চালুর আগে সংস্কারে বরাদ্দ আরও অর্ধকোটি টাকা- চার মাসেই সড়ক ভেঙেচুরে একাকার by খলিল রহমান
সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর সড়কের কাজ শেষ হয়েছে গত জুন মাসে। এরই মধ্যে সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙে গেছে, ধসে গেছে সেতুর সংযোগসড়ক। সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ নতুন সড়কটি সংস্কারের নামে আরও ৫২ লাখ টাকার কাজের উদ্যোগে নিয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সড়কটিতে খুবই নিম্নমানের কাজ হয়েছে। যে কারণে কাজ শেষ হওয়ার চার মাসের মধ্যেই এর বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সদরের বাসিন্দা শিক্ষক নূরে আলম বলেন, সড়কটি সুনামগঞ্জের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি চালু হলে জেলা সদরের সঙ্গে চারটি উপজেলার সরাসির সড়ক যোগযোগ স্থাপিত হবে। কর্তৃপক্ষের সেটা বোঝা উচিত।
জানা গেছে, নতুন তিনটি সেতু, চারটি কালভার্টসহ সাত কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪১ কোটি টাকা। সুরমা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ শেষ না হওয়ায় এখনো সড়কটি চালু হয়নি। সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর সড়ক ও সুরমা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ এবং জামালগঞ্জ উপজেলার দুটি সড়কের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে গত মাসে সুনামগঞ্জ সওজের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমান উল্লাহকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করা হয়।
সওজ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে সুনামগঞ্জ শহরের মল্লিকপুর এলাকায় সুরমা নদীর ওপর একটি সেতু এবং সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কাছিরগাতি পর্যন্ত সাত কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে প্রথমে ১৯ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হলেও পরবর্তী সময় দফায় দফায় ব্যয় বাড়ানো হয়। সড়কের নির্মাণকাজ শেষ করতে মোট ব্যয় হয়েছে ৪১ কোটি টাকা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সুনামগঞ্জ ও সিলেট সওজ বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা ও ঠিকাদারেরা মিলে এখানে কাজে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন। যে কারণে সড়কের কাজ চার মাসও টেকেনি। বৃষ্টি শুরু হওয়ার পরই স্থানে স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেতুর সংযোগ সড়ক ধসে গেছে। সড়কের লালপুর গ্রামের পাশে বেশ কিছু অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। একইভাবে লালপুর, সোনাপুর ও কতুবপুর গ্রামের পাশের সেতু ও কালভার্টের সংযোগ সড়ক ধসে গেছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
লালপুর গ্রামের আফতর আলী বলেন, কাজ ভালো হলে তো সড়ক টিকত। কাজ খারাপ হয়েছে বলেই টেকেনি। কলেজছাত্র মহিনুর ইসলাম বলেন, সড়কের কাজে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। বালু-পাথর সবকিছুই দেওয়া হয়েছে নিম্নমানের।
সওজ সূত্রে আরও জানা গেছে, এই সড়কের কাজ শেষ হওয়ার পর এর বিভিন্ন জায়গা মেরামতের নামে আরও ৫২ লাখ টাকার কাজের দরপত্র আহ্বান করে কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার দরপত্রের লটারি হয়েছে। দরপত্র যাচাই-বাছাই চলছে। আগামী মাসে কার্যাদেশ দেওয়া হবে।
সুনামগঞ্জ সওজের উপসহকারী প্রকৌশলী মোহামঞ্চদ মহসিন জানান, সড়ক সংস্কারকাজের যে কার্যাদেশ দেওয়া হবে, তার মধ্যে নতুন সড়কে ৫২ লাখ টাকার কাজ হবে। কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও লুটপাট হয়েছে—এলাকাবাসীর এমন অভিযোগ সম্পর্কে মোহামঞ্চদ মহসিন বলেন, আসলে কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি। বন্যায় সড়ক প্লাবিত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণেই মেরামত করতে হচ্ছে।
আমান উল্লাহকে প্রত্যাহারের পর মৌলভীবাজার সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আমিন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। বিস্তারিত বলতে পারব না। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই সবকিছু বিবেচনা করেই এখানে কাজের উদ্যোগ নিয়েছে।’
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সদরের বাসিন্দা শিক্ষক নূরে আলম বলেন, সড়কটি সুনামগঞ্জের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি চালু হলে জেলা সদরের সঙ্গে চারটি উপজেলার সরাসির সড়ক যোগযোগ স্থাপিত হবে। কর্তৃপক্ষের সেটা বোঝা উচিত।
জানা গেছে, নতুন তিনটি সেতু, চারটি কালভার্টসহ সাত কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪১ কোটি টাকা। সুরমা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ শেষ না হওয়ায় এখনো সড়কটি চালু হয়নি। সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর সড়ক ও সুরমা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ এবং জামালগঞ্জ উপজেলার দুটি সড়কের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে গত মাসে সুনামগঞ্জ সওজের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমান উল্লাহকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করা হয়।
সওজ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে সুনামগঞ্জ শহরের মল্লিকপুর এলাকায় সুরমা নদীর ওপর একটি সেতু এবং সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কাছিরগাতি পর্যন্ত সাত কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে প্রথমে ১৯ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হলেও পরবর্তী সময় দফায় দফায় ব্যয় বাড়ানো হয়। সড়কের নির্মাণকাজ শেষ করতে মোট ব্যয় হয়েছে ৪১ কোটি টাকা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সুনামগঞ্জ ও সিলেট সওজ বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা ও ঠিকাদারেরা মিলে এখানে কাজে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন। যে কারণে সড়কের কাজ চার মাসও টেকেনি। বৃষ্টি শুরু হওয়ার পরই স্থানে স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেতুর সংযোগ সড়ক ধসে গেছে। সড়কের লালপুর গ্রামের পাশে বেশ কিছু অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। একইভাবে লালপুর, সোনাপুর ও কতুবপুর গ্রামের পাশের সেতু ও কালভার্টের সংযোগ সড়ক ধসে গেছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
লালপুর গ্রামের আফতর আলী বলেন, কাজ ভালো হলে তো সড়ক টিকত। কাজ খারাপ হয়েছে বলেই টেকেনি। কলেজছাত্র মহিনুর ইসলাম বলেন, সড়কের কাজে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। বালু-পাথর সবকিছুই দেওয়া হয়েছে নিম্নমানের।
সওজ সূত্রে আরও জানা গেছে, এই সড়কের কাজ শেষ হওয়ার পর এর বিভিন্ন জায়গা মেরামতের নামে আরও ৫২ লাখ টাকার কাজের দরপত্র আহ্বান করে কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার দরপত্রের লটারি হয়েছে। দরপত্র যাচাই-বাছাই চলছে। আগামী মাসে কার্যাদেশ দেওয়া হবে।
সুনামগঞ্জ সওজের উপসহকারী প্রকৌশলী মোহামঞ্চদ মহসিন জানান, সড়ক সংস্কারকাজের যে কার্যাদেশ দেওয়া হবে, তার মধ্যে নতুন সড়কে ৫২ লাখ টাকার কাজ হবে। কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও লুটপাট হয়েছে—এলাকাবাসীর এমন অভিযোগ সম্পর্কে মোহামঞ্চদ মহসিন বলেন, আসলে কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি। বন্যায় সড়ক প্লাবিত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণেই মেরামত করতে হচ্ছে।
আমান উল্লাহকে প্রত্যাহারের পর মৌলভীবাজার সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আমিন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। বিস্তারিত বলতে পারব না। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই সবকিছু বিবেচনা করেই এখানে কাজের উদ্যোগ নিয়েছে।’
No comments