‘এই ঐক্য হবে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও গুমের বিরুদ্ধে’- জাতীয় ঐক্যের ডাক দিলেন বি চৌধুরী ও ড. কামাল
দুর্নীতি-সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদমুক্ত সমাজ, সুস্থ রাজনীতি ও সমৃদ্ধ অর্থনীতি—এই তিন দফার ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন।
গতকাল রোববার রাজধানীর র্যা ডিসন হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দুই বর্ষীয়ান নেতা এ আহ্বান জানান। তাঁরা জানান, আগামী জানুয়ারির মধ্যে ঐক্যবদ্ধ নাগরিকদের নিয়ে ঢাকায় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। তাঁরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের দাবি জানান।
বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, এই ঐক্যের রাজনীতি হবে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও গুমের বিরুদ্ধে।
গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসকে বর্জনের জন্য লোভী রাজনীতিবিদ, আমলা ও অসৎ ব্যবসায়ীদের বর্জন করতে হবে। রুগ্ণ, বিভাজিত ও সন্ত্রাসের রাজনীতি বাদ দিয়ে কৃষক, শ্রমিক ও নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক মঞ্চ গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, একটি দুর্নীতির তদন্তকাজ শেষ হতে না হতে আরেকটি দুর্নীতির খবর বের হচ্ছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না।
‘অগ্রসরমাণ সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রত্যাশায়’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে সাঞ্চলক ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না। এতে বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন দূতাবাসের কুটনীতিকেরা উপস্থিত ছিলেন। বি চৌধুরী বলেন, দেশের অর্থনীতি এখন বিপর্যস্ত। আর ব্যবসায়ীরা হলেন রাজনীতির নিয়ন্ত্রক। সাংসদেরা তাঁদের পদকে টাকা আয়ের মাধ্যম মনে করেন।
পরে মুক্ত আলোচনায় প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে সমমনা দল নিয়ে গণফ্রন্ট গঠনের পরামর্শ দেন, যাতে সব মতের মানুষ অংশ নিতে পারেন। তিনি বলেন, ‘৪২ বছর ধরে প্রত্যাশা করে যাচ্ছি। লড়াই করেছি, সফল হতে পারিনি। তাই এখন আমার প্রত্যাশা আগামী প্রজন্মের কাছে।’
গবেষক ও কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘আজকের সমস্যা রাজনীতিবিদদের নয়। তাঁরা ভালো আছেন। সমস্যা মানুষের। আমরা নির্বাচিত সংসদ ও সরকার পেয়েছি। কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্র পাইনি। এমন অবস্থায় আরব বসন্তের মতো আমাদের বঙ্গীয় বসন্তের দরকার নেই। দরকার বহু দলের সরকার। কারণ এক দলের সরকার মানে স্বৈরতন্ত্র।’ আরও বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জাফর উল্লাহ চৌধুরী, বিকল্পধারার আবদুল মান্নান প্রমুখ।
বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, এই ঐক্যের রাজনীতি হবে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও গুমের বিরুদ্ধে।
গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসকে বর্জনের জন্য লোভী রাজনীতিবিদ, আমলা ও অসৎ ব্যবসায়ীদের বর্জন করতে হবে। রুগ্ণ, বিভাজিত ও সন্ত্রাসের রাজনীতি বাদ দিয়ে কৃষক, শ্রমিক ও নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক মঞ্চ গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, একটি দুর্নীতির তদন্তকাজ শেষ হতে না হতে আরেকটি দুর্নীতির খবর বের হচ্ছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না।
‘অগ্রসরমাণ সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রত্যাশায়’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে সাঞ্চলক ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না। এতে বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন দূতাবাসের কুটনীতিকেরা উপস্থিত ছিলেন। বি চৌধুরী বলেন, দেশের অর্থনীতি এখন বিপর্যস্ত। আর ব্যবসায়ীরা হলেন রাজনীতির নিয়ন্ত্রক। সাংসদেরা তাঁদের পদকে টাকা আয়ের মাধ্যম মনে করেন।
পরে মুক্ত আলোচনায় প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে সমমনা দল নিয়ে গণফ্রন্ট গঠনের পরামর্শ দেন, যাতে সব মতের মানুষ অংশ নিতে পারেন। তিনি বলেন, ‘৪২ বছর ধরে প্রত্যাশা করে যাচ্ছি। লড়াই করেছি, সফল হতে পারিনি। তাই এখন আমার প্রত্যাশা আগামী প্রজন্মের কাছে।’
গবেষক ও কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘আজকের সমস্যা রাজনীতিবিদদের নয়। তাঁরা ভালো আছেন। সমস্যা মানুষের। আমরা নির্বাচিত সংসদ ও সরকার পেয়েছি। কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্র পাইনি। এমন অবস্থায় আরব বসন্তের মতো আমাদের বঙ্গীয় বসন্তের দরকার নেই। দরকার বহু দলের সরকার। কারণ এক দলের সরকার মানে স্বৈরতন্ত্র।’ আরও বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জাফর উল্লাহ চৌধুরী, বিকল্পধারার আবদুল মান্নান প্রমুখ।
No comments