রাজনীতিতে সেনা হস্তক্ষেপ বন্ধের আদেশ পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের
পাকিস্তানের রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে বলেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। গতকাল শুক্রবার দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি ইফতেখার চৌধুরী এ আদেশ দেন।
১৯৯০ সালে রাজনৈতিক জোট গঠনে সামরিক বাহিনীর সহায়তার ঘটনাকে চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৬ সালে অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল আজগর খানের দায়ের করা মামলার শুনানিতে আদালত এ আদেশ দেন। এর মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রভাবশালী জেনারেলদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন সুপ্রিম কোর্ট।
এ আদেশের ফলে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা কমবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে এ পদক্ষেপে সুপ্রিম কোর্ট ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে গতকাল দেওয়া ওই আদেশে প্রধান বিচারপতি ইফতেখার চৌধুরী বলেন, 'রাজনৈতিক সরকার গঠন বা উৎখাতের জন্য এ ধরনের সংস্থা রাজনীতি বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখতে পারে না। কোনো রাজনৈতিক দল, কয়েকটি দলের রাজনৈতিক জোট বা ব্যক্তিগতভাবে কোনো রাজনীতিবিদকে সফলতা এনে দেওয়ার জন্য তারা কোনোভাবেই আনুকূল্য দেখাতে পারে না।'
পাকিস্তানের ৬৫ বছরের ইতিহাসে অর্ধেকেরও বেশি সময় অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বা পর্দার অন্তরালে থেকে দেশ শাসন করেছে সামরিক বাহিনী। গত শতকের আশির দশকের শেষ দিকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক সেল গঠনের অভিযোগ উঠেছিল। সুপ্রিম কোর্টের রুলিংয়ে বলা হয়েছে, আইএসআইয়ের কোনো নির্বাচনী বা রাজনৈতিক সেল অথবা তাদের আওতায় থাকা এ ধরনের কোনো কাঠামো থাকলে অবিলম্বে তা বিলুপ্ত করা হবে। কারণ তাদের কর্মকাণ্ডে রাষ্ট্র ও সশস্ত্র বাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দুর্নাম হয়েছে।
আদালত বলেন, ১৯৯০ সালের ঘটনায় সাবেক প্রেসিডেন্ট গুলাম ইসহাক খান, সাবেক সেনাপ্রধান আসলাম বেগ, আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান আসাদ দুররানি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারকে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তবে সামরিক বাহিনীকে কিভাবে সুপ্রিম কোর্টের ওই আদেশ মানতে বাধ্য করা হবে, তা স্পষ্ট নয়। সূত্র : রয়টার্স ও এপি।
এ আদেশের ফলে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা কমবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে এ পদক্ষেপে সুপ্রিম কোর্ট ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে গতকাল দেওয়া ওই আদেশে প্রধান বিচারপতি ইফতেখার চৌধুরী বলেন, 'রাজনৈতিক সরকার গঠন বা উৎখাতের জন্য এ ধরনের সংস্থা রাজনীতি বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখতে পারে না। কোনো রাজনৈতিক দল, কয়েকটি দলের রাজনৈতিক জোট বা ব্যক্তিগতভাবে কোনো রাজনীতিবিদকে সফলতা এনে দেওয়ার জন্য তারা কোনোভাবেই আনুকূল্য দেখাতে পারে না।'
পাকিস্তানের ৬৫ বছরের ইতিহাসে অর্ধেকেরও বেশি সময় অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বা পর্দার অন্তরালে থেকে দেশ শাসন করেছে সামরিক বাহিনী। গত শতকের আশির দশকের শেষ দিকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক সেল গঠনের অভিযোগ উঠেছিল। সুপ্রিম কোর্টের রুলিংয়ে বলা হয়েছে, আইএসআইয়ের কোনো নির্বাচনী বা রাজনৈতিক সেল অথবা তাদের আওতায় থাকা এ ধরনের কোনো কাঠামো থাকলে অবিলম্বে তা বিলুপ্ত করা হবে। কারণ তাদের কর্মকাণ্ডে রাষ্ট্র ও সশস্ত্র বাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দুর্নাম হয়েছে।
আদালত বলেন, ১৯৯০ সালের ঘটনায় সাবেক প্রেসিডেন্ট গুলাম ইসহাক খান, সাবেক সেনাপ্রধান আসলাম বেগ, আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান আসাদ দুররানি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারকে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তবে সামরিক বাহিনীকে কিভাবে সুপ্রিম কোর্টের ওই আদেশ মানতে বাধ্য করা হবে, তা স্পষ্ট নয়। সূত্র : রয়টার্স ও এপি।
No comments