গরুর শিং
গত বছর কোরবানির ঈদে আমি প্রথমবার গরুর হাটে যাই। আমার সঙ্গে ছিলেন বাবা আর তাঁর এক বন্ধু। আমি ভেবেছিলাম, হাটে গরুগুলো সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো থাকবে আর মানুষের যেটা পছন্দ হবে, সেটা টাকা দিয়ে নিয়ে নেবে।
হাটের কাছে যেতে যেতে বিকেল হয়ে গেল। হাট লোকে লোকারণ্য। বাবা একজনের সঙ্গে কিছুক্ষণ আলাপ করলেন। তারপর চললেন গরুর হাটে। আমিও তখন সাতপাঁচ ভাবছি। সূর্য প্রায় পশ্চিম দিকে হেলে পড়েছে। লক্ষ করলাম, বাঁ দিক দিয়ে লোকজন ঢুকে যাচ্ছে। আমিও ভাবলাম ওটাই বোধ হয় হাট। মাইকে কেউ একজন ক্রমাগত বলে যাচ্ছেন, ‘হাটবাজার-হাটবাজার, গরুর হাটবাজার’। আমি অবশেষে গরুর হাটে ঢুকলাম এবং যা দেখলাম তাতে আমার চক্ষু চড়কগাছ। গরুগুলো সারিবদ্ধ না হয়ে অত্যন্ত বিশৃঙ্খলভাবে দাঁড় করানো। অগণিত মানুষ ঘুরছে আর দেখছে। মালিকের কাছ থেকে দাম শুনে অনেক ভেবে কিনে ফেলছে আবার অনেকে দাম শুনে চোখ কপালে তুলছে। এরই মধ্যে অনেকে গরু মানুষকে গুঁতো দিচ্ছে। একটু পরপর মানুষের আর্তনাদ ভেসে আসছে। আমি ভয়ে ভয়ে হাঁটতে লাগলাম। আমাকে না আবার গুঁতো দেয়।
এর মধ্যে সন্ধ্যা হয়ে এল আর হাটে কুপিবাতিগুলোও জ্বলে উঠল। আমার আব্বু আর অন্যরা দরদাম করতে লাগলেন। আমি এদিক-সেদিক ভয়ে ভয়ে তাকাতে লাগলাম। মনে ভয়, কোন সময় না গরু ছুটে এসে আমাকে গুঁতো দেয়। আমার সবচেয়ে ভয় লাগে গরু ধরতে। সেই সময় একটা লোককে দেখলাম। তাঁর সঙ্গে একটা ছোট লাল ফ্রক পরা মেয়ে। আমি আবিষ্কার করলাম মেয়েটার কোনো ভয়ডর নেই। সে অবলীলায় গরু ধরছে, লেজ টানছে, শিং ধরছে। কী সাহসী মেয়ে! দেখে আমারও গরু নিয়ে ভয় খানিকটা কাটল।
ফাইয়াজ রাজিন হক
মিরের ময়দান, সিলেট।
এর মধ্যে সন্ধ্যা হয়ে এল আর হাটে কুপিবাতিগুলোও জ্বলে উঠল। আমার আব্বু আর অন্যরা দরদাম করতে লাগলেন। আমি এদিক-সেদিক ভয়ে ভয়ে তাকাতে লাগলাম। মনে ভয়, কোন সময় না গরু ছুটে এসে আমাকে গুঁতো দেয়। আমার সবচেয়ে ভয় লাগে গরু ধরতে। সেই সময় একটা লোককে দেখলাম। তাঁর সঙ্গে একটা ছোট লাল ফ্রক পরা মেয়ে। আমি আবিষ্কার করলাম মেয়েটার কোনো ভয়ডর নেই। সে অবলীলায় গরু ধরছে, লেজ টানছে, শিং ধরছে। কী সাহসী মেয়ে! দেখে আমারও গরু নিয়ে ভয় খানিকটা কাটল।
ফাইয়াজ রাজিন হক
মিরের ময়দান, সিলেট।
No comments