ফরমালিনযুক্ত ফল-জনস্বাস্থ্য রক্ষায় দ্রুত উদ্যোগ নিন
নাগরিকদের জীবনরক্ষায় উদাসীন এক সরকারের অদ্ভুত দেশে আমরা বাস করছি! খাবারে বিষ মেশানো নিয়ে দিনের পর দিন এত আলোচনা হচ্ছে, এর বিরুদ্ধে সভা-সেমিনার-আন্দোলন হচ্ছে, অথচ কার্যত কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না।
কেন? ২০১০ সালে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ সরকারকে এ ব্যাপারে কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই ব্যবস্থাগুলো আজ পর্যন্ত নেওয়া হয়নি এবং অবাধে আমদানি করা হচ্ছে ফরমালিনযুক্ত বিদেশি ফল। হাইকোর্ট দেশের বন্দরগুলো দিয়ে রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো ফল আমদানি বন্ধ করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। অথচ গত রবিবার কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশের কোনো বন্দরেই এখন পর্যন্ত আমদানি করা ফলে ফরমালিন আছে কি না তা পরীক্ষা করারই কোনো ব্যবস্থা নেই। বাজারের আড়তগুলোতে প্রতিদিন ফলের রাসায়নিক পরীক্ষা এবং দোষীদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশও পালিত হয়নি। মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দু-একটি বিচ্ছিন্ন অভিযান পরিচালনা ছাড়া প্রতিদিন বা নিয়মিত নজরদারির কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি।
বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য ফরমালিন মানুষসহ সব প্রাণীর জন্যই অত্যন্ত ক্ষতিকর। একটু বেশি পরিমাণে ফরমালিন খেলে তাৎক্ষণিক মৃত্যুও হতে পারে। ফল বা অন্যান্য পচনশীল দ্রব্যের সঙ্গে যে পরিমাণে ফরমালিন দেহে প্রবেশ করে, তাও অত্যন্ত ক্ষতিকর। এসব কারণে বাংলাদেশে ফল বা খাদ্যে ফরমালিনের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য অধ্যাদেশ ২০০৫ অনুযায়ী, খাদ্যে ক্যালসিয়াম কার্বাইড, ফরমালিন, ইটেফেন ও কীটনাশকের মতো সব ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদানের ব্যবহার নিষিদ্ধ। উন্নত দেশগুলোতে অনেক আগে থেকেই প্রিজারভেটিভ হিসেবে ফরমালিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে আইন প্রয়োগের কোনো উদ্যোগ আছে কি? প্রাপ্ত পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে বছরে হাজার কোটি টাকারও বেশি ফল আমদানি হয়। আর এসব ফলের একটি বড় অংশই আসে ভারত থেকে। অভিযোগ রয়েছে, সেখানে রপ্তানির আগে মাঠপর্যায়েই ফরমালিন মেশানো হয়। তাহলে প্রতিবছর হাজার কোটি টাকা খরচ করে আমরা সেসব কিনে আনছি কেন? এটাই কি জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সরকারের দায়িত্ববোধের পরিচয়?
অন্যদিকে শুধু বিদেশি ফল নয়, দেশি ফলেও এখন ফরমালিনসহ বিভিন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার শুরু হয়ে গেছে। গণমাধ্যমে বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ফল সম্পর্কে এক ধরনের ভীতি তৈরি হয়েছে। এ কারণে অনেকে ফল খাওয়া প্রায় ছেড়েই দিয়েছেন। অথচ সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন ফল খাওয়া অপরিহার্য। শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের জোগান দেওয়ার পাশাপাশি ফল মানবদেহে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের জোগান দেয়। এটি দেহের ভেতরে তৈরি হওয়া অযাচিত মুক্তকণা বা ফ্রি র্যাডিক্যালস কমায়। এর ফলে শরীর অনেক ধরনের রোগব্যাধি থেকে মুক্ত থাকে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। চিকিৎসকরাও এসব কারণে বেশি বেশি ফল খেতে বলেন। কিন্তু সেই ফলে যদি বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য থাকে, তাহলে সেই ফল উপকারের বদলে অপকারই করবে। জনগণের সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করার দায়িত্ব যেহেতু রাষ্ট্রের, তাই সরকারকে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। খাদ্যে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার রোধ এবং বিষাক্ত ফল আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে তা হবে এক ক্ষমাহীন অপরাধ।
বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য ফরমালিন মানুষসহ সব প্রাণীর জন্যই অত্যন্ত ক্ষতিকর। একটু বেশি পরিমাণে ফরমালিন খেলে তাৎক্ষণিক মৃত্যুও হতে পারে। ফল বা অন্যান্য পচনশীল দ্রব্যের সঙ্গে যে পরিমাণে ফরমালিন দেহে প্রবেশ করে, তাও অত্যন্ত ক্ষতিকর। এসব কারণে বাংলাদেশে ফল বা খাদ্যে ফরমালিনের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য অধ্যাদেশ ২০০৫ অনুযায়ী, খাদ্যে ক্যালসিয়াম কার্বাইড, ফরমালিন, ইটেফেন ও কীটনাশকের মতো সব ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদানের ব্যবহার নিষিদ্ধ। উন্নত দেশগুলোতে অনেক আগে থেকেই প্রিজারভেটিভ হিসেবে ফরমালিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে আইন প্রয়োগের কোনো উদ্যোগ আছে কি? প্রাপ্ত পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে বছরে হাজার কোটি টাকারও বেশি ফল আমদানি হয়। আর এসব ফলের একটি বড় অংশই আসে ভারত থেকে। অভিযোগ রয়েছে, সেখানে রপ্তানির আগে মাঠপর্যায়েই ফরমালিন মেশানো হয়। তাহলে প্রতিবছর হাজার কোটি টাকা খরচ করে আমরা সেসব কিনে আনছি কেন? এটাই কি জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সরকারের দায়িত্ববোধের পরিচয়?
অন্যদিকে শুধু বিদেশি ফল নয়, দেশি ফলেও এখন ফরমালিনসহ বিভিন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার শুরু হয়ে গেছে। গণমাধ্যমে বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ফল সম্পর্কে এক ধরনের ভীতি তৈরি হয়েছে। এ কারণে অনেকে ফল খাওয়া প্রায় ছেড়েই দিয়েছেন। অথচ সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন ফল খাওয়া অপরিহার্য। শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের জোগান দেওয়ার পাশাপাশি ফল মানবদেহে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের জোগান দেয়। এটি দেহের ভেতরে তৈরি হওয়া অযাচিত মুক্তকণা বা ফ্রি র্যাডিক্যালস কমায়। এর ফলে শরীর অনেক ধরনের রোগব্যাধি থেকে মুক্ত থাকে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। চিকিৎসকরাও এসব কারণে বেশি বেশি ফল খেতে বলেন। কিন্তু সেই ফলে যদি বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য থাকে, তাহলে সেই ফল উপকারের বদলে অপকারই করবে। জনগণের সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করার দায়িত্ব যেহেতু রাষ্ট্রের, তাই সরকারকে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। খাদ্যে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার রোধ এবং বিষাক্ত ফল আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে তা হবে এক ক্ষমাহীন অপরাধ।
No comments