বিএসআরএম আয়োজিত সেমিনার- বহুতল ভবন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি
দেশের শহরাঞ্চলে বহুতল ভবন নির্মাণের প্রবণতা বাড়ছে। জমির পরিমাণ ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় আবাসনশিল্পের প্রতিষ্ঠানগুলোও এ ধরনের ভবন নির্মাণের দিকে ঝুঁকছে। তাই বহুতল ভবন নির্মাণ নিয়ে আর কোনো বিতর্কের অবকাশ নেই—এটা সময়ের দাবি।
রাজধানীর একটি হোটেলে গত শনিবার বহুতল ভবন নির্মাণ বিষয়ে বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস্ (বিএসআরএম) আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
সেমিনারে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক শফিউল বারী জানান, দেশে এখন ২০ তলার বেশি উঁচু এমন ভবনের সংখ্যা ১৪টি। এর মধ্যে ছয়টিই নির্মিত হয়েছে গত আট বছরে।
অধ্যাপক বারী জানান, বাংলাদেশে বহুতল ভবনের ইতিহাস ৫০ বছরের পুরোনো। মতিঝিলের ১৯৬৩ সালে ১১ তলার ওয়াপদা ভবনটি নির্মাণের মধ্য দিয়ে দেশে বহুতল ভবন নির্মাণ শুরু হয়। এরপর ১৯৮৩ সালে নির্মিত হয় সে সময়ের সবচেয়ে বড় শিল্প ব্যাংক ভবন। দুই বছর পর গড়ে উঠে ৩০ তলার বাংলাদেশ ব্যাংক। ৩৪ তলার সিটি ব্যাংক টাওয়ার হয়েছে ২০০৬ সালে, পরে ২০১০ সালে মতিঝিলের ৩৭ তলার সিটি সেন্টার।
শফিউল বারী বলেন, এশিয়ার দেশগুলোতে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপকহারে বহুতল ভবন নির্মিত হচ্ছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বুয়েটের অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ বলেন, সাধারণত বহুতল ভবন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবহারের জন্যই করা হয়। কিন্তু কয়েক বছরে আবাসিক ভবন এবং হোটেল হিসাবেও বহুতল ভবন তৈরি হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি ঢাকা ও চট্টগ্রামে ২০-২৫ তলা উঁচু ভবন নির্মাণের প্রবণতা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক মুনাজ বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশে জমি অপ্রতুল। আবার জনসংখ্যা বেশি। কাজেই সমস্যা সমাধানে বহুতল ভবন দরকার। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে ভালো মানের স্টিল ও সিমেন্ট তৈরি হলেও ভালো মানের কংক্রিটের অভাব রয়েছে। যেখানে নির্মাণকাজ চলে, সেখানে কংক্রিট তৈরি হলেও এই কাজ করার জন্য মানসম্মত লোক নেই।’
বহুতল ভবন তৈরিতে মানসম্মত স্টিলের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে মুনাজ বলেন, বহুতল ভবনের ক্ষেত্রে মানহীন নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই।
সেমিনারে বুয়েটের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক শামীম জেড বসুনিয়া বলেন, ‘বহুতল ভবনের ক্ষেত্রে কংক্রিটের মান পরীক্ষা করা জরুরি। কিন্তু আমাদের দেশে সেটা করা হয় না।’
বিএসআরএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমের আলী হোসাইন বলেন, গত ১০ বছরে নির্মাণ খাত অনেক দ্রুত এগিয়েছে। তাই স্টিলের চাহিদাও বাড়ছে। এই চাহিদা মেটাতে বিএসআরএম উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএসআরএম গ্রুপের বিপণন ও পণ্য উন্নয়ন বিভাগের প্রধান এম ফিরোজ বলেন, দুর্বল পরিকল্পনা, অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা আর জমির আকাশচুম্বী মূল্য—এসব মিলেমিশে নগরজীবনকে করে তুলেছে দুর্বিষহ।
সেমিনারে আরও অংশ নেন আহ্ছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ এম এম শফিউল্লাহ, বুয়েটের অধ্যাপক এম শহিদুল আমিন ও সৈয়দ ফখরুল আমিন প্রমুখ।
সেমিনারে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক শফিউল বারী জানান, দেশে এখন ২০ তলার বেশি উঁচু এমন ভবনের সংখ্যা ১৪টি। এর মধ্যে ছয়টিই নির্মিত হয়েছে গত আট বছরে।
অধ্যাপক বারী জানান, বাংলাদেশে বহুতল ভবনের ইতিহাস ৫০ বছরের পুরোনো। মতিঝিলের ১৯৬৩ সালে ১১ তলার ওয়াপদা ভবনটি নির্মাণের মধ্য দিয়ে দেশে বহুতল ভবন নির্মাণ শুরু হয়। এরপর ১৯৮৩ সালে নির্মিত হয় সে সময়ের সবচেয়ে বড় শিল্প ব্যাংক ভবন। দুই বছর পর গড়ে উঠে ৩০ তলার বাংলাদেশ ব্যাংক। ৩৪ তলার সিটি ব্যাংক টাওয়ার হয়েছে ২০০৬ সালে, পরে ২০১০ সালে মতিঝিলের ৩৭ তলার সিটি সেন্টার।
শফিউল বারী বলেন, এশিয়ার দেশগুলোতে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপকহারে বহুতল ভবন নির্মিত হচ্ছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বুয়েটের অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ বলেন, সাধারণত বহুতল ভবন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবহারের জন্যই করা হয়। কিন্তু কয়েক বছরে আবাসিক ভবন এবং হোটেল হিসাবেও বহুতল ভবন তৈরি হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি ঢাকা ও চট্টগ্রামে ২০-২৫ তলা উঁচু ভবন নির্মাণের প্রবণতা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক মুনাজ বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশে জমি অপ্রতুল। আবার জনসংখ্যা বেশি। কাজেই সমস্যা সমাধানে বহুতল ভবন দরকার। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে ভালো মানের স্টিল ও সিমেন্ট তৈরি হলেও ভালো মানের কংক্রিটের অভাব রয়েছে। যেখানে নির্মাণকাজ চলে, সেখানে কংক্রিট তৈরি হলেও এই কাজ করার জন্য মানসম্মত লোক নেই।’
বহুতল ভবন তৈরিতে মানসম্মত স্টিলের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে মুনাজ বলেন, বহুতল ভবনের ক্ষেত্রে মানহীন নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই।
সেমিনারে বুয়েটের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক শামীম জেড বসুনিয়া বলেন, ‘বহুতল ভবনের ক্ষেত্রে কংক্রিটের মান পরীক্ষা করা জরুরি। কিন্তু আমাদের দেশে সেটা করা হয় না।’
বিএসআরএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমের আলী হোসাইন বলেন, গত ১০ বছরে নির্মাণ খাত অনেক দ্রুত এগিয়েছে। তাই স্টিলের চাহিদাও বাড়ছে। এই চাহিদা মেটাতে বিএসআরএম উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএসআরএম গ্রুপের বিপণন ও পণ্য উন্নয়ন বিভাগের প্রধান এম ফিরোজ বলেন, দুর্বল পরিকল্পনা, অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা আর জমির আকাশচুম্বী মূল্য—এসব মিলেমিশে নগরজীবনকে করে তুলেছে দুর্বিষহ।
সেমিনারে আরও অংশ নেন আহ্ছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ এম এম শফিউল্লাহ, বুয়েটের অধ্যাপক এম শহিদুল আমিন ও সৈয়দ ফখরুল আমিন প্রমুখ।
No comments