১১ কিলোমিটারে ১৭টি গতিরোধক!
ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল উপজেলার মুশুলি বাজার থেকে কিশোরগঞ্জ শহরের দূরত্ব ১১ কিলোমিটার। এই ১১ কিলোমিটার সড়কে গতিরোধক রয়েছে ১৭টি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানায়, এত বেশি গতিরোধকের কারণে ওই সড়কে স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।
ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলের চালকেরা বলেছেন, গতিরোধকগুলোর উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। এ কারণে গাড়ির নিচের অংশের সঙ্গে গতিরোধকের ঘষা লাগে। এতে গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মুশুলি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারের প্রবেশমুখে একটি গতিরোধক। এর প্রায় ৫০ গজ দূরে মুশুলি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ফটকের সামনে আরও একটি গতিরোধক। এমনিভাবে মহাসড়কের পাশের প্রতিটি হাটবাজার ও বাস থামানোর স্থানে দুটি করে গতিরোধক স্থাপন করা হয়েছে।
বাশহাটি উচ্চবিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মো. মাসুদুল হক প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। তিনি বলেন, এত ঘন ঘন গতিরোধক দেশের কোনো মহাসড়কে তিনি দেখেননি। এ সড়কে যাতায়াত তাঁর কাছে অস্বস্তিকর মনে হয়।
অমিত ঘোষ নামের এক চাকরিজীবী বলেন,গতিরোধকের কারণে বাসগুলো সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছতে পারে না।
যোগাযোগ করা হলে নান্দাইল মহাসড়ক পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুল হক বলেন, মহাসড়কে গতিরোধক স্থাপনের কোনো নিয়ম নেই। তিনি বলেন, গতিরোধকের কাছে এসে যানবাহনগুলোর গতি শূন্যে নামাতে হয়। এতে রাতের বেলায় গাড়িতে ছিনতাইকারী অথবা ডাকাত ওঠে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
সড়ক বিভাগের সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. রেজাউল হক জানান, একটি গতিরোধক স্থাপন করতে ব্যয় হয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। এলাকার কিছু ব্যক্তি প্রভাব খাটিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বাধ্য করেছে গতিরোধকগুলো স্থাপন করতে। তবে কয়েকটি স্থানে গতিরোধকের প্রয়োজন বলে তিনি দাবি করেন।
কিশোরগঞ্জ বাসমালিক সমিতির নেতা মুরাদ হোসেন বলেন, এসব গতিরোধক অনুনোমদিত। এগুলো মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের নিরাপত্তার হুমকি তৈরি করেছে।
No comments