প্রশাসন দায়িত্বশীল হলে চাঁদাবাজি বন্ধ হবে
ঈদ এলেই শুরু হয় চাঁদাবাজি। দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে সক্রিয় হয়ে ওঠে পরিবহন চাঁদাবাজরা। রাজধানীসহ দেশের সর্বত্র ট্রেন, লঞ্চ, বাস টার্মিনালে রয়েছে চাঁদাবাজি। এ নিয়ে টেলিফোনে মন্তব্য জানিয়েছেন পাঠকরা। গ্রন্থনা : একরামুল হক শামীম ও মাহফুজুর রহমান মানিক
মো. খোকন আহম্মেদ
ব্যবসায়ী, নরসিংদী
পথে পথে যে চাঁদাবাজি হচ্ছে এর দায় সরকারকেই বহন করতে হবে। ঈদ সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা যদি চাঁদাবাজির কারণে ঠিকভাবে ব্যবসা করতে না পারেন তার দায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।
সাইফুল ইসলাম চৌধুরী স্বপন
গরু ব্যবসায়ী, খিলগাঁও, ঢাকা
পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। আমাদের দেশের এমপি, মন্ত্রীরাই বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। তারাই চাঁদাবাজি করার সুযোগ দিচ্ছে বলে আমরা মনে করি।
নাজিম উদ্দিন শোভা
শিক্ষক, টাঙ্গাইল
চাঁদাবাজি অত্যন্ত ঘৃণার কাজ। প্রশাসনের যোগসাজশে চাঁদাবাজি হয়। তা না হলে এভাবে পথে পথে চাঁদাবাজি কীভাবে হতে পারে?
শুকদেব ঘোষ
শিক্ষক, মধুপুর, টাঙ্গাইল
পুলিশ দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হবে না। কারণ পুলিশ নিজেরাই ঘুষ খায়। সেনাবাহিনী দিয়ে চাঁদাবাজদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
আবদুল আউয়াল খান
ব্যবসায়ী, গোপালগঞ্জ
স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং পুলিশের যোগসাজশেই চাঁদাবাজি হচ্ছে।
কুমারেশ চন্দ্র বিশ্বাস
বাস শ্রমিক, ঝিনাইদহ টার্মিনাল
পথে পথে চাঁদাবাজি যে ব্যাপক হারে হচ্ছে তা নয়। কিছু অপপ্রচারকারী এগুলো করে থাকেন, যাতে সরকারের দোষ হয়। মন্ত্রীরা যেভাবে পদক্ষেপ নিয়েছেন তাতে চাঁদাবাজি হওয়ার কথা নয়। তবে এ দেশে যেভাবে যুবকরা মাদকের দিকে ঝুঁকছে তাতে কিছু চাঁদাবাজি হতে পারে।
সুমন সূত্রধর
ডাক্তার, সিলেট
পুলিশ প্রশাসন যদি স্বচ্ছ হয় আর হলুদ সাংবাদিকতা যদি বন্ধ হয়, তাহলে দেশে চাঁদাবাজি বন্ধ হবে।
সিরাজুল ইসলাম সাজু
গাড়িচালক, নাটোর
চাঁদাবাজি চলছেই। থানায় পুলিশের চাঁদা, পৌরসভার চাঁদা, পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নামে চাঁদা। এভাবে নানা রকম চাঁদা দিতে দিতে আমাদের অবস্থা শেষ। অথচ যোগাযোগমন্ত্রী বলেছেন, চাঁদাবাজি হবে না। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
মোহাম্মদ আলী
চাকরিজীবী, হাজারীবাগ রোড, ঢাকা
পথে পথে চাঁদাবাজি এখন ঈদের সময়কার নিত্যদিনের ঘটনা। বাসে, লঞ্চে, ট্রেনে সর্বত্র চাঁদাবাজি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজি করছে সন্ত্রাসীরা। এগুলো বন্ধ করতে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভূমিকা এখানে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসনের সতর্কতাও জরুরি।
মোসলেহ উদ্দীন আহমেদ
শিক্ষার্থী, ফেনী
চাঁদাবাজির উৎস পুলিশ। পুুলিশের চাঁদাবাজি আর পেশাদার চাঁদাবাজদের মধ্যে পার্থক্য হলো, পুলিশ প্রকাশ্যে গাড়ি থামিয়ে করে, আর অন্যরা একটু গোপনে চাঁদাবাজি করে।
মোহাম্মদ শাহেদ
ব্যবসায়ী, ফেনী
পুলিশ যদি সচেতন থাকে বাংলাদেশে চাঁদাবাজি বন্ধ হবে।
ওয়াহিদ মুরাদ
কবি, স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর
ঈদ এলেই প্রতিবছর মালামাল পরিবহনে ঘাটে ঘাটে চাঁদা দাবি করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এটি আমাদের বিশ্বাস, সংসদ সদস্যরা, স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ কর্তৃপক্ষ অবশ্যই জ্ঞাত আছেন। এটি বন্ধের জন্য রাজনৈতিক সচেতনতা এবং সমাজকর্মী বাহিনীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টাই যথেষ্ট। আমরা আশা করি, ঈদ এলে অবশ্যই এসব চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য পুলিশ প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তৎপর হলে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এই চাঁদাবাজি বন্ধ করা সম্ভব। আমরা মনে করি, স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার এমনকি সচেতন শিক্ষিত সমাজ আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা করলে অবশ্যই চাঁদাবাজি বন্ধ করা সম্ভব।
ফারুক হোসেন
সাংবাদিক, রাজশাহী
রাজধানী ঢাকা শুধু নয়। সারাদেশে, বিভাগীয় শহরে, লঞ্চ টার্মিনালে চাঁদাবাজি করছে সন্ত্রাসীরা। সাধারণ মানুষ চাঁদা দিতে দিতে অতিষ্ঠ, ঈদ সামনে হওয়ায় তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। চাঁদাবাজি বন্ধ করতে বিশেষ করে মহাসড়কে, যানবাহনে চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
নাজমুল মোর্শেদ শিমুল
শিক্ষার্থী, টাঙ্গাইল
একটা প্রবাদ বাক্য আছে, বেড়ায় যদি ধান খায় তাহলে কৃষকের কী করার আছে। তেমনি পুলিশ যদি রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে, তাহলে চাঁদাবাজি রক্ষায় আইন প্রয়োগ কীভাবে হবে। আজকাল পুলিশের যোগসাজশেই চাঁদাবাজি হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
নুরুল আমিন
ব্যবসায়ী, টাঙ্গাইল
পথে পথে চাঁদাবাজি হয় রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায়। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন তাদের বাহিনী চাঁদাবাজি করে। এ জন্য রাজনৈতিক নেতাদের সচেতনতা জরুরি।
তৌহিদ
ব্যবসায়ী, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম
বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই চাঁদাবাজি হয়ে থাকে প্রশাসন নীরব থাকার কারণে। প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। তাহলে দেশে চাঁদাবাজি নির্মূল করা সম্ভব হবে আশা করছি।
মোস্তফা কামাল
সমাজসেবক, কুমিল্লা
পবিত্র ঈদ সামনে রেখে পথেঘাটে চাঁদাবাজি বেড়ে যেতে পারে। পথে পথে চাঁদাবাজির মূল হোতা হলো হাইওয়ে পুলিশ, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো। তাদের লজ্জা থাকা উচিত। তবে এসব ক্ষেত্রে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো কমবেশি দায়ী। এসব ভোগান্তির শিকার হন শেষ পর্যন্ত সাধারণ জনগণ।
শাহ আলম
শিক্ষক, সিরাজগঞ্জ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্পূর্ণ ব্যর্থ। চাঁদাবাজি বন্ধ করতে না পারায় আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই।
মনির আহমেদ
এনজিওকর্মী, বাগেরহাট
যেখানে চাঁদাবাজি অনিবার্য, প্রশাসনের সেখানে ভূমিকা নেই। সেখানে জনগণের তো কোনো বিকল্প নেই। তাদের চাঁদা দিতেই হবে। যারা ঢাকা থেকে বাড়ি যাচ্ছেন, তাদের যেন কর্তৃপক্ষ কিছু টাকা দিয়ে দেয় চাঁদাবাজদের দেওয়ার জন্য! এছাড়া আর কী-বা করার আছে!
কাজী শহীদ আহমেদ
ব্যবসায়ী, নিউমার্কেট, ফরিদপুর
পথে পথে চাঁদাবাজির জন্য তিনটি বিষয় দায়ী। প্রথমত, দলীয় যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক, তাদের দলীয় নেতাকর্মী এতে সহায়তা করে। দ্বিতীয়ত, চাঁদাবাজরা যাদের অধীনে কাজ করে, তারা অনেক বেপরোয়া। তৃতীয়ত, তাদের কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা সহায়তা করেন। যদি দ্রুত বিচারের মাধ্যমে চাঁদাবাজদের সাজার ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে এ ধরনের চাঁদাবাজি কিছুটা হলেও প্রতিহত করা সম্ভব হবে।
মো. কামরুল ইসলাম
শিক্ষক, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সাধারণ গরু ব্যবসায়ীরা কোরবানির হাটে গরু নিয়ে আসে ভালো ব্যবসার জন্য। কিন্তু রাস্তায় রাস্তায় যদি চাঁদা দিতে হয়, তাহলে তারা কীভাবে লাভ করবে? যেখানে পুলিশকে চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করার কথা, সেখানে পুলিশই চাঁদাবাজ হয়ে গেছে। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব, এসব অসৎ পুলিশ সদস্যকে যেন আইনের আওতায় এনে বিচার করা হয়।
মহসিন জমাদ্দার
শিক্ষার্থী, কাঁঠালিয়া, ঝালকাঠি
সরকার যদি পদক্ষেপ নেয়, মোড়ে মোড়ে পুলিশ টহল বসায়, তাহলে চাঁদাবাজি হবে না।
মোজাম্মেল হোসেন চৌধুরী
চাকরিজীবী, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর
বিশেষ করে জনগণের প্রতিরোধ এবং পুলিশ প্রশাসন আন্তরিক হলে চাঁদাবাজরা পালানোর পথ পাবে না।
শেখ মো. আলী
ব্যবসায়ী, তালতলা বাজার, মুন্সীগঞ্জ
ঈদের মৌসুমে চাঁদাবাজি বেশি হয়। গরুর ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই চাঁদাবাজদের টার্গেট। এদিকে পুলিশ প্রশাসনকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আগের চেয়ে এখন পথে পথে চাঁদাবাজি বেশি হচ্ছে।
গৌরাঙ্গ
অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম
সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। বেকারত্ব দূরীকরণ ছাড়া এসব বন্ধ হবে না।
আরিফ আহমেদ বাবু
শিক্ষার্থী, পিপলস ইউনিভার্সিটি, ঢাকা
চাঁদাবাজি নতুন কোনো ঘটনা নয়, তবে ঈদ এলে ব্যবসায়ীদের যেসব সালামি দিতে হয় তা কাম্য নয়। সমকালে কয়েকদিন আগে লিড স্টোরি হয়েছিল, 'চাঁদাবাজি পথে পথে' শিরোনামে। এসব বড় বড় নিউজ শুধু নিউজই রয়ে যায়, কাজের কাজ তেমন কিছু হয় না। যাকে দিয়ে সরকার মাঠ প্রশাসন সামলাবে সে প্রশাসন যদি ভক্ষক হয় তাহলে রক্ষক কে হবে? আশা করব চাঁদাবাজরা যাতে মানুষের আতঙ্কের কারণ না হয়। ঈদের গরু কিনতে সাধারণ মানুষকে যেন চাঁদা গুনতে না হয়। সেদিকে সরকারকে কঠোর দৃষ্টি রাখতে হবে।
ব্যবসায়ী, নরসিংদী
পথে পথে যে চাঁদাবাজি হচ্ছে এর দায় সরকারকেই বহন করতে হবে। ঈদ সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা যদি চাঁদাবাজির কারণে ঠিকভাবে ব্যবসা করতে না পারেন তার দায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।
সাইফুল ইসলাম চৌধুরী স্বপন
গরু ব্যবসায়ী, খিলগাঁও, ঢাকা
পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। আমাদের দেশের এমপি, মন্ত্রীরাই বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। তারাই চাঁদাবাজি করার সুযোগ দিচ্ছে বলে আমরা মনে করি।
নাজিম উদ্দিন শোভা
শিক্ষক, টাঙ্গাইল
চাঁদাবাজি অত্যন্ত ঘৃণার কাজ। প্রশাসনের যোগসাজশে চাঁদাবাজি হয়। তা না হলে এভাবে পথে পথে চাঁদাবাজি কীভাবে হতে পারে?
শুকদেব ঘোষ
শিক্ষক, মধুপুর, টাঙ্গাইল
পুলিশ দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হবে না। কারণ পুলিশ নিজেরাই ঘুষ খায়। সেনাবাহিনী দিয়ে চাঁদাবাজদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
আবদুল আউয়াল খান
ব্যবসায়ী, গোপালগঞ্জ
স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং পুলিশের যোগসাজশেই চাঁদাবাজি হচ্ছে।
কুমারেশ চন্দ্র বিশ্বাস
বাস শ্রমিক, ঝিনাইদহ টার্মিনাল
পথে পথে চাঁদাবাজি যে ব্যাপক হারে হচ্ছে তা নয়। কিছু অপপ্রচারকারী এগুলো করে থাকেন, যাতে সরকারের দোষ হয়। মন্ত্রীরা যেভাবে পদক্ষেপ নিয়েছেন তাতে চাঁদাবাজি হওয়ার কথা নয়। তবে এ দেশে যেভাবে যুবকরা মাদকের দিকে ঝুঁকছে তাতে কিছু চাঁদাবাজি হতে পারে।
সুমন সূত্রধর
ডাক্তার, সিলেট
পুলিশ প্রশাসন যদি স্বচ্ছ হয় আর হলুদ সাংবাদিকতা যদি বন্ধ হয়, তাহলে দেশে চাঁদাবাজি বন্ধ হবে।
সিরাজুল ইসলাম সাজু
গাড়িচালক, নাটোর
চাঁদাবাজি চলছেই। থানায় পুলিশের চাঁদা, পৌরসভার চাঁদা, পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নামে চাঁদা। এভাবে নানা রকম চাঁদা দিতে দিতে আমাদের অবস্থা শেষ। অথচ যোগাযোগমন্ত্রী বলেছেন, চাঁদাবাজি হবে না। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
মোহাম্মদ আলী
চাকরিজীবী, হাজারীবাগ রোড, ঢাকা
পথে পথে চাঁদাবাজি এখন ঈদের সময়কার নিত্যদিনের ঘটনা। বাসে, লঞ্চে, ট্রেনে সর্বত্র চাঁদাবাজি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজি করছে সন্ত্রাসীরা। এগুলো বন্ধ করতে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভূমিকা এখানে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসনের সতর্কতাও জরুরি।
মোসলেহ উদ্দীন আহমেদ
শিক্ষার্থী, ফেনী
চাঁদাবাজির উৎস পুলিশ। পুুলিশের চাঁদাবাজি আর পেশাদার চাঁদাবাজদের মধ্যে পার্থক্য হলো, পুলিশ প্রকাশ্যে গাড়ি থামিয়ে করে, আর অন্যরা একটু গোপনে চাঁদাবাজি করে।
মোহাম্মদ শাহেদ
ব্যবসায়ী, ফেনী
পুলিশ যদি সচেতন থাকে বাংলাদেশে চাঁদাবাজি বন্ধ হবে।
ওয়াহিদ মুরাদ
কবি, স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর
ঈদ এলেই প্রতিবছর মালামাল পরিবহনে ঘাটে ঘাটে চাঁদা দাবি করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এটি আমাদের বিশ্বাস, সংসদ সদস্যরা, স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ কর্তৃপক্ষ অবশ্যই জ্ঞাত আছেন। এটি বন্ধের জন্য রাজনৈতিক সচেতনতা এবং সমাজকর্মী বাহিনীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টাই যথেষ্ট। আমরা আশা করি, ঈদ এলে অবশ্যই এসব চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য পুলিশ প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তৎপর হলে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এই চাঁদাবাজি বন্ধ করা সম্ভব। আমরা মনে করি, স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার এমনকি সচেতন শিক্ষিত সমাজ আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা করলে অবশ্যই চাঁদাবাজি বন্ধ করা সম্ভব।
ফারুক হোসেন
সাংবাদিক, রাজশাহী
রাজধানী ঢাকা শুধু নয়। সারাদেশে, বিভাগীয় শহরে, লঞ্চ টার্মিনালে চাঁদাবাজি করছে সন্ত্রাসীরা। সাধারণ মানুষ চাঁদা দিতে দিতে অতিষ্ঠ, ঈদ সামনে হওয়ায় তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। চাঁদাবাজি বন্ধ করতে বিশেষ করে মহাসড়কে, যানবাহনে চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
নাজমুল মোর্শেদ শিমুল
শিক্ষার্থী, টাঙ্গাইল
একটা প্রবাদ বাক্য আছে, বেড়ায় যদি ধান খায় তাহলে কৃষকের কী করার আছে। তেমনি পুলিশ যদি রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে, তাহলে চাঁদাবাজি রক্ষায় আইন প্রয়োগ কীভাবে হবে। আজকাল পুলিশের যোগসাজশেই চাঁদাবাজি হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
নুরুল আমিন
ব্যবসায়ী, টাঙ্গাইল
পথে পথে চাঁদাবাজি হয় রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায়। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন তাদের বাহিনী চাঁদাবাজি করে। এ জন্য রাজনৈতিক নেতাদের সচেতনতা জরুরি।
তৌহিদ
ব্যবসায়ী, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম
বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই চাঁদাবাজি হয়ে থাকে প্রশাসন নীরব থাকার কারণে। প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। তাহলে দেশে চাঁদাবাজি নির্মূল করা সম্ভব হবে আশা করছি।
মোস্তফা কামাল
সমাজসেবক, কুমিল্লা
পবিত্র ঈদ সামনে রেখে পথেঘাটে চাঁদাবাজি বেড়ে যেতে পারে। পথে পথে চাঁদাবাজির মূল হোতা হলো হাইওয়ে পুলিশ, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো। তাদের লজ্জা থাকা উচিত। তবে এসব ক্ষেত্রে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো কমবেশি দায়ী। এসব ভোগান্তির শিকার হন শেষ পর্যন্ত সাধারণ জনগণ।
শাহ আলম
শিক্ষক, সিরাজগঞ্জ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্পূর্ণ ব্যর্থ। চাঁদাবাজি বন্ধ করতে না পারায় আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই।
মনির আহমেদ
এনজিওকর্মী, বাগেরহাট
যেখানে চাঁদাবাজি অনিবার্য, প্রশাসনের সেখানে ভূমিকা নেই। সেখানে জনগণের তো কোনো বিকল্প নেই। তাদের চাঁদা দিতেই হবে। যারা ঢাকা থেকে বাড়ি যাচ্ছেন, তাদের যেন কর্তৃপক্ষ কিছু টাকা দিয়ে দেয় চাঁদাবাজদের দেওয়ার জন্য! এছাড়া আর কী-বা করার আছে!
কাজী শহীদ আহমেদ
ব্যবসায়ী, নিউমার্কেট, ফরিদপুর
পথে পথে চাঁদাবাজির জন্য তিনটি বিষয় দায়ী। প্রথমত, দলীয় যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক, তাদের দলীয় নেতাকর্মী এতে সহায়তা করে। দ্বিতীয়ত, চাঁদাবাজরা যাদের অধীনে কাজ করে, তারা অনেক বেপরোয়া। তৃতীয়ত, তাদের কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা সহায়তা করেন। যদি দ্রুত বিচারের মাধ্যমে চাঁদাবাজদের সাজার ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে এ ধরনের চাঁদাবাজি কিছুটা হলেও প্রতিহত করা সম্ভব হবে।
মো. কামরুল ইসলাম
শিক্ষক, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সাধারণ গরু ব্যবসায়ীরা কোরবানির হাটে গরু নিয়ে আসে ভালো ব্যবসার জন্য। কিন্তু রাস্তায় রাস্তায় যদি চাঁদা দিতে হয়, তাহলে তারা কীভাবে লাভ করবে? যেখানে পুলিশকে চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করার কথা, সেখানে পুলিশই চাঁদাবাজ হয়ে গেছে। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব, এসব অসৎ পুলিশ সদস্যকে যেন আইনের আওতায় এনে বিচার করা হয়।
মহসিন জমাদ্দার
শিক্ষার্থী, কাঁঠালিয়া, ঝালকাঠি
সরকার যদি পদক্ষেপ নেয়, মোড়ে মোড়ে পুলিশ টহল বসায়, তাহলে চাঁদাবাজি হবে না।
মোজাম্মেল হোসেন চৌধুরী
চাকরিজীবী, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর
বিশেষ করে জনগণের প্রতিরোধ এবং পুলিশ প্রশাসন আন্তরিক হলে চাঁদাবাজরা পালানোর পথ পাবে না।
শেখ মো. আলী
ব্যবসায়ী, তালতলা বাজার, মুন্সীগঞ্জ
ঈদের মৌসুমে চাঁদাবাজি বেশি হয়। গরুর ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই চাঁদাবাজদের টার্গেট। এদিকে পুলিশ প্রশাসনকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আগের চেয়ে এখন পথে পথে চাঁদাবাজি বেশি হচ্ছে।
গৌরাঙ্গ
অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম
সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। বেকারত্ব দূরীকরণ ছাড়া এসব বন্ধ হবে না।
আরিফ আহমেদ বাবু
শিক্ষার্থী, পিপলস ইউনিভার্সিটি, ঢাকা
চাঁদাবাজি নতুন কোনো ঘটনা নয়, তবে ঈদ এলে ব্যবসায়ীদের যেসব সালামি দিতে হয় তা কাম্য নয়। সমকালে কয়েকদিন আগে লিড স্টোরি হয়েছিল, 'চাঁদাবাজি পথে পথে' শিরোনামে। এসব বড় বড় নিউজ শুধু নিউজই রয়ে যায়, কাজের কাজ তেমন কিছু হয় না। যাকে দিয়ে সরকার মাঠ প্রশাসন সামলাবে সে প্রশাসন যদি ভক্ষক হয় তাহলে রক্ষক কে হবে? আশা করব চাঁদাবাজরা যাতে মানুষের আতঙ্কের কারণ না হয়। ঈদের গরু কিনতে সাধারণ মানুষকে যেন চাঁদা গুনতে না হয়। সেদিকে সরকারকে কঠোর দৃষ্টি রাখতে হবে।
No comments