এখনও যেন মধ্যযুগ
আজ বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে ‘সিডও দিবস’ পালিত হচ্ছে। ১৯৮১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নারী-পুরুষ বৈষম্য অবসানের লক্ষ্যে জাতিসংঘের উদ্যোগে বিশ্বের ১৬০টি দেশ সিডও কনভেনশনে স্বাক্ষর করে। সিডও কনভেনশনের লক্ষ্য নারীর প্রতি অন্যায়, অত্যাচার ও বৈষম্যের অবসান ঘটানো এবং সর্বস্তরে নারীর
সমানাধিকার নিশ্চিত করা। বাংলাদেশ সিডও কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী অন্যতম রাষ্ট্র্। কিন্তু এখনও বাংলাদেশ নারী-পুরুষের বৈষম্যের অবসান হয়নি। এখনও বেশিরভাগ নারী সুবিধাবঞ্চিত, লাঞ্ছিত। নারীর প্রতি এই অত্যাচার ও বৈষম্য এখানে মধ্যযুগের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়; মনে হয় সেই অন্ধকার বাংলাদেশ থেকে এখনও দূর হয়নি। যদিও সমাজে নারীর উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী নারী। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও রয়েছেন নারী। এছাড়া নারীরা সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে ও সংস্থায় উচ্চপদে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। নারীদের একটি শ্রেণী সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ নারী আজও নানা কারণে বঞ্চনার শিকার। এই বিপুলসংখ্যক নারীকে অন্ধকারে রেখে কখনই নারী উন্নয়ন ও সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি কতটা যৌক্তিক। বাংলাদেশে এখনও প্রতিদিন যেভাবে নারী নির্যাতিত হচ্ছে তা নারী সমাজের এক করুণ অবস্থার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। কোন কোন ক্ষেত্রে সামান্য কারণেই নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছে। সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরখানে পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে এক পাষ- স্বামী। কোন কোন ক্ষেত্রে যৌতুকের জন্য নির্যাতন এমনকি খুন হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে।
এখনও অনেক নারীর লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। অনেক সময় স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার যেন নেই। সম্প্রতি কলেজে যাওয়ার অপরাধে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় স্ত্রীর পা ও কোমর হাতুড়ি দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে এক স্বামী। এ ধরনের ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে একের পর এক। জাতিসংঘের উদ্যোগে সিডও চুক্তি স্বাক্ষরের এ দিনেও যে এই ঘটনা ঘটবে না তার নিশ্চয়তা নেই।
সময় এসেছে, সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের অবস্থার উন্নয়নে সম্ভাব্য সবকিছু করা। সর্বস্তরের নারীদের সম্মান ও অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা জরুরী। দেশে এখনও একশ্রেণীর মানুষ নারী উন্নয়নের পক্ষে প্রতিবন্ধক। এদের সঙ্গে এক শ্রেণীর ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের ঘনিষ্ঠ সংযোগ রয়েছে। নারীর প্রতি বৈষম্যের অবসানে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে হবে। নারীর উন্নয়ন ও বাংলাদেশের উন্নয়ন অনেকটাই সমার্থক। সামাজিক বাস্তবতার আলোকে যাবতীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। সর্বক্ষেত্রে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য।
এখনও অনেক নারীর লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। অনেক সময় স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার যেন নেই। সম্প্রতি কলেজে যাওয়ার অপরাধে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় স্ত্রীর পা ও কোমর হাতুড়ি দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে এক স্বামী। এ ধরনের ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে একের পর এক। জাতিসংঘের উদ্যোগে সিডও চুক্তি স্বাক্ষরের এ দিনেও যে এই ঘটনা ঘটবে না তার নিশ্চয়তা নেই।
সময় এসেছে, সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের অবস্থার উন্নয়নে সম্ভাব্য সবকিছু করা। সর্বস্তরের নারীদের সম্মান ও অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা জরুরী। দেশে এখনও একশ্রেণীর মানুষ নারী উন্নয়নের পক্ষে প্রতিবন্ধক। এদের সঙ্গে এক শ্রেণীর ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের ঘনিষ্ঠ সংযোগ রয়েছে। নারীর প্রতি বৈষম্যের অবসানে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে হবে। নারীর উন্নয়ন ও বাংলাদেশের উন্নয়ন অনেকটাই সমার্থক। সামাজিক বাস্তবতার আলোকে যাবতীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। সর্বক্ষেত্রে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য।
No comments