জাতীয় ঐক্যের ডাক
দেশের গণতন্ত্র আজ বিপন্ন। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো সংকটের সম্মুখীন। শেয়ারবাজার ধ্বংস, হলমার্ক, ডেসটিনি, বিভিন্ন ধরনের কম্পানির নামে, মাল্টিলেভেল ব্যবসার নামে জনগণের কাছ থেকে অর্থ লুটপাট করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের সাফাই সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। মামলা দিয়ে, হামলা দিয়ে কণ্ঠ রুদ্ধ করা হচ্ছে সাংবাদিকদের। গুম-খুনের ঘটনা ঘটছে। দেশের এ রকম নৈরাশ্যজনক চিত্র তুলে ধরে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রত্যাশায় জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন দেশের দুই বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেন।
ওই দুই প্রবীণ নেতা বলেছেন, 'আমরা জাতীয় মৌলিক বিষয়ে উদ্ভূত সমস্যার আশু সমাধানে দেশের ১৬ কোটি দেশপ্রেমিক জনগণ এবং রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের এক ইস্পাত কঠিন জোরদার ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।'
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে বিভিন্ন পেশার লোকজন এবং কূটনীতিকদের নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ দুই নেতা যৌথভাবে দেশবাসীর প্রতি এ আহ্বান জানান। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না অনুষ্ঠানটির সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন। দুই নেতার পক্ষে অনুষ্ঠানে যৌথ ঘোষণাপত্র পাঠ করেন তিনি। এতে দলীয়করণের অসুস্থ ধারা থেকে মুক্ত হতে দেশবাসীকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয় 'অশুভের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আসুন আজ আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাই। দেশের তরুণ ও যুবসমাজ, যারা দেশকে কিছু দিতে আগ্রহী তারা ঐক্যবদ্ধ হই।'
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং সংবিধান প্রণেতা, বিশিষ্ট আইনজীবী ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল আরো বলেন, 'আমরা বাংলাদেশের জনগণ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। স্বাধীনতার ৪০ বছর পরেও আজকে জনগণের উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে। ২০০৮ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অর্জিত হয়েছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠন হয়েছিল। তা সত্ত্বেও আজকে দেশের গণতন্ত্র বিপন্ন।'
প্রবীণ দুই রাজনীতিবিদ বলেন, 'শেয়ারবাজার ধ্বংস, হলমার্ক, ডেসটিনি, বিভিন্ন ধরনের কম্পানির নামে, মাল্টিলেভেল ব্যবসার নামে জনগণের কাছ থেকে অর্থ লুটপাট করা হয়েছে। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ও জালিয়াতির ব্যবসা করা হয়েছে। নিয়োগ-বাণিজ্যের মাধ্যমে কারা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন? রেলমন্ত্রীর এপিএস টাকাসহ ধরা পড়েছে এবং এপিএসের ড্রাইভার তৎকালীন রেলমন্ত্রীর সরাসরি নিয়োগ-বাণিজ্য ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি, পার্লামেন্ট, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব বিষয়ে নীরব। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নখদন্তহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে এবং চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের সাফাই সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।'
দুই নেতা বলেন, নিত্য ভোগ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষকে পথে বসানো হচ্ছে। সিন্ডিকেট বাণিজ্য চলছে। বিদ্যুৎব্যবস্থায় কুইক রেন্টাল ও রেন্টাল পাওয়ারের নামে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় হচ্ছে। গার্মেন্ট শ্রমিকদের আন্দোলনের ফসল ঘোষিত বেতন কাঠামোর বাস্তবায়ন এখনো করা হয়নি।
বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেন বলেন, বাংলাদেশের জন্য একটি দুর্নীতিমুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত ও বৈষম্যমুক্ত উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ করতে হবে। রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ ও পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে। দুই নেতা বলেন, সরকারের দিন বদলের প্রতিশ্রুতিতে ছিল আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। কক্সবাজারের রামু, উখিয়া, টেকনাফ এবং চট্টগ্রাম জেলার পটিয়ায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মঠ, মন্দির, বিহার ও আশ্রম এবং বসতবাড়িতে ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট প্রসঙ্গে তাঁরা বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের সঠিক এবং সময়মতো পদক্ষেপ নিতে নীরবতা এবং সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়িক কিছুসংখ্যক দুষ্কৃতকারীকে প্রতিরোধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
দুই নেতা আরো বলেন, সাংবাদিক সমাজ চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। ঘরের মধ্যে খুন হয়ে যান সাগর-রুনিসহ অসংখ্য সাংবাদিক। দেশে গুম-খুনের ঘটনা ঘটেছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে তাঁরা বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক স্তম্ভ। অতীতের সরকার যখন কোনো যোগ্যতা ছাড়াই ১৯ জন বিচারককে নিয়োগ করেছিল, তাঁদের মধ্যে একজন আইনের ডিগ্রি না নিয়েও নিয়োগ পেয়েছিলেন। এ বিষয়ে কঠোর সমালোচনার পর তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। ১০ জনকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে পুনর্বহাল করা হয়েছিল। এ রায়ে বিচার বিভাগে স্বচ্ছ লিখিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জজ নিয়োগ করার কথা থাকলেও তা না করে ৫০ জন বিচারককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে অনুষ্ঠানটির আয়োজনের পেক্ষাপট বর্ণনা করে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, 'আমাদের শক্তি হচ্ছে যুবক, ছাত্র, শ্রমিক, বঞ্চিত কৃষক সমাজ। এরাই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার হাতিয়ার।' ড. কামাল হোসেন বলেন, 'সন্ত্রাস-দুর্নীতি সর্বগ্রাসী আকার ধারণ করেছে। শিক্ষাঙ্গন সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়েছে। এ অবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন ঐক্যের রাজনীতি।'
দুই নেতার বক্তব্যের পর মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসা বলেন, '৪২ বছর ধরে আমরা শুধু প্রত্যাশাই করে গেলাম। কিন্তু আজও প্রত্যাশিত বাংলাদেশ দেখলাম না।' গণস্বাস্থ্যের প্রধান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দুই-এক কোটি টাকার জন্য অনেক ব্যবসায়ী ঋণখেলাপি হয়ে পথে বসছেন। অন্যদিকে অনেকে ব্যাংক থেকে চার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। মেজর (অব.) আবদুল মান্নান বলেন, বর্তমানে জাতীয় সংসদ অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
অনুষ্ঠানে লেখক-কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, রাজনীতিবিদ সরদার আমজাদ হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, নুরুল আলম, হুমায়ুন কবির হিরু, ফরওয়ার্ড পার্টির চেয়ারম্যান আ ন ম মোস্তফা আমিনসহ রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক, আইনজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ফ্রান্স, জাপান, নরওয়ে, সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের কুটনীতিকরাও ছিলেন অনুষ্ঠানে। সবশেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন দুই শীর্ষ নেতা।
ওই দুই প্রবীণ নেতা বলেছেন, 'আমরা জাতীয় মৌলিক বিষয়ে উদ্ভূত সমস্যার আশু সমাধানে দেশের ১৬ কোটি দেশপ্রেমিক জনগণ এবং রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের এক ইস্পাত কঠিন জোরদার ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।'
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে বিভিন্ন পেশার লোকজন এবং কূটনীতিকদের নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ দুই নেতা যৌথভাবে দেশবাসীর প্রতি এ আহ্বান জানান। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না অনুষ্ঠানটির সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন। দুই নেতার পক্ষে অনুষ্ঠানে যৌথ ঘোষণাপত্র পাঠ করেন তিনি। এতে দলীয়করণের অসুস্থ ধারা থেকে মুক্ত হতে দেশবাসীকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয় 'অশুভের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আসুন আজ আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাই। দেশের তরুণ ও যুবসমাজ, যারা দেশকে কিছু দিতে আগ্রহী তারা ঐক্যবদ্ধ হই।'
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং সংবিধান প্রণেতা, বিশিষ্ট আইনজীবী ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল আরো বলেন, 'আমরা বাংলাদেশের জনগণ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। স্বাধীনতার ৪০ বছর পরেও আজকে জনগণের উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে। ২০০৮ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অর্জিত হয়েছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠন হয়েছিল। তা সত্ত্বেও আজকে দেশের গণতন্ত্র বিপন্ন।'
প্রবীণ দুই রাজনীতিবিদ বলেন, 'শেয়ারবাজার ধ্বংস, হলমার্ক, ডেসটিনি, বিভিন্ন ধরনের কম্পানির নামে, মাল্টিলেভেল ব্যবসার নামে জনগণের কাছ থেকে অর্থ লুটপাট করা হয়েছে। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ও জালিয়াতির ব্যবসা করা হয়েছে। নিয়োগ-বাণিজ্যের মাধ্যমে কারা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন? রেলমন্ত্রীর এপিএস টাকাসহ ধরা পড়েছে এবং এপিএসের ড্রাইভার তৎকালীন রেলমন্ত্রীর সরাসরি নিয়োগ-বাণিজ্য ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি, পার্লামেন্ট, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব বিষয়ে নীরব। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নখদন্তহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে এবং চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের সাফাই সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।'
দুই নেতা বলেন, নিত্য ভোগ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষকে পথে বসানো হচ্ছে। সিন্ডিকেট বাণিজ্য চলছে। বিদ্যুৎব্যবস্থায় কুইক রেন্টাল ও রেন্টাল পাওয়ারের নামে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় হচ্ছে। গার্মেন্ট শ্রমিকদের আন্দোলনের ফসল ঘোষিত বেতন কাঠামোর বাস্তবায়ন এখনো করা হয়নি।
বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেন বলেন, বাংলাদেশের জন্য একটি দুর্নীতিমুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত ও বৈষম্যমুক্ত উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ করতে হবে। রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ ও পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে। দুই নেতা বলেন, সরকারের দিন বদলের প্রতিশ্রুতিতে ছিল আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। কক্সবাজারের রামু, উখিয়া, টেকনাফ এবং চট্টগ্রাম জেলার পটিয়ায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মঠ, মন্দির, বিহার ও আশ্রম এবং বসতবাড়িতে ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট প্রসঙ্গে তাঁরা বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের সঠিক এবং সময়মতো পদক্ষেপ নিতে নীরবতা এবং সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়িক কিছুসংখ্যক দুষ্কৃতকারীকে প্রতিরোধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
দুই নেতা আরো বলেন, সাংবাদিক সমাজ চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। ঘরের মধ্যে খুন হয়ে যান সাগর-রুনিসহ অসংখ্য সাংবাদিক। দেশে গুম-খুনের ঘটনা ঘটেছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে তাঁরা বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক স্তম্ভ। অতীতের সরকার যখন কোনো যোগ্যতা ছাড়াই ১৯ জন বিচারককে নিয়োগ করেছিল, তাঁদের মধ্যে একজন আইনের ডিগ্রি না নিয়েও নিয়োগ পেয়েছিলেন। এ বিষয়ে কঠোর সমালোচনার পর তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। ১০ জনকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে পুনর্বহাল করা হয়েছিল। এ রায়ে বিচার বিভাগে স্বচ্ছ লিখিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জজ নিয়োগ করার কথা থাকলেও তা না করে ৫০ জন বিচারককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে অনুষ্ঠানটির আয়োজনের পেক্ষাপট বর্ণনা করে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, 'আমাদের শক্তি হচ্ছে যুবক, ছাত্র, শ্রমিক, বঞ্চিত কৃষক সমাজ। এরাই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার হাতিয়ার।' ড. কামাল হোসেন বলেন, 'সন্ত্রাস-দুর্নীতি সর্বগ্রাসী আকার ধারণ করেছে। শিক্ষাঙ্গন সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়েছে। এ অবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন ঐক্যের রাজনীতি।'
দুই নেতার বক্তব্যের পর মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসা বলেন, '৪২ বছর ধরে আমরা শুধু প্রত্যাশাই করে গেলাম। কিন্তু আজও প্রত্যাশিত বাংলাদেশ দেখলাম না।' গণস্বাস্থ্যের প্রধান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দুই-এক কোটি টাকার জন্য অনেক ব্যবসায়ী ঋণখেলাপি হয়ে পথে বসছেন। অন্যদিকে অনেকে ব্যাংক থেকে চার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। মেজর (অব.) আবদুল মান্নান বলেন, বর্তমানে জাতীয় সংসদ অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
অনুষ্ঠানে লেখক-কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, রাজনীতিবিদ সরদার আমজাদ হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, নুরুল আলম, হুমায়ুন কবির হিরু, ফরওয়ার্ড পার্টির চেয়ারম্যান আ ন ম মোস্তফা আমিনসহ রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক, আইনজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ফ্রান্স, জাপান, নরওয়ে, সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের কুটনীতিকরাও ছিলেন অনুষ্ঠানে। সবশেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন দুই শীর্ষ নেতা।
No comments