ঈর্ষা নারীর আরেক নাম
এক খাপে ২টো তরোয়াল যেমন থাকতে পারে না, তেমনই দুজন মেয়ে নাকি একসঙ্গে থাকতে পারে না। প্রবাদের মতো একথা ছেয়ে আছে, মেয়েরাই নাকি মেয়েদের শত্রু। কারণ নারীজাতি বড়ই ঈর্ষাকাতর।
অফিসে বসের কাছাকাছি সহকর্মিনীর চারিত্রিক দোষ (ভাষান্তরে ঢলাঢলি) নিয়ে মহিলারাই বাজার গরম করেন আগে। পুরুষপাঠক মনে মনে মুচকি হেসে বলে উঠতেই পারেন, মুখে রঙ মেখে সঙ সাজলে কী হবে? মনে মনে হিংসায় তো সাপের মতো ফোঁসে সব কটি মেয়ে। ফেসবুকে বয়ফ্রেন্ড অন্য মেয়ের ছবিতে লাইক মারলে বা পাশের বাড়ির ভাবীর হাতের রান্নার সামান্য প্রশংসা যদি স্বামী করে ফেলে- তবে সম্পর্কের অশান্তি তো হরদম। অতিমাত্রায় হিংসুটে হওয়ার দরুন নারীজাতির এহেন হাবভাব বলে দাবি ছেলেদের।
অবশ্য বিপথে যাওয়া মেয়েরা মুখ বেঁকিয়ে বলেছেন, পুরুষ নামক আজব হ্যাংলা প্রজাতির সঙ্গে ঘর করতে করতে এহেন স্খলন বাঞ্ছনীয়। চিরকাল মেয়েদের অধিকার নিজেদের বশে করে রাখার পরবর্তী বঞ্চিত নারীকুল যখনই সামান্য কিছু পেয়েছে, তাকে আগলে রেখেছে। এইটুকু পাওয়া, কাউকে ভাগ না দিতে চাওয়ার নাম ঈর্ষা হলে তাই! আর যারা সেটুকু পান না, তাদের মনের না পাওয়ার ক্ষোভকে ঈর্ষা বলে দুয়ো দিতে চাইলে সে নিন্দেতে তাচ্ছিল্যের ‘হুহ’ ছাড়া আর কিছুই দিতে চান না তারা। কিন্তু ভোটের শতকরা হিসাব অনুযায়ী পুরুষ এবং কিছু ক্ষেত্রে মেয়েরাও স্বীকার করে নিচ্ছে যে, ঈর্ষাকাতরতার প্রবণতা বিপথে যাওয়া মেয়েদের মধ্যেই বেশি।
বধূনির্যাতনের যাবতীয় কেসে শাশুড়ি-ননদ বা শ্বশুরবাড়ির মহিলাদের প্রতি আঙুল উঠে থাকে। নিজের ব্যক্তিগত জীবনের না পাওয়ার হিংসা থেকে ছেলের বউকে কোনঠাসা করার মানসিকতা থাকে শাশুড়িদের, জানাচ্ছেন মনোবিদরা।
আবার একটু সাধারণ জ্ঞানে বিচারের প্রসঙ্গ তুলে পুরুষদের হয়ে একজন গায়ক জানাচ্ছেন, “মেয়েদের মধ্যে একটা ইনবর্ন কুচুটেপনা থাকে। কিছুতেই কারও ভালো দেখতে পারে না। চিরকাল ছেলেরা এই করেছে- ওই করেছে বলে চেঁচাচ্ছে। আরে বাবা, তোদের কিছু করতে কে বারণ করেছে? সে ক্ষমতা নেই। খালি পাশের লোক কত উন্নতি করল, কাকে বেশি সুন্দর দেখাল তাই নিয়ে জ্বলে-পুড়ে মরল। আসলে ওরা নিজেকে নিয়ে ভালো থাকতে জানে না। যার যা নেই, তাই নিয়ে অন্যকে হিংসা না করে একটু নিজের যেটুকু আছে, তা নিয়ে সুখী থাকাটা সেন্সিবল লোকের কাজ। মেয়েদের থেকে সেইটুকু সেন্সও তো আশা করা যায় না।”
এরপর আমরা কথা বলছিলাম সমাজবিজ্ঞানের ছাত্রী বিদিশার সঙ্গে। ও বলছে, ‘মেয়েদের ঈর্ষাকাতরতার বিষয়টা কিন্তু খুব একটা ভুল কিছু না। মানে দেখবেন দুই ভাই বা ভাই বোন ভালো বন্ধু হয়। কিন্তু দুই বোনের মধ্যে রেষারেষি লেগেই থাকে।”
তবে আরেক মেয়ের মতামত, “ঠিকই তো। সারাজীবন আমাদের অধিকার ওরা কেড়ে নিয়েছে। তাই মেয়েরা সমাজের চাপে নিজেদের এমন একটা গন্ডির মধ্যে বেঁধে ফেলেছে। বেসিক্যালি এটাকে ঈর্ষা না, আঁকড়ে ধরা বলব। আর কুচুটেমির কথা বলতে গেলে বলব, তাতে ছেলেরা কিছু কম যায় না। পাশের বাড়িতে সুন্দর বউ এলে, এই ছেলেই কিন্তু পাড়া বয়ে তার নিন্দে করতে বেরোয়। ঈর্ষা এক ধরণের স্টেট অফ মাইন্ড। এখানে ছেলে-মেয়ে ভাগ করাটা বোকাবোকা।”
কিন্তু কেন এমনটা হয়? মেয়েদের ঈর্ষাকাতরতার কথা স্বীকার করেও মহিলাদের নিয়ে একটি স্বেচ্ছ্বাসেবী সংস্থায় কর্মরতা জানাচ্ছেন, “আসলে আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মেয়েরা তো বরাবরই ডমিনেটেড। তাই কোথাও ভালোবাসা বা সঠিক বন্ধুত্বের খোঁজ পেলে সেটা যত্ন সহকারে আগলে রাখতে চায়। কিন্তু এই মেয়েটিই আবার বিন্দুমাত্র আঘাতের বা চাহিদা পূরণের দিকে বাধা পেলে হিংস্র হয়ে ওঠে। একে মহিলা সম্প্রদায়ের দোষ না বলে আমাদের সমাজের মহিলা বিদ্বেষের কু-প্রভাব বলা উচিত। যে মহিলাদের দিকে এমন আঙুল তোলা হচ্ছে, তাদেরই সহনশীলতার গুণে এ সংসার চলে তা মনে রাখবেন।”
ফলে পুরুষপাঠক মুখ টিপে হাসির আগে একবার নিজের আর কর্ত্রীর কথাটা মাথায় আনুন; তা বাদে লেখার নিচে মতামত জানানোর স্বাধীনতাটা তো রয়েইছে!
অবশ্য বিপথে যাওয়া মেয়েরা মুখ বেঁকিয়ে বলেছেন, পুরুষ নামক আজব হ্যাংলা প্রজাতির সঙ্গে ঘর করতে করতে এহেন স্খলন বাঞ্ছনীয়। চিরকাল মেয়েদের অধিকার নিজেদের বশে করে রাখার পরবর্তী বঞ্চিত নারীকুল যখনই সামান্য কিছু পেয়েছে, তাকে আগলে রেখেছে। এইটুকু পাওয়া, কাউকে ভাগ না দিতে চাওয়ার নাম ঈর্ষা হলে তাই! আর যারা সেটুকু পান না, তাদের মনের না পাওয়ার ক্ষোভকে ঈর্ষা বলে দুয়ো দিতে চাইলে সে নিন্দেতে তাচ্ছিল্যের ‘হুহ’ ছাড়া আর কিছুই দিতে চান না তারা। কিন্তু ভোটের শতকরা হিসাব অনুযায়ী পুরুষ এবং কিছু ক্ষেত্রে মেয়েরাও স্বীকার করে নিচ্ছে যে, ঈর্ষাকাতরতার প্রবণতা বিপথে যাওয়া মেয়েদের মধ্যেই বেশি।
বধূনির্যাতনের যাবতীয় কেসে শাশুড়ি-ননদ বা শ্বশুরবাড়ির মহিলাদের প্রতি আঙুল উঠে থাকে। নিজের ব্যক্তিগত জীবনের না পাওয়ার হিংসা থেকে ছেলের বউকে কোনঠাসা করার মানসিকতা থাকে শাশুড়িদের, জানাচ্ছেন মনোবিদরা।
আবার একটু সাধারণ জ্ঞানে বিচারের প্রসঙ্গ তুলে পুরুষদের হয়ে একজন গায়ক জানাচ্ছেন, “মেয়েদের মধ্যে একটা ইনবর্ন কুচুটেপনা থাকে। কিছুতেই কারও ভালো দেখতে পারে না। চিরকাল ছেলেরা এই করেছে- ওই করেছে বলে চেঁচাচ্ছে। আরে বাবা, তোদের কিছু করতে কে বারণ করেছে? সে ক্ষমতা নেই। খালি পাশের লোক কত উন্নতি করল, কাকে বেশি সুন্দর দেখাল তাই নিয়ে জ্বলে-পুড়ে মরল। আসলে ওরা নিজেকে নিয়ে ভালো থাকতে জানে না। যার যা নেই, তাই নিয়ে অন্যকে হিংসা না করে একটু নিজের যেটুকু আছে, তা নিয়ে সুখী থাকাটা সেন্সিবল লোকের কাজ। মেয়েদের থেকে সেইটুকু সেন্সও তো আশা করা যায় না।”
এরপর আমরা কথা বলছিলাম সমাজবিজ্ঞানের ছাত্রী বিদিশার সঙ্গে। ও বলছে, ‘মেয়েদের ঈর্ষাকাতরতার বিষয়টা কিন্তু খুব একটা ভুল কিছু না। মানে দেখবেন দুই ভাই বা ভাই বোন ভালো বন্ধু হয়। কিন্তু দুই বোনের মধ্যে রেষারেষি লেগেই থাকে।”
তবে আরেক মেয়ের মতামত, “ঠিকই তো। সারাজীবন আমাদের অধিকার ওরা কেড়ে নিয়েছে। তাই মেয়েরা সমাজের চাপে নিজেদের এমন একটা গন্ডির মধ্যে বেঁধে ফেলেছে। বেসিক্যালি এটাকে ঈর্ষা না, আঁকড়ে ধরা বলব। আর কুচুটেমির কথা বলতে গেলে বলব, তাতে ছেলেরা কিছু কম যায় না। পাশের বাড়িতে সুন্দর বউ এলে, এই ছেলেই কিন্তু পাড়া বয়ে তার নিন্দে করতে বেরোয়। ঈর্ষা এক ধরণের স্টেট অফ মাইন্ড। এখানে ছেলে-মেয়ে ভাগ করাটা বোকাবোকা।”
কিন্তু কেন এমনটা হয়? মেয়েদের ঈর্ষাকাতরতার কথা স্বীকার করেও মহিলাদের নিয়ে একটি স্বেচ্ছ্বাসেবী সংস্থায় কর্মরতা জানাচ্ছেন, “আসলে আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মেয়েরা তো বরাবরই ডমিনেটেড। তাই কোথাও ভালোবাসা বা সঠিক বন্ধুত্বের খোঁজ পেলে সেটা যত্ন সহকারে আগলে রাখতে চায়। কিন্তু এই মেয়েটিই আবার বিন্দুমাত্র আঘাতের বা চাহিদা পূরণের দিকে বাধা পেলে হিংস্র হয়ে ওঠে। একে মহিলা সম্প্রদায়ের দোষ না বলে আমাদের সমাজের মহিলা বিদ্বেষের কু-প্রভাব বলা উচিত। যে মহিলাদের দিকে এমন আঙুল তোলা হচ্ছে, তাদেরই সহনশীলতার গুণে এ সংসার চলে তা মনে রাখবেন।”
ফলে পুরুষপাঠক মুখ টিপে হাসির আগে একবার নিজের আর কর্ত্রীর কথাটা মাথায় আনুন; তা বাদে লেখার নিচে মতামত জানানোর স্বাধীনতাটা তো রয়েইছে!
No comments