ্যে নিজের কথা ভুলে যাবেন না। সপ্তাহ খানেক সময় যেহেতু আছেই, নিজের জন্য কিছুটা সময় ব্যয় করুন। তবে এবার ঈদের আগেই পূজা পড়ছে। বাজার কিংবা পার্লারে ভিড় কিন্তু একটু
বেশিই থাকবে। হ
No comments