কুয়েতে পার্লামেন্ট নির্বাচন ১ ডিসেম্বর-বর্জনের ঘোষণা বিরোধীদের
পার্লামেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে কুয়েতের মন্ত্রিসভা। আগামী ১ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পদ্ধতিতে কিছু সংস্কার এনে শনিবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণার পর পরই প্রধান বিরোধী দল এই নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা থেকে একজন প্রার্থীকে নির্বাচনের বিধান রেখে নির্বাচন পদ্ধতিতে সংস্কার আনা হয়েছে। এর আগে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা থেকে চারজন প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারত ভোটারা। বিরোধী দল নির্বাচনী আইনে এই পরিবর্তনকে 'সংবিধানে অবৈধ হস্তক্ষেপ' বলে অভিহিত করেছে। বিরোধী নেতা আহমেদ আল দাইয়ান জানিয়েছেন, নির্বাচনী আইন পরিবর্তনের প্রতিবাদে রবিবার বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
কুয়েতে ক্ষমতাসীন সাবা পরিবার ও পার্লামেন্টের মধ্যে কয়েক মাস ধরে বিরোধ চলছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কুয়েতে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচন ছিল গত তিন বছরের মধ্যে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন। কুয়েতে সরকার ও মন্ত্রিসভায় রাজ পরিবারের প্রাধান্য থাকলেও ওই নির্বাচনে ইসলামপন্থী বিরোধী রাজনৈতিক ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর দলগুলো উল্লেখযোগ্য জয় পায়। এ অবস্থায় দেশটির সাংবিধানিক আদালত গত ২ জুন এক আদেশে ওই নির্বাচনকে বাতিল বলে রায় দেন। আদালত জানান, ২০১১ সালের ডিসেম্বরে আমির সাবা আল আহমেদ আল জাবের আল সাবার নির্দেশে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার প্রক্রিয়াটি অসাংবিধানিক ছিল। এরপর বিরোধী দলের সদস্যরা পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেন এবং শাসনব্যবস্থায় একটি পূর্ণ পার্লামেন্টারি পদ্ধতির দাবি করেন। আমির আল সাবাহ গত ৭ অক্টোবর পার্লামেন্ট ভেঙে দেন। ওই সময় থেকেই ডিসেম্বরের মাঝামাঝি নির্বাচনের তারিখ দেওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। তেলসমৃদ্ধ দেশটিতে ২০০৬ সালের পর এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো সংসদ ভেঙে দেওয়ার ঘটনা ঘটল। সূত্র : রয়টার্স।
কুয়েতে ক্ষমতাসীন সাবা পরিবার ও পার্লামেন্টের মধ্যে কয়েক মাস ধরে বিরোধ চলছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কুয়েতে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচন ছিল গত তিন বছরের মধ্যে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন। কুয়েতে সরকার ও মন্ত্রিসভায় রাজ পরিবারের প্রাধান্য থাকলেও ওই নির্বাচনে ইসলামপন্থী বিরোধী রাজনৈতিক ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর দলগুলো উল্লেখযোগ্য জয় পায়। এ অবস্থায় দেশটির সাংবিধানিক আদালত গত ২ জুন এক আদেশে ওই নির্বাচনকে বাতিল বলে রায় দেন। আদালত জানান, ২০১১ সালের ডিসেম্বরে আমির সাবা আল আহমেদ আল জাবের আল সাবার নির্দেশে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার প্রক্রিয়াটি অসাংবিধানিক ছিল। এরপর বিরোধী দলের সদস্যরা পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেন এবং শাসনব্যবস্থায় একটি পূর্ণ পার্লামেন্টারি পদ্ধতির দাবি করেন। আমির আল সাবাহ গত ৭ অক্টোবর পার্লামেন্ট ভেঙে দেন। ওই সময় থেকেই ডিসেম্বরের মাঝামাঝি নির্বাচনের তারিখ দেওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। তেলসমৃদ্ধ দেশটিতে ২০০৬ সালের পর এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো সংসদ ভেঙে দেওয়ার ঘটনা ঘটল। সূত্র : রয়টার্স।
No comments