মেডিক্যালে এবারের জন্য ভর্তি পরীক্ষা থাকছে
এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে ভর্তীচ্ছু ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের মুখে নিজের অবস্থান থেকে সরে আসছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক। গতকাল রবিবার মন্ত্রণালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, এই বছর আগের পদ্ধতিতেই মেডিক্যালে ভর্তি চলবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, 'মেডিক্যালে ভর্তির বিষয়ে উচ্চ আদালতে যে রিট করা হয়েছে তা প্রত্যাহার করে নিলে প্রচলিত পদ্ধতিতে পরীক্ষার মাধ্যমেই এ বছর মেডিক্যালে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তবে আগামী বছর থেকে পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তে জিপিএর ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।' স্বাস্থ্যমন্ত্রী গত শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানেও সরকারের এমন নমনীয় অবস্থানের আভাস দেন। রিট তুলতে আজ আবেদন হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে বৈঠকে উপস্থিত আন্দোলনকারীদের মধ্যে পক্ষে-বিপক্ষে বিভক্তি দেখা দিয়েছিল বলে বৈঠক সূত্র জানায়। সূত্র মতে, বৈঠকে উপস্থিত আট শিক্ষার্থীর মধ্যে পাঁচজন আগের মতো পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির পক্ষে কথা বলেন, বাকি তিনজন সরকারের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তির পক্ষে মত দেন। পরে মন্ত্রী তাঁর সিদ্ধান্ত জানান।
তবে রিট তুলে নেওয়ার পরও বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারণী কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে হবে বলে জানান মন্ত্রী। একই সঙ্গে মন্ত্রী জানান, শিগগিরই এবারের ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছাড়াও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) মুজিবুর রহমান ফকির, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. সারফুদ্দিন আহমেদ, আন্দোলনকারীদের পক্ষে কলাম লেখক সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ইতিবাচক আশ্বাস পাওয়ার পর আন্দোলনকারী ভর্তীচ্ছু ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন। বৈঠক থেকে ফিরে গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ভর্তীচ্ছু ছাত্রছাত্রীরা সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য মোমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, 'মন্ত্রী আমাদের সঙ্গে কথা বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন এবার ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমেই আমরা ভর্তি হতে পারব। এমন ইতিবাচক আশ্বাসের কারণেই আমরা কর্মসূচি স্থগিত করছি।'
এদিকে মন্ত্রী ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সমঝোতা হলেও এখন বিষয়টি ঝুলে আছে উচ্চ আদালতে রিট আবেদনকারী অভিভাবক অ্যাডভোকেট ইউনূস আলী আকন্দের ওপর। শিক্ষার্থীরা বলেছেন, রিটকারীও রিট তুলে নিতে সম্মত হয়েছেন বলে তাঁদের জানিয়েছেন।
তবে মন্ত্রণালয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরপরই রিট আবেদনকারী আইনজীবী উচ্চ আদালত এলাকায় কর্মরত সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, মন্ত্রী তাঁকে ছাড়াই এ বৈঠক করেছেন, ফলে তিনি রিট তুলবেন না।
পরবর্তী সময়ে তাঁর এ অবস্থানের কথা জানতে পেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থানকারী শতাধিক আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রী উচ্চ আদালত এলাকায় এসে অ্যাডভোকেট ইউনূস আলীকে রিট তুলে নিতে অনুরোধ করেন। ইউনূস আলী এর পরও অনড় ভাব ব্যক্ত করলে ছাত্রছাত্রীরাও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। শেষ পর্যন্ত অ্যাডভোকেট ইউনূস আলী আজ সোমবার রিট প্রত্যাহারের আবেদন করতে রাজি হন। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছেও তিনি একই কথা জানান।
এদিকে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন বলেছে, আগামী বছর থেকে পরীক্ষার বদলে শুধু জিপিএর ভিত্তিতে ভর্তির ধারণা গ্রহণযোগ্য নয়। গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি আরিফুল ইসলাম বলেন, 'কোচিং সেন্টার বন্ধের জন্য সরকার আলাদা আইন তৈরি করতে পারে; ভর্তি পরীক্ষা বাদ দিয়ে নয়। জিপিএর ভিত্তিতে ভর্তি হবে বৈষম্যমূলক।' স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'হাইকোর্টের রিট তুলে নেওয়া হলে সরকার এ বছরের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করবে এবং আগামী বছর ও পরবর্তী বছরগুলোর ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে সরকার আগামী বছর সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা এ ধরনের শর্ত জুড়ে দেওয়ার তীব্র সমালোচনা করছি।'
গত ১২ আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে বলে ঘোষণা দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। এরই মধ্যে অ্যাডভোকেট ইউনূস আলী আকন্দ নামের একজন অভিভাবক সরকারের সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য উচ্চ আদালতে একটি রিট করেন। এর ভিত্তিতে গত ২৭ আগস্ট উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চ বিভক্ত আদেশ দেন। বিষয়টি এখন অন্য বেঞ্চে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
তবে বৈঠকে উপস্থিত আন্দোলনকারীদের মধ্যে পক্ষে-বিপক্ষে বিভক্তি দেখা দিয়েছিল বলে বৈঠক সূত্র জানায়। সূত্র মতে, বৈঠকে উপস্থিত আট শিক্ষার্থীর মধ্যে পাঁচজন আগের মতো পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির পক্ষে কথা বলেন, বাকি তিনজন সরকারের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তির পক্ষে মত দেন। পরে মন্ত্রী তাঁর সিদ্ধান্ত জানান।
তবে রিট তুলে নেওয়ার পরও বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারণী কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে হবে বলে জানান মন্ত্রী। একই সঙ্গে মন্ত্রী জানান, শিগগিরই এবারের ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছাড়াও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) মুজিবুর রহমান ফকির, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. সারফুদ্দিন আহমেদ, আন্দোলনকারীদের পক্ষে কলাম লেখক সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ইতিবাচক আশ্বাস পাওয়ার পর আন্দোলনকারী ভর্তীচ্ছু ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন। বৈঠক থেকে ফিরে গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ভর্তীচ্ছু ছাত্রছাত্রীরা সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য মোমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, 'মন্ত্রী আমাদের সঙ্গে কথা বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন এবার ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমেই আমরা ভর্তি হতে পারব। এমন ইতিবাচক আশ্বাসের কারণেই আমরা কর্মসূচি স্থগিত করছি।'
এদিকে মন্ত্রী ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সমঝোতা হলেও এখন বিষয়টি ঝুলে আছে উচ্চ আদালতে রিট আবেদনকারী অভিভাবক অ্যাডভোকেট ইউনূস আলী আকন্দের ওপর। শিক্ষার্থীরা বলেছেন, রিটকারীও রিট তুলে নিতে সম্মত হয়েছেন বলে তাঁদের জানিয়েছেন।
তবে মন্ত্রণালয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরপরই রিট আবেদনকারী আইনজীবী উচ্চ আদালত এলাকায় কর্মরত সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, মন্ত্রী তাঁকে ছাড়াই এ বৈঠক করেছেন, ফলে তিনি রিট তুলবেন না।
পরবর্তী সময়ে তাঁর এ অবস্থানের কথা জানতে পেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থানকারী শতাধিক আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রী উচ্চ আদালত এলাকায় এসে অ্যাডভোকেট ইউনূস আলীকে রিট তুলে নিতে অনুরোধ করেন। ইউনূস আলী এর পরও অনড় ভাব ব্যক্ত করলে ছাত্রছাত্রীরাও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। শেষ পর্যন্ত অ্যাডভোকেট ইউনূস আলী আজ সোমবার রিট প্রত্যাহারের আবেদন করতে রাজি হন। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছেও তিনি একই কথা জানান।
এদিকে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন বলেছে, আগামী বছর থেকে পরীক্ষার বদলে শুধু জিপিএর ভিত্তিতে ভর্তির ধারণা গ্রহণযোগ্য নয়। গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি আরিফুল ইসলাম বলেন, 'কোচিং সেন্টার বন্ধের জন্য সরকার আলাদা আইন তৈরি করতে পারে; ভর্তি পরীক্ষা বাদ দিয়ে নয়। জিপিএর ভিত্তিতে ভর্তি হবে বৈষম্যমূলক।' স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'হাইকোর্টের রিট তুলে নেওয়া হলে সরকার এ বছরের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করবে এবং আগামী বছর ও পরবর্তী বছরগুলোর ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে সরকার আগামী বছর সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা এ ধরনের শর্ত জুড়ে দেওয়ার তীব্র সমালোচনা করছি।'
গত ১২ আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে বলে ঘোষণা দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। এরই মধ্যে অ্যাডভোকেট ইউনূস আলী আকন্দ নামের একজন অভিভাবক সরকারের সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য উচ্চ আদালতে একটি রিট করেন। এর ভিত্তিতে গত ২৭ আগস্ট উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চ বিভক্ত আদেশ দেন। বিষয়টি এখন অন্য বেঞ্চে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
No comments