টাকাপয়সার অপচয় যেন না হয়- টেকসই জাতীয় পরিচয়পত্র
জাতীয় পরিচয়পত্রকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরের প্রয়োজন অনস্বীকার্য। বর্তমান বিশ্বে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। এর সুফল পেতে হলে বাংলাদেশকেও সমগতিতে চলতে হবে। বর্তমানের জাতীয় পরিচয়পত্রের দুটি অসুবিধা। প্রথমত, এটা লেমিনেটেড একটি কার্ড, যা সহজে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত, এই কার্ডের ‘বারকোড’ কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহার করে চটজলদি সব তথ্য জানা কঠিন। তাই যদি স্মার্ট কার্ডে রূপান্তর করা যায় তাহলে এই পরিচয়পত্রের বহুবিধ ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে।
ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংক-বিমা, আমদানি-রপ্তানি প্রভৃতি ক্ষেত্রে স্মার্ট কার্ডের তথ্য যাচাই করে যেকোনো ধরনের অনিয়ম বা কেলেঙ্কারি রোধ করা সহজ হবে। তবে এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডার শক্তিশালী করা অবশ্যকরণীয় হয়ে দাঁড়াবে। স্মার্ট কার্ডের পুরো সুফল পেতে হলে এর সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।
বর্তমানে যে পরিচয়পত্র রয়েছে, স্মার্ট কার্ডে সেই তথ্যই ব্যবহার করা যাবে। তবে কারও কোনো তথ্য পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখা দিলে যেন সহজে ও উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের যাচাই সাপেক্ষে তা করা যায়, সেই সুযোগ থাকতে হবে। না হলে স্মার্ট কার্ড তার ‘স্মার্টনেস’ হারাবে, অর্থাৎ এর নির্ভরযোগ্যতা ও কার্যকারিতা কমে যাবে। তাই যখন বাড়তি টাকাপয়সা ব্যয়ই করা হচ্ছে, সেটা যেন পানিতে না যায়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
বর্তমানে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের নাগরিকদের জন্য এই পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে। স্মার্ট কার্ডেও তা-ই হবে। কিন্তু ভবিষ্যতে যেন সব বয়সের নাগরিকের জন্যই স্মার্ট কার্ড দেওয়া যায়, সে রকম উদ্যোগও নেওয়া দরকার। শিশু জন্মের সঙ্গে সঙ্গে তাকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলে আলাদাভাবে জন্মনিবন্ধনের প্রয়োজন থাকবে না। কিন্তু এ জন্য সংশ্লিষ্ট দুই কর্তৃপক্ষের কাজের সমন্বয় ও প্রয়োজনীয় সক্ষমতা অর্জন করা দরকার।
যখন সবার জন্য পরিচয়পত্র দেওয়া যাবে তখন শিক্ষার্থীদের ভর্তি, চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য, ভ্যাট-কর, পাসপোর্ট, গাড়িচালকের ছাড়পত্রসহ সব কাজে জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা যাবে। এর আগে কিছু ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা যায়, তবে ব্যতিক্রম রাখতে হবে। যেমন, ১৮ বছরের কম বয়সের শিশুদের পাসপোর্ট গ্রহণের সময় সে আপাতত তার মা-বাবার পরিচয়পত্রের নম্বর ব্যবহার করতে পারে। এ রকম কিছু সুযোগ রাখা দরকার।
ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংক-বিমা, আমদানি-রপ্তানি প্রভৃতি ক্ষেত্রে স্মার্ট কার্ডের তথ্য যাচাই করে যেকোনো ধরনের অনিয়ম বা কেলেঙ্কারি রোধ করা সহজ হবে। তবে এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডার শক্তিশালী করা অবশ্যকরণীয় হয়ে দাঁড়াবে। স্মার্ট কার্ডের পুরো সুফল পেতে হলে এর সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।
বর্তমানে যে পরিচয়পত্র রয়েছে, স্মার্ট কার্ডে সেই তথ্যই ব্যবহার করা যাবে। তবে কারও কোনো তথ্য পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখা দিলে যেন সহজে ও উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের যাচাই সাপেক্ষে তা করা যায়, সেই সুযোগ থাকতে হবে। না হলে স্মার্ট কার্ড তার ‘স্মার্টনেস’ হারাবে, অর্থাৎ এর নির্ভরযোগ্যতা ও কার্যকারিতা কমে যাবে। তাই যখন বাড়তি টাকাপয়সা ব্যয়ই করা হচ্ছে, সেটা যেন পানিতে না যায়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
বর্তমানে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের নাগরিকদের জন্য এই পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে। স্মার্ট কার্ডেও তা-ই হবে। কিন্তু ভবিষ্যতে যেন সব বয়সের নাগরিকের জন্যই স্মার্ট কার্ড দেওয়া যায়, সে রকম উদ্যোগও নেওয়া দরকার। শিশু জন্মের সঙ্গে সঙ্গে তাকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলে আলাদাভাবে জন্মনিবন্ধনের প্রয়োজন থাকবে না। কিন্তু এ জন্য সংশ্লিষ্ট দুই কর্তৃপক্ষের কাজের সমন্বয় ও প্রয়োজনীয় সক্ষমতা অর্জন করা দরকার।
যখন সবার জন্য পরিচয়পত্র দেওয়া যাবে তখন শিক্ষার্থীদের ভর্তি, চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য, ভ্যাট-কর, পাসপোর্ট, গাড়িচালকের ছাড়পত্রসহ সব কাজে জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা যাবে। এর আগে কিছু ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা যায়, তবে ব্যতিক্রম রাখতে হবে। যেমন, ১৮ বছরের কম বয়সের শিশুদের পাসপোর্ট গ্রহণের সময় সে আপাতত তার মা-বাবার পরিচয়পত্রের নম্বর ব্যবহার করতে পারে। এ রকম কিছু সুযোগ রাখা দরকার।
No comments