পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের রায়- সাবেক সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ
পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান আসলাম বেগ ও গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) সাবেক প্রধান আসাদ দুররানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। ১৯৯০ সালের নির্বাচনে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) জয় ঠেকাতে নতুন দল গঠনের জন্য রাজনীতিকদের অর্থ জোগানোর দায়ে আদালত এ নির্দেশ দেন।
১৬ বছর আগে বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান আসগর খানের দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট এ আদেশ দেন।
আদালত বলেন, ১৯৯০ সালের নির্বাচনে কারচুপি হয়েছিল। পিপিপিকে ঠেকাতে আসলাম বেগ ও আসাদ দুররানি সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে আদালত নিশ্চিত হয়েছেন। এদিকে এ রায় ঘোষণার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফ গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এ চক্রান্তের নেপথ্যে থাকা সব অপরাধীকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। রাজা পারভেজ এ রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ এবং দিনটিকে ‘গণতন্ত্রের বিজয়ের দিন’ বলে অভিহিত করেন।
আসগর খানের মামলার আরজিতে বলা হয়, ১৯৯০ সালে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকে অর্থ দেয় আইএসআই। এ গোয়েন্দা সংস্থা ইসলামি জামহুরি ইত্তেহাদ (আইজেআই) নামের একটি দল গঠনে ১৪ কোটি রুপি দেয় রাজনীতিবিদদের। আইএসআইয়ের এই অর্থ দেওয়ার বিষয়টি তদন্তের জন্য ১৯৯৬ সালে আদালতে আবেদন করেন আসগর খান। গোয়েন্দা সংস্থাটির তৎকালীন প্রধান দুররানি পিপিপির জয় ঠেকাতে রাজনীতিবিদদের অর্থ দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করার পর এ বিষয়ে তদন্তের আবেদন করেন আসগর খান।
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মদ চৌধুরী, বিচারপতি জাওয়াদ এস খাজা ও বিচারপতি খিলজি আরিফ হুসাইনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সংক্ষিপ্ত আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, গোয়েন্দা সংস্থা বা প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো রাজনৈতিক শাখা থাকলে তা অবশ্যই নির্মূল করা উচিত। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সেনাবাহিনী কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। আদালত বলেন, আসলাম বেগ ও আসাদ দুররানি এবং অন্য যাঁরা পার্লামেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন, তাঁরা ব্যক্তিগতভাবে এই অবৈধ কাজটি করেছেন। এর সঙ্গে পুরো সামরিক বাহিনী জড়িত নয়।
নির্দেশ দেওয়ার আগে শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, আদালত পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাবেন। এ প্রক্রিয়া ব্যাহত করার অপচেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী আসগর খান। তিনি বলেন, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতের এ ধরনের রায় পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম। অপরাধী সামরিক বা বেসামরিক ব্যক্তি যে-ই হোন না কেন, তাঁর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। রয়টার্স ও ডন।
আদালত বলেন, ১৯৯০ সালের নির্বাচনে কারচুপি হয়েছিল। পিপিপিকে ঠেকাতে আসলাম বেগ ও আসাদ দুররানি সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে আদালত নিশ্চিত হয়েছেন। এদিকে এ রায় ঘোষণার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফ গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এ চক্রান্তের নেপথ্যে থাকা সব অপরাধীকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। রাজা পারভেজ এ রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ এবং দিনটিকে ‘গণতন্ত্রের বিজয়ের দিন’ বলে অভিহিত করেন।
আসগর খানের মামলার আরজিতে বলা হয়, ১৯৯০ সালে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকে অর্থ দেয় আইএসআই। এ গোয়েন্দা সংস্থা ইসলামি জামহুরি ইত্তেহাদ (আইজেআই) নামের একটি দল গঠনে ১৪ কোটি রুপি দেয় রাজনীতিবিদদের। আইএসআইয়ের এই অর্থ দেওয়ার বিষয়টি তদন্তের জন্য ১৯৯৬ সালে আদালতে আবেদন করেন আসগর খান। গোয়েন্দা সংস্থাটির তৎকালীন প্রধান দুররানি পিপিপির জয় ঠেকাতে রাজনীতিবিদদের অর্থ দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করার পর এ বিষয়ে তদন্তের আবেদন করেন আসগর খান।
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মদ চৌধুরী, বিচারপতি জাওয়াদ এস খাজা ও বিচারপতি খিলজি আরিফ হুসাইনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সংক্ষিপ্ত আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, গোয়েন্দা সংস্থা বা প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো রাজনৈতিক শাখা থাকলে তা অবশ্যই নির্মূল করা উচিত। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সেনাবাহিনী কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। আদালত বলেন, আসলাম বেগ ও আসাদ দুররানি এবং অন্য যাঁরা পার্লামেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন, তাঁরা ব্যক্তিগতভাবে এই অবৈধ কাজটি করেছেন। এর সঙ্গে পুরো সামরিক বাহিনী জড়িত নয়।
নির্দেশ দেওয়ার আগে শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, আদালত পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাবেন। এ প্রক্রিয়া ব্যাহত করার অপচেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী আসগর খান। তিনি বলেন, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতের এ ধরনের রায় পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম। অপরাধী সামরিক বা বেসামরিক ব্যক্তি যে-ই হোন না কেন, তাঁর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। রয়টার্স ও ডন।
No comments