ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন-প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে আসছেন হিনা
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসছেন। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, তাঁর এ সফর হবে বেশ সংক্ষিপ্ত। আগামী নভেম্বর মাসে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় ডি-৮ (উন্নয়নশীল আট দেশের
জোট)-এর শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফের পক্ষ থেকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পৌঁছে দিতেই তিনি ঢাকায় আসছেন। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গেও তাঁর বৈঠকের কথা রয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, বর্তমান সরকারের আমলে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ে যে সংখ্যক সফর বিনিময় হয়েছে তার তুলনায় পাকিস্তানের সঙ্গে সফর বিনিময়ের হার নগণ্য। গত মার্চ মাসে ঢাকায় এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা দেখতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এসেছিলেন দেশটির স্টেটস ও ফ্রন্টিয়ার রিজিওনবিষয়ক মন্ত্রী শওকত উল্লাহ। গত এপ্রিল মাসে ঢাকায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনু বিভাগের মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠকের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি গত জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ইসলামাবাদে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সোহরাব হাসান হিনা রাব্বানি খার কাছে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেওয়ার সময় তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের ব্যাপারেও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, আসন্ন ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাকিস্তান সফর করলে তা হবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বেশ উল্লেখযোগ্য ঘটনা। সূত্র আরো জানায়, প্রতিবেশী অন্য দেশগুলোর তুলনায় পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের স্থবিরতা চলছে। আর এ স্থবিরতার জন্য মূলত দায়ী চারটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এগুলো হলো মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার জন্য বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমাপ্রার্থনা, উত্তরসূরি রাষ্ট্র হিসেবে অবিভাজিত সম্পদে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা আদায়, আটকে পড়া পাকিস্তানিদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন এবং বাংলাদেশকে যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ প্রদান। বাংলাদেশ যেমন তার দাবিতে অনড়, তেমনি পাকিস্তানের দিক থেকেও ওই দাবিগুলোর ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া নেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো মনে করে, স্থবিরতার জন্য পাকিস্তানই দায়ী। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়ার মতো অত্যন্ত স্পর্শকাতর ইস্যুগুলোর কাঙ্ক্ষিত সমাধান দুই দেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করতে সহায়ক হবে।
২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠনের পর ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন নেতৃত্বকে শুভেচ্ছা জানাতে বাংলাদেশ সফরে আসেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত জিয়া এম ইস্পাহানী। সফরের অংশ হিসেবে তিনি সাক্ষাৎ করতে এলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবির কথা উল্লেখ করেন। ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে বাংলাদেশ সুদৃঢ় অবস্থান তুলে ধরে। এ ছাড়া দীর্ঘ অমীমাংসিত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ইস্যুগুলো সমাধানের দাবি জানায় বাংলাদেশ।
সূত্র জানায়, আটকে পড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ পাকিস্তানকে অনুরোধ জানিয়ে আসছে। কিন্তু এ ব্যাপারে পাকিস্তানের কাছ থেকে অনুকূল সাড়া মিলছে না।
সূত্র আরো জানায়, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগে পাকিস্তান বিচলিত হয়ে এতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এমনকি ঢাকার গুলশানে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সড়কের নামকরণেও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আপত্তি এসেছিল।
বাংলাদেশের দাবিগুলোর ব্যাপারে পাকিস্তানের মনোভাব কী, জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, ২০১০ সালে ইসলামাবাদে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সে সময় জানানো হয়েছিল, বাংলাদেশের দাবিগুলো জটিল ও স্পর্শকাতর। তবে দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে ভবিষ্যতে সব ফোরামে বাংলাদেশের উত্থাপিত ইস্যুগুলো নিয়ে মুক্ত আলোচনার ব্যাপারে পাকিস্তান সম্মতি জানায়।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তানের বর্তমান প্রজন্মের মনোভাব ইতিবাচক। সাবেক ক্রিকেটার বর্তমানে রাজনীতিক ইমরান খানের মতো নেতারা বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়ার দাবির পক্ষে। পাকিস্তান সরকারকে বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করতে হবে।
সূত্র আরো জানায়, বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কে ইতিবাচক অনেক দিকও আছে। ২০১১ সালে পাকিস্তানের বন্যাদুর্গত জনগণের সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ২০ লাখ ডলার মূল্যমানের ত্রাণ সহায়তা দেয় এবং জীবন রক্ষাকারী জরুরি ওষুধের চালানসহ ৩৯ সদস্যের একটি চিকিৎসক দল পাকিস্তানে পাঠায়। বন্যা-পরবর্তী সময়ে ইউরোপের বাজারে পাকিস্তানি নির্দিষ্ট কয়েকটি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারবিষয়ক প্রস্তাবে বাংলাদেশ ভেটো দেয়নি। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস ও নিরাপত্তা বিষয়ে দুই দেশ পরস্পরকে সহযোগিতা করতেও রাজি হয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, বর্তমান সরকারের আমলে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ে যে সংখ্যক সফর বিনিময় হয়েছে তার তুলনায় পাকিস্তানের সঙ্গে সফর বিনিময়ের হার নগণ্য। গত মার্চ মাসে ঢাকায় এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা দেখতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এসেছিলেন দেশটির স্টেটস ও ফ্রন্টিয়ার রিজিওনবিষয়ক মন্ত্রী শওকত উল্লাহ। গত এপ্রিল মাসে ঢাকায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনু বিভাগের মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠকের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি গত জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ইসলামাবাদে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সোহরাব হাসান হিনা রাব্বানি খার কাছে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেওয়ার সময় তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের ব্যাপারেও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, আসন্ন ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাকিস্তান সফর করলে তা হবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বেশ উল্লেখযোগ্য ঘটনা। সূত্র আরো জানায়, প্রতিবেশী অন্য দেশগুলোর তুলনায় পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের স্থবিরতা চলছে। আর এ স্থবিরতার জন্য মূলত দায়ী চারটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এগুলো হলো মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার জন্য বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমাপ্রার্থনা, উত্তরসূরি রাষ্ট্র হিসেবে অবিভাজিত সম্পদে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা আদায়, আটকে পড়া পাকিস্তানিদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন এবং বাংলাদেশকে যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ প্রদান। বাংলাদেশ যেমন তার দাবিতে অনড়, তেমনি পাকিস্তানের দিক থেকেও ওই দাবিগুলোর ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া নেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো মনে করে, স্থবিরতার জন্য পাকিস্তানই দায়ী। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়ার মতো অত্যন্ত স্পর্শকাতর ইস্যুগুলোর কাঙ্ক্ষিত সমাধান দুই দেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করতে সহায়ক হবে।
২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠনের পর ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন নেতৃত্বকে শুভেচ্ছা জানাতে বাংলাদেশ সফরে আসেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত জিয়া এম ইস্পাহানী। সফরের অংশ হিসেবে তিনি সাক্ষাৎ করতে এলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবির কথা উল্লেখ করেন। ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে বাংলাদেশ সুদৃঢ় অবস্থান তুলে ধরে। এ ছাড়া দীর্ঘ অমীমাংসিত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ইস্যুগুলো সমাধানের দাবি জানায় বাংলাদেশ।
সূত্র জানায়, আটকে পড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ পাকিস্তানকে অনুরোধ জানিয়ে আসছে। কিন্তু এ ব্যাপারে পাকিস্তানের কাছ থেকে অনুকূল সাড়া মিলছে না।
সূত্র আরো জানায়, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগে পাকিস্তান বিচলিত হয়ে এতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এমনকি ঢাকার গুলশানে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সড়কের নামকরণেও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আপত্তি এসেছিল।
বাংলাদেশের দাবিগুলোর ব্যাপারে পাকিস্তানের মনোভাব কী, জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, ২০১০ সালে ইসলামাবাদে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সে সময় জানানো হয়েছিল, বাংলাদেশের দাবিগুলো জটিল ও স্পর্শকাতর। তবে দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে ভবিষ্যতে সব ফোরামে বাংলাদেশের উত্থাপিত ইস্যুগুলো নিয়ে মুক্ত আলোচনার ব্যাপারে পাকিস্তান সম্মতি জানায়।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তানের বর্তমান প্রজন্মের মনোভাব ইতিবাচক। সাবেক ক্রিকেটার বর্তমানে রাজনীতিক ইমরান খানের মতো নেতারা বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়ার দাবির পক্ষে। পাকিস্তান সরকারকে বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করতে হবে।
সূত্র আরো জানায়, বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কে ইতিবাচক অনেক দিকও আছে। ২০১১ সালে পাকিস্তানের বন্যাদুর্গত জনগণের সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ২০ লাখ ডলার মূল্যমানের ত্রাণ সহায়তা দেয় এবং জীবন রক্ষাকারী জরুরি ওষুধের চালানসহ ৩৯ সদস্যের একটি চিকিৎসক দল পাকিস্তানে পাঠায়। বন্যা-পরবর্তী সময়ে ইউরোপের বাজারে পাকিস্তানি নির্দিষ্ট কয়েকটি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারবিষয়ক প্রস্তাবে বাংলাদেশ ভেটো দেয়নি। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস ও নিরাপত্তা বিষয়ে দুই দেশ পরস্পরকে সহযোগিতা করতেও রাজি হয়েছে।
No comments