জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ যদি বাংলাদেশে আশ্রয় চাইতেন by আশিকুর রহমান
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে অবস্থিত ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছেন। আর তাতেই অনেকটা তোলপাড় বিশ্ব। কিন্তু অ্যাসাঞ্জ যদি বাংলাদেশে আশ্রয় চাইতেন, কী হতো আমাদের দেশের অবস্থা; কে, কীভাবে ব্যাপারটা দেখত।
আসুন, দেখে নিই কিছু নমুনা
সরকারি দল
শক্তিশালী দেশগুলোর চাপের কারণে প্রথমেই জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে আশ্রয় দিতে অপারগতা জানাত সরকার। যুক্তি হিসেবে দেখানো হতো, ১৬ কোটি মানুষের এই ছোট দেশে অ্যাসাঞ্জকে জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়। সেই সঙ্গে বিবৃতি আসত, ‘জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের আশ্রয় চাওয়া সম্পূর্ণ পরিকল্পনামাফিক। কিছু মানুষ এই দেশকে অস্থিতিশীল অবস্থায় দেখতে চায়, এটা তাদের চক্রান্তের অংশ। আমাদের সেই অবস্থা আসেনি যে যাকে-তাকে আশ্রয় দেব।’
বিরোধী দল
যেকোনো অবস্থায় তারা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে আশ্রয় দিতে বদ্ধপরিকর। সে জন্য আগামী ঈদের পর লাগাতার কর্মসূচিসহ দেশবাসীকে কঠোর অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হতো। বিরোধী দলের ঘোষণা আসত, ‘ফ্যাসিবাদী সরকার নিজের গোমর ফাঁসের ভয়ে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে আশ্রয় দিতে চাইছে না। যে সরকার সামান্য অ্যাসাঞ্জকে আশ্রয় দিতে পারে না, তারা কীভাবে এ দেশের মানুষকে ভালো রাখবে?’ সেই সঙ্গে উইকিলিকসকে অনুরোধ করা হতো এই সরকারের অপকর্মের মুখোশ উন্মোচনের জন্য!
সুশীল সমাজ
সুশীল সমাজের মধ্যে শুরু হয়ে যেত তোলপাড়। সবার মধ্যে জেগে উঠত মানবতা। টিভি চ্যানেলের টক শোগুলোতে তারা তুলে ধরত জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের কর্মজীবন। সংবাদপত্রগুলোর কলামে তারা তুলে ধরত গণতন্ত্র রক্ষা ও শোষণমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে অ্যাসাঞ্জকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানাত তারা।
বাংলাদেশি ফেসবুক ইউজার
অ্যাসাঞ্জ বাংলাদেশে আশ্রয় চেয়েছেন শুনেই ঝড় উঠে যেত ফেসবুকে। শুরু হতো পোস্ট দেওয়া, পেজ ও গ্রুপ তৈরি এবং ইভেন্ট বানানোর অদ্ভুত প্রতিযোগিতা। অনেকের প্রোফাইলে নিজের ছবির বদলে থাকত জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ছবি। আর সবচেয়ে কমন যে পোস্টটা ফেসবুকে দেখা যেত তা হলো, ‘আপনি কি জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিতে চান? হ্যাঁ হলে পোস্টে লাইক, না হলে কমেন্ট।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
অ্যাসাঞ্জের আশ্রয় চাওয়ার খবরে সবচেয়ে বেশি খুশি হতো বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সাধারণত আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাইরের দেশের কাউকে ধরতে পারে না। অ্যাসাঞ্জ আসামাত্রই তাঁকে ক্যাঁক করে ধরে সুইডেন না হয় যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা হয়ে যেত বিখ্যাত। আর ক্রসফায়ারে ফেলতে পারলে তো কথাই নেই, দু-তিনটা পুরস্কার জুটে যেতে পারত তাদের কপালে।
সাধারণ জনগন
প্রথম দিকে খবরটা শুনে অনেকেই থাকত নির্বিকার। যেন কিছুই হয়নি। কিন্তু কিছুদিন পর হুজুগে একেকজন হয়ে যেতেন অ্যাসাঞ্জ বিশেষজ্ঞ। চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ কাজের টেবিলেও সবার মুখে থাকত অ্যাসাঞ্জের আশ্রয় চাওয়া। তাঁকে আশ্রয় দেওয়া উচিত নাকি উচিত নয়—যুক্তিতর্কে একেকজন খরচ করতেন নিজের সবটুকু মেধা। উৎসাহী দু-একজন পাবলিক তো ‘জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে কেন আশ্রয় দেওয়া হবে না’ মর্মে রুল জারির আবেদন জানাতেন।
সরকারি দল
শক্তিশালী দেশগুলোর চাপের কারণে প্রথমেই জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে আশ্রয় দিতে অপারগতা জানাত সরকার। যুক্তি হিসেবে দেখানো হতো, ১৬ কোটি মানুষের এই ছোট দেশে অ্যাসাঞ্জকে জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়। সেই সঙ্গে বিবৃতি আসত, ‘জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের আশ্রয় চাওয়া সম্পূর্ণ পরিকল্পনামাফিক। কিছু মানুষ এই দেশকে অস্থিতিশীল অবস্থায় দেখতে চায়, এটা তাদের চক্রান্তের অংশ। আমাদের সেই অবস্থা আসেনি যে যাকে-তাকে আশ্রয় দেব।’
বিরোধী দল
যেকোনো অবস্থায় তারা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে আশ্রয় দিতে বদ্ধপরিকর। সে জন্য আগামী ঈদের পর লাগাতার কর্মসূচিসহ দেশবাসীকে কঠোর অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হতো। বিরোধী দলের ঘোষণা আসত, ‘ফ্যাসিবাদী সরকার নিজের গোমর ফাঁসের ভয়ে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে আশ্রয় দিতে চাইছে না। যে সরকার সামান্য অ্যাসাঞ্জকে আশ্রয় দিতে পারে না, তারা কীভাবে এ দেশের মানুষকে ভালো রাখবে?’ সেই সঙ্গে উইকিলিকসকে অনুরোধ করা হতো এই সরকারের অপকর্মের মুখোশ উন্মোচনের জন্য!
সুশীল সমাজ
সুশীল সমাজের মধ্যে শুরু হয়ে যেত তোলপাড়। সবার মধ্যে জেগে উঠত মানবতা। টিভি চ্যানেলের টক শোগুলোতে তারা তুলে ধরত জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের কর্মজীবন। সংবাদপত্রগুলোর কলামে তারা তুলে ধরত গণতন্ত্র রক্ষা ও শোষণমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে অ্যাসাঞ্জকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানাত তারা।
বাংলাদেশি ফেসবুক ইউজার
অ্যাসাঞ্জ বাংলাদেশে আশ্রয় চেয়েছেন শুনেই ঝড় উঠে যেত ফেসবুকে। শুরু হতো পোস্ট দেওয়া, পেজ ও গ্রুপ তৈরি এবং ইভেন্ট বানানোর অদ্ভুত প্রতিযোগিতা। অনেকের প্রোফাইলে নিজের ছবির বদলে থাকত জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ছবি। আর সবচেয়ে কমন যে পোস্টটা ফেসবুকে দেখা যেত তা হলো, ‘আপনি কি জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিতে চান? হ্যাঁ হলে পোস্টে লাইক, না হলে কমেন্ট।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
অ্যাসাঞ্জের আশ্রয় চাওয়ার খবরে সবচেয়ে বেশি খুশি হতো বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সাধারণত আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাইরের দেশের কাউকে ধরতে পারে না। অ্যাসাঞ্জ আসামাত্রই তাঁকে ক্যাঁক করে ধরে সুইডেন না হয় যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা হয়ে যেত বিখ্যাত। আর ক্রসফায়ারে ফেলতে পারলে তো কথাই নেই, দু-তিনটা পুরস্কার জুটে যেতে পারত তাদের কপালে।
সাধারণ জনগন
প্রথম দিকে খবরটা শুনে অনেকেই থাকত নির্বিকার। যেন কিছুই হয়নি। কিন্তু কিছুদিন পর হুজুগে একেকজন হয়ে যেতেন অ্যাসাঞ্জ বিশেষজ্ঞ। চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ কাজের টেবিলেও সবার মুখে থাকত অ্যাসাঞ্জের আশ্রয় চাওয়া। তাঁকে আশ্রয় দেওয়া উচিত নাকি উচিত নয়—যুক্তিতর্কে একেকজন খরচ করতেন নিজের সবটুকু মেধা। উৎসাহী দু-একজন পাবলিক তো ‘জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে কেন আশ্রয় দেওয়া হবে না’ মর্মে রুল জারির আবেদন জানাতেন।
No comments