বুয়েট নিয়ে শঙ্কা-দ্রুত শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হোক
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েট পরিস্থিতি চরম উদ্বেগজনক অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা এখন প্রকাশ্যে আন্দোলনের কোনো কর্মসূচি না দিলেও শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন না। এ অবস্থায় আন্দোলন চলে এসেছে শিক্ষার্থীদের হাতে।
এদিকে ছাত্রলীগ নামধারী একটি অংশ উপাচার্যের পক্ষ নিয়েছে এবং তারা আন্দোলনের বিরোধিতা করছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে চলে আসছে এই আন্দোলন। প্রায় পাঁচ মাস ধরে বলতে গেলে একরকম বন্ধই রয়েছে ক্লাস-পরীক্ষাসহ বুয়েটের সব শিক্ষা কার্যক্রম। এ কারণে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অভিভাবকরা রীতিমতো শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস, শিক্ষামন্ত্রীর উদ্যোগ- কোনো কিছুই এ পর্যন্ত পরিস্থিতির বাস্তব কোনো উন্নতি ঘটাতে পারেনি। এ অবস্থায় নতুন করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পুরোভাগে চলে আসাটা সেই শঙ্কাকেই আরেক ধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। সহসা এই সংকটের কোনো সমাধান হবে কি? প্রাচ্যের অঙ্ফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে বিশ্বের পাঁচ শতাধিক সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিচে চলে গেছে। বাকি ছিল বুয়েট। বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটও কি তার ঐতিহ্য বিসর্জন দেবে?
পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, বুয়েট শিক্ষক সমিতি বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে ভূতাপেক্ষা নিয়োগ ও পরীক্ষার ফল পরিবর্তনসহ বেশ কিছু অভিযোগ উত্থাপন করেছে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সমিতি বর্তমান উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে আসছে। একই সঙ্গে আরো কিছু দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। তার মধ্যে শিক্ষকদের চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বছর করার দাবিও রয়েছে। এসব অভিযোগ ও দাবিদাওয়া নিয়ে শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠক হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ের পক্ষে যেসব দাবি পূরণ করা সম্ভব, তার সবই করা হয়েছে। ইতিমধ্যে শিক্ষকদের চাকরির বয়সসীমাও ৬৫ বছর পর্যন্ত করা হয়েছে। তাঁদের মূল অভিযোগ এবং কিছু দাবিদাওয়ার সমাধান একান্তভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব এখতিয়ার। আর সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে শিক্ষক সমিতির নেতাদের খোলামেলা আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। দুঃখজনক হলেও সত্য, তার পরিচয় এ পর্যন্ত আমরা দেখতে পাচ্ছি না। উভয়পক্ষ তাদের নিজ নিজ অবস্থানে অটল। উপাচার্য পদত্যাগ করবেন না। আর উপাচার্যের পদত্যাগ ছাড়া শিক্ষকরাও কাজে যোগ দেবেন না। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও অচলাবস্থা দেখা দিচ্ছে। আর এই পরিস্থিতির প্রধান শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এখন তাঁদের হাতে আন্দোলন তুলে দেওয়া কিংবা তাঁদের আন্দোলনের পুরোভাগে চলে আসাটা আরো বেশি ক্ষতিকর হবে। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
বুয়েটের শিক্ষকদের যেমন এই আন্দোলনে নামার পেছনে যুক্তি আছে, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও কিছু যুক্তি তুলে ধরেছে- আমরা কোনোটাকেই অবজ্ঞা করছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট শিক্ষকদের অভিযোগের ব্যাপারে বিচারবিভাগীয় তদন্তের যে সুপারিশ করেছিল, সেটি করা হলেই সম্ভবত সবচেয়ে ভালো হতো। কারণ, একজন উপাচার্যের মিথ্যা অপবাদ নিয়ে বিদায় হওয়াটা কোনো ভালো ঐতিহ্য তৈরি করবে না। বিচারবিভাগীয় তদন্তেই সেটির সত্যাসত্য জানা যেত। তা সত্ত্বেও আমরা চাই, অতি দ্রুত বুয়েটের অচলাবস্থার নিরসন হোক। আর যাতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না হয়, সে জন্য আমরা উভয় পক্ষের কাছ থেকেই যৌক্তিক ও সহনশীল আচরণ প্রত্যাশা করছি। সেই সঙ্গে আমরা বুয়েটে শিক্ষার পরিবেশ ও ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে চ্যান্সেলরের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, বুয়েট শিক্ষক সমিতি বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে ভূতাপেক্ষা নিয়োগ ও পরীক্ষার ফল পরিবর্তনসহ বেশ কিছু অভিযোগ উত্থাপন করেছে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সমিতি বর্তমান উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে আসছে। একই সঙ্গে আরো কিছু দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। তার মধ্যে শিক্ষকদের চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বছর করার দাবিও রয়েছে। এসব অভিযোগ ও দাবিদাওয়া নিয়ে শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠক হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ের পক্ষে যেসব দাবি পূরণ করা সম্ভব, তার সবই করা হয়েছে। ইতিমধ্যে শিক্ষকদের চাকরির বয়সসীমাও ৬৫ বছর পর্যন্ত করা হয়েছে। তাঁদের মূল অভিযোগ এবং কিছু দাবিদাওয়ার সমাধান একান্তভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব এখতিয়ার। আর সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে শিক্ষক সমিতির নেতাদের খোলামেলা আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। দুঃখজনক হলেও সত্য, তার পরিচয় এ পর্যন্ত আমরা দেখতে পাচ্ছি না। উভয়পক্ষ তাদের নিজ নিজ অবস্থানে অটল। উপাচার্য পদত্যাগ করবেন না। আর উপাচার্যের পদত্যাগ ছাড়া শিক্ষকরাও কাজে যোগ দেবেন না। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও অচলাবস্থা দেখা দিচ্ছে। আর এই পরিস্থিতির প্রধান শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এখন তাঁদের হাতে আন্দোলন তুলে দেওয়া কিংবা তাঁদের আন্দোলনের পুরোভাগে চলে আসাটা আরো বেশি ক্ষতিকর হবে। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
বুয়েটের শিক্ষকদের যেমন এই আন্দোলনে নামার পেছনে যুক্তি আছে, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও কিছু যুক্তি তুলে ধরেছে- আমরা কোনোটাকেই অবজ্ঞা করছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট শিক্ষকদের অভিযোগের ব্যাপারে বিচারবিভাগীয় তদন্তের যে সুপারিশ করেছিল, সেটি করা হলেই সম্ভবত সবচেয়ে ভালো হতো। কারণ, একজন উপাচার্যের মিথ্যা অপবাদ নিয়ে বিদায় হওয়াটা কোনো ভালো ঐতিহ্য তৈরি করবে না। বিচারবিভাগীয় তদন্তেই সেটির সত্যাসত্য জানা যেত। তা সত্ত্বেও আমরা চাই, অতি দ্রুত বুয়েটের অচলাবস্থার নিরসন হোক। আর যাতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না হয়, সে জন্য আমরা উভয় পক্ষের কাছ থেকেই যৌক্তিক ও সহনশীল আচরণ প্রত্যাশা করছি। সেই সঙ্গে আমরা বুয়েটে শিক্ষার পরিবেশ ও ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে চ্যান্সেলরের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
No comments