হলমার্ক এমডিকে দুদকের জেরা-'ঋণের ২০ গুণ সম্পদ আছে, শোধ করে দেব'
সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখা থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় অভিযুক্ত হলমার্ক গ্রুপের এমডি ও চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।ওই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে বলে জানিয়েছেন দুদক কমিশনার বদিউজ্জামান।
সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর হলমার্কে যাতায়াত ছিল বলে স্বীকার করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদ। গতকাল রবিবার বিকেলে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা দুইবার হলমার্কের কারখানা পরিদর্শনে গিয়েছেন। একবার গিয়েছেন হলমার্কের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার হলমার্কে যাওয়া অন্যায় নয় মন্তব্য করে তানভীর মাহমুদ বলেন, 'উনি (সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী) কোনো প্রতিষ্ঠানে যেতেই পারেন। এতে তো দোষের কিছু নেই।'
হলমার্ক এমডি বলেন, 'সোনালী ব্যাংক থেকে দুই হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণ নিলেও এর বিশ গুণ সম্পদ বর্তমানে আমার আছে। এ টাকা আমি সময়মতো দিয়ে দেব। সরকার আমার ৭০-৮০টি প্রতিষ্ঠান খুলে দিলেই আমার ব্যবসায় স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে।'
তানভীর বলেন, 'ব্যাংকের নিয়ম মেনেই আমি ঋণ নিয়েছি। সব টাকা আমি পাই-টু-পাই দিয়ে দেব।' তাঁর দাবি, ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো জালিয়াতি তিনি করেননি।
হলমার্ক এমডি বলেন, '২৪ মে থেকে আমার প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় বন্ধ। ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বেতন দিতে পারছি না।' আগামীকাল মঙ্গলবার তিনি সংবাদ সম্মেলন করে হলমার্ক-সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলে জানান।
দুদকের ডাকে সাড়া দিয়ে সেখানে হাজির হন হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদ এবং গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম (তানভীরের স্ত্রী)। গতকাল দুপুর সোয়া ২টার দিকে নাম্বারবিহীন একটি পাজেরো গাড়িতে করে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন তাঁরা। গ্রুপের জিএম তুষার আহমেদ তাঁদের সঙ্গে ছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদক কার্যালয় থেকে বেরিয়ে তানভীর দম্পতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তাঁর পাজেরো গাড়ির নাম্বার না থাকার বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, 'নতুন গাড়ি, তাই নাম্বার নাই।'
দুদক সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে তানভীর দম্পতি নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। তবে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখা থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতির নথি দুদক পেয়েছে।
এ ছাড়া গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হলমার্কের অর্থ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত অন্য প্রতিষ্ঠান ডিএন স্পোর্টর্সের চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাহমিদা আক্তার চৌধুরী শিখা ও পরিচালক শফিকুর রহমান জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
হলমার্ক কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন এ পর্যন্ত সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ ৩২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলবে। চলতি মাসেই প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে ডাকা হতে পারে বলে সূত্র জানায়।
হলমার্ক এমডি বলেন, 'সোনালী ব্যাংক থেকে দুই হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণ নিলেও এর বিশ গুণ সম্পদ বর্তমানে আমার আছে। এ টাকা আমি সময়মতো দিয়ে দেব। সরকার আমার ৭০-৮০টি প্রতিষ্ঠান খুলে দিলেই আমার ব্যবসায় স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে।'
তানভীর বলেন, 'ব্যাংকের নিয়ম মেনেই আমি ঋণ নিয়েছি। সব টাকা আমি পাই-টু-পাই দিয়ে দেব।' তাঁর দাবি, ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো জালিয়াতি তিনি করেননি।
হলমার্ক এমডি বলেন, '২৪ মে থেকে আমার প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় বন্ধ। ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বেতন দিতে পারছি না।' আগামীকাল মঙ্গলবার তিনি সংবাদ সম্মেলন করে হলমার্ক-সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলে জানান।
দুদকের ডাকে সাড়া দিয়ে সেখানে হাজির হন হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদ এবং গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম (তানভীরের স্ত্রী)। গতকাল দুপুর সোয়া ২টার দিকে নাম্বারবিহীন একটি পাজেরো গাড়িতে করে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন তাঁরা। গ্রুপের জিএম তুষার আহমেদ তাঁদের সঙ্গে ছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদক কার্যালয় থেকে বেরিয়ে তানভীর দম্পতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তাঁর পাজেরো গাড়ির নাম্বার না থাকার বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, 'নতুন গাড়ি, তাই নাম্বার নাই।'
দুদক সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে তানভীর দম্পতি নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। তবে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখা থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতির নথি দুদক পেয়েছে।
এ ছাড়া গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হলমার্কের অর্থ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত অন্য প্রতিষ্ঠান ডিএন স্পোর্টর্সের চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাহমিদা আক্তার চৌধুরী শিখা ও পরিচালক শফিকুর রহমান জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
হলমার্ক কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন এ পর্যন্ত সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ ৩২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলবে। চলতি মাসেই প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে ডাকা হতে পারে বলে সূত্র জানায়।
No comments