এই দুর্নীতির শেষ কোথায়?- প্লট বরাদ্দ, না ভাগ-বাঁটোয়ারা
রাজউকের প্লট বরাদ্দ মানেই দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি আর রাজনৈতিক বিবেচনা। সরকার বদল হয় কিন্তু প্লট বরাদ্দ নিয়ে এই নয়ছয়ের যেন শেষ নেই। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বা গণপূর্ত মন্ত্রণালয় যখন এসব ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করতে যায়, তখন আইন কার্যকর থাকার কথা নয়।
নিজেদের পছন্দের লোকজন যাতে প্লট পায়, সে জন্য রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্প এ পর্যন্ত চারবার পরিবর্তন করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, যার সুযোগই নেই।
রাজউকের পূর্বাচল ও উত্তরার প্লট বরাদ্দ নিয়ে যে মাত্রাছাড়া অনিয়ম ও দুর্নীতি চলছে, তার কিছু বিবরণ প্রকাশ পেয়েছে প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ‘অতি জরুরি ও গোপনীয়’ হিসেবে সাদা কাগজে রাজউকে পাঠানো চিঠিতে ১২ জনকে প্লট বরাদ্দ দিতে বলা হয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই চিঠি পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন একান্ত সহকারী সচিব-১। এ ব্যাপারে ‘প্রধানমন্ত্রী সদয় সম্মতি জ্ঞাপন’ করেছেন বলে তিনি তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। গত মাসে রাজউকে পাঠানো আরেক চিঠিতে সংরক্ষিত কোটা থেকে ৭১ জনকে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। সেখানেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে বলে চিঠিতে দাবি করা হয়েছে। বিস্ময়কর হলো, যে ৭১ জনের তালিকা পাঠানো হয়েছে, তার মধ্যে ১৮ জন প্লট পাওয়ার জন্য আবেদনই করেননি।
রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়মনীতি উপেক্ষা করার এ প্রক্রিয়া যখন সরকারপ্রধানের নাম করে করা হয়, তখন পুরো ব্যবস্থাটাই অকার্যকর হয়ে পড়তে বাধ্য। অনিয়মের হাত ধরে দুর্নীতির সব ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়। যাঁরা ছোট প্লট বরাদ্দ পেয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই তা বাড়িয়ে নিয়েছেন রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ দিয়ে। নকশা পরিবর্তনের সুযোগও নিচ্ছেন অনেকে। তালিকার বাইরেও চলছে বাড়তি প্লট বরাদ্দ। প্লটের সংখ্যা ও আকার বাড়াতে গিয়ে মূল নকশার মাঠ, খোলা জায়গা, জলাশয়, সবুজ অঞ্চল—সবই কমাতে হচ্ছে। এসব অনিয়ম জায়েজ করতে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।
সরকারের তরফ থেকে একদিকে যেমন এ ধরনের খবরদারি রয়েছে, তেমনি প্রতিষ্ঠান হিসেবেও রাজউক যেন দিন দিন দুর্নীতি আর বিশৃঙ্খলার আখড়ায় পরিণত হচ্ছে। তা না হলে রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী এক প্রশিক্ষণের নামে দেড় মাস বিদেশে কাটিয়ে দেশে ফিরতে না-ফিরতেই কেন আবার ব্যক্তিগত সফরে দেশের বাইরে যাবেন? তাঁকে ছাড়াই যদি দীর্ঘ দিন রাজউক চলতে পারে, তাহলে জনগণের করের পয়সায় পুষে কী লাভ!
প্লট বরাদ্দ নিয়ে এই যে দুর্নীতি চলছে, সে বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করা উচিত। প্রধানমন্ত্রীর নাম করে যাঁদের তালিকা পাঠানো হয়েছে, তাতে কি সত্যিই প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি রয়েছে? সরকার যদি দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রশ্রয় না দেওয়ার ঘোষিত নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়, তবে এ ধরনের অনিয়ম শক্ত হাতে বন্ধ করতে হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন রাজউকে তাদের অস্থায়ী কার্যালয় বানিয়ে কী করছে, সেটাও এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রশ্নগুলোর জবাব মেলা জরুরি।
রাজউকের পূর্বাচল ও উত্তরার প্লট বরাদ্দ নিয়ে যে মাত্রাছাড়া অনিয়ম ও দুর্নীতি চলছে, তার কিছু বিবরণ প্রকাশ পেয়েছে প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ‘অতি জরুরি ও গোপনীয়’ হিসেবে সাদা কাগজে রাজউকে পাঠানো চিঠিতে ১২ জনকে প্লট বরাদ্দ দিতে বলা হয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই চিঠি পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন একান্ত সহকারী সচিব-১। এ ব্যাপারে ‘প্রধানমন্ত্রী সদয় সম্মতি জ্ঞাপন’ করেছেন বলে তিনি তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। গত মাসে রাজউকে পাঠানো আরেক চিঠিতে সংরক্ষিত কোটা থেকে ৭১ জনকে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। সেখানেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে বলে চিঠিতে দাবি করা হয়েছে। বিস্ময়কর হলো, যে ৭১ জনের তালিকা পাঠানো হয়েছে, তার মধ্যে ১৮ জন প্লট পাওয়ার জন্য আবেদনই করেননি।
রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়মনীতি উপেক্ষা করার এ প্রক্রিয়া যখন সরকারপ্রধানের নাম করে করা হয়, তখন পুরো ব্যবস্থাটাই অকার্যকর হয়ে পড়তে বাধ্য। অনিয়মের হাত ধরে দুর্নীতির সব ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়। যাঁরা ছোট প্লট বরাদ্দ পেয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই তা বাড়িয়ে নিয়েছেন রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ দিয়ে। নকশা পরিবর্তনের সুযোগও নিচ্ছেন অনেকে। তালিকার বাইরেও চলছে বাড়তি প্লট বরাদ্দ। প্লটের সংখ্যা ও আকার বাড়াতে গিয়ে মূল নকশার মাঠ, খোলা জায়গা, জলাশয়, সবুজ অঞ্চল—সবই কমাতে হচ্ছে। এসব অনিয়ম জায়েজ করতে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।
সরকারের তরফ থেকে একদিকে যেমন এ ধরনের খবরদারি রয়েছে, তেমনি প্রতিষ্ঠান হিসেবেও রাজউক যেন দিন দিন দুর্নীতি আর বিশৃঙ্খলার আখড়ায় পরিণত হচ্ছে। তা না হলে রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী এক প্রশিক্ষণের নামে দেড় মাস বিদেশে কাটিয়ে দেশে ফিরতে না-ফিরতেই কেন আবার ব্যক্তিগত সফরে দেশের বাইরে যাবেন? তাঁকে ছাড়াই যদি দীর্ঘ দিন রাজউক চলতে পারে, তাহলে জনগণের করের পয়সায় পুষে কী লাভ!
প্লট বরাদ্দ নিয়ে এই যে দুর্নীতি চলছে, সে বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করা উচিত। প্রধানমন্ত্রীর নাম করে যাঁদের তালিকা পাঠানো হয়েছে, তাতে কি সত্যিই প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি রয়েছে? সরকার যদি দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রশ্রয় না দেওয়ার ঘোষিত নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়, তবে এ ধরনের অনিয়ম শক্ত হাতে বন্ধ করতে হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন রাজউকে তাদের অস্থায়ী কার্যালয় বানিয়ে কী করছে, সেটাও এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রশ্নগুলোর জবাব মেলা জরুরি।
No comments