বিষণ্ণতা পেরিয়ে
মানুষের জীবনপথ রুখে দাড়াবার অন্যতম শত্রু হচ্ছে বিষন্নতা। নানা কারনে মানুষের মনে বাসা বাধতে পারে বিষন্নতা। যা প্রতিনিয়ত কুড়ে কুড়ে খায়। থমকে দেয় জীবনের গতি পথ। পারিবারিক, সামাজিক কিংবা ব্যক্তিগত যেকোন কারনে মনে জন্ম নেয় বিষন্নতার। অনেকেই এ বিষন্নতা কে পাত্তাই দিতে চায়না।
তাদের ধারনা এটা এক ধরনের পাগলামি। কিন্তু এটাও যে একটা রোগ তা অনেকের কাছেই স্পষ্ট নয়। আবার কারও কারও ধারনা এটা পরিনত বয়সের একটা ব্যাধি। অথচ এ বিষন্নতা যেকোন বয়সীদের যেকোন সময় উদ্ভব হতে পারে। ইদানিং এক স্বাস্থ্য জরিপে দেখা গেছে পরিনত মানুষের চেয়ে বিষন্নতা ভর করছে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের উপর। দিনে দিনে এ সমস্যা প্রকট হচ্ছে। অথচ কেউই তেমন ভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে না। আবার ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের বিভিন্ন সমস্যার কথা পরিবারের খুলে বলতে পারছেনা। আমাদের দেশে এখনও তেমনভাবে পারিবারিক বোঝাপড়া গড়ে ওঠেনি। বাবা কিংবা মায়ের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়াতে সন্তানের অনেক কথাই চাপা পড়ে থাকে। কাউকে শেয়ার করতে না পারার কারনে তা রুপ নেয় বিষন্নতায়। যা সন্তানের উজ্জল ভবিষ্যতের অন্তরায়। ছাত্র-ছাত্রীরা সবচেয়ে বেশি অস্বস্থিতে ভোগে পড়ালেখা কিংবা পরীক্ষা নিয়ে। পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় অনেক ছাত্রছাত্রী তাদের আবেগকে কন্ট্রোল করতে পারে না। ফলশ্রুতিতে স্বাস্থ্য-শরীর-মন পারিপার্শ্বিক অবস্থা সবকিছুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, হতাশা এক ভয়াবহ মানসিক ব্যাধি। তা কখনও কখনও স্থায়ী মনোরোগে রূপান্তরিত হয়। যার ফলে রোগীকে উক্ত রোগ থেকে পরিত্রাণ দেয়াটাই বিশেষজ্ঞদের মতে দুরূহ হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে পরীক্ষায় অকৃতকার্য বা রেজাল্ট খারাপ হওয়া ছাত্রছাত্রীরা কিছু টিপস মেনে নিলে সামনে পড়ে থাকা সোনালি ভবিষ্যত সুগম হতে পারে।
হ আগের রুটিন অনুযায়ী ঘুমোতে যাওয়া। বেশি রাত জেগে না থাকা।
হ আগেকার মতোই বন্ধু-বান্ধবদের সাথে হাসিখুশি থাকা। আড্ডা দেয়া।
হ প্রয়োজনমাফিক খেলাধুলা করা, টিভি দেখা, ভিডিও গেম, কম্পিউটারের সামনে বসা ইত্যাদি নিত্যনৈমত্তিক কর্মকা-ে অংশগ্রহণ করা।
হ যারা অন্যের অকৃতকার্যতা দেখে হাসিঠাট্টা করে তাদেরকে এড়িয়ে চলা।
হ সামাজিক, সাংস্কৃতিক কিংবা সমাজের বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজে যতটুকু সম্ভব জড়িয়ে রাখা। এতে করে আনন্দে থাকা যায়।
হ নিজের অকৃতকার্যতা সম্পর্কে নিজে অবহিত হওয়ার জন্য নিজের দুর্বল পয়েন্টগুলো খুঁজে বের করা এবং তা শোধরানোর চেষ্টায় নেমে যাওয়া।
হ অবসর সময়ে বিনোদনমূলক বই পত্রিকা পড়া। মহৎ মানুষের জীবনী ও ধর্মগ্রন্থ পড়া।
হ বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পরই নিজের পাঠ্যপুস্তকের দিকে নজর দেয়া। কোচিং, প্রাইভেট, ক্লাসে পূর্বের চাইতেও মনোযোগী হওয়া।
হ মনের মাঝে খুব বেশি নেগেটিভ চিন্তা ভাবনার ঠাঁই না দেয়া।
হ নিজের মাঝে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলা, যে সামনের পরীক্ষায় আমি অবশ্যই ভাল রেজাল্ট করব এবং আমাকে তা করতেই হবে।
এতো শুধু একাডেমিক ব্যাপার। এছাড়াও আরও অনেক বিষয় নিয়ে অল্প বয়সী ছেলেমেয়েরা বিষন্নতায় ভোগে। যেমন বাবা মায়ের পারিবারিক কলহ। বাবা কিংবা মা কে অতিরিক্ত ভয়। কিংবা বাবা মায়ের সঙ্গে আন্তরিকতা না থাকা সহ নানা কারনে তাদের মনে বিষন্নতা জন্ম নেয়। এ কারনে পারিবারিক অটুট বন্ধন খুব বেশি জরুরী। নির্মল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সন্তানের সুবিধা অসুবিধার খোজ খবর রাখতে হবে। তা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। নেগেটিভ কোন কাজে হঠাৎ রি-আ্যাক্ট না করে বোঝাতে হবে। আলোচনা করে সমাধানের পথ খুজতে হবে। আবার অন্যদিকে আরেক জরিপে দেখা গেছে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে এ দেশের মেয়েরা বিষন্নতায় বেশি আক্রান্ত। বিশেষ করে বিবাহিত মেয়েরা। বিয়ের পর অনেকেই স্বামীর সংসারে মানিয়ে নিতে বেগ পায়। নিজেকে মানিয়ে নেয়ার সময়ও পায়না। আবার বাবার বাড়িতে কিছু বলতেও পারেনা। শ্বশুরবাড়ির সমস্যা, স্বামীর উদাসীনতা সবকিছু মিলিয়ে জন্ম নেয় হতাশার। যা তাকে সাংসারিক কাজ থেকে অনেক দূরে ঠেলে দেয়। এক্ষেত্রে নিজে নিজে সমস্যার পথ না খুজে বিস্বস্ত কারও সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা উচিত। প্রয়োজনে মানসিক বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেয়া উচিত। একটি ভ্রান্ত ধারনা এদেশের মানুষের রয়েছে। মানসিক বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া মানেই নিজেকে মানসিক রোগী ভাবা। ব্যাপারটা মোটেও তা নয়।
শামিমা আক্তার রিমা
হ আগের রুটিন অনুযায়ী ঘুমোতে যাওয়া। বেশি রাত জেগে না থাকা।
হ আগেকার মতোই বন্ধু-বান্ধবদের সাথে হাসিখুশি থাকা। আড্ডা দেয়া।
হ প্রয়োজনমাফিক খেলাধুলা করা, টিভি দেখা, ভিডিও গেম, কম্পিউটারের সামনে বসা ইত্যাদি নিত্যনৈমত্তিক কর্মকা-ে অংশগ্রহণ করা।
হ যারা অন্যের অকৃতকার্যতা দেখে হাসিঠাট্টা করে তাদেরকে এড়িয়ে চলা।
হ সামাজিক, সাংস্কৃতিক কিংবা সমাজের বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজে যতটুকু সম্ভব জড়িয়ে রাখা। এতে করে আনন্দে থাকা যায়।
হ নিজের অকৃতকার্যতা সম্পর্কে নিজে অবহিত হওয়ার জন্য নিজের দুর্বল পয়েন্টগুলো খুঁজে বের করা এবং তা শোধরানোর চেষ্টায় নেমে যাওয়া।
হ অবসর সময়ে বিনোদনমূলক বই পত্রিকা পড়া। মহৎ মানুষের জীবনী ও ধর্মগ্রন্থ পড়া।
হ বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পরই নিজের পাঠ্যপুস্তকের দিকে নজর দেয়া। কোচিং, প্রাইভেট, ক্লাসে পূর্বের চাইতেও মনোযোগী হওয়া।
হ মনের মাঝে খুব বেশি নেগেটিভ চিন্তা ভাবনার ঠাঁই না দেয়া।
হ নিজের মাঝে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলা, যে সামনের পরীক্ষায় আমি অবশ্যই ভাল রেজাল্ট করব এবং আমাকে তা করতেই হবে।
এতো শুধু একাডেমিক ব্যাপার। এছাড়াও আরও অনেক বিষয় নিয়ে অল্প বয়সী ছেলেমেয়েরা বিষন্নতায় ভোগে। যেমন বাবা মায়ের পারিবারিক কলহ। বাবা কিংবা মা কে অতিরিক্ত ভয়। কিংবা বাবা মায়ের সঙ্গে আন্তরিকতা না থাকা সহ নানা কারনে তাদের মনে বিষন্নতা জন্ম নেয়। এ কারনে পারিবারিক অটুট বন্ধন খুব বেশি জরুরী। নির্মল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সন্তানের সুবিধা অসুবিধার খোজ খবর রাখতে হবে। তা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। নেগেটিভ কোন কাজে হঠাৎ রি-আ্যাক্ট না করে বোঝাতে হবে। আলোচনা করে সমাধানের পথ খুজতে হবে। আবার অন্যদিকে আরেক জরিপে দেখা গেছে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে এ দেশের মেয়েরা বিষন্নতায় বেশি আক্রান্ত। বিশেষ করে বিবাহিত মেয়েরা। বিয়ের পর অনেকেই স্বামীর সংসারে মানিয়ে নিতে বেগ পায়। নিজেকে মানিয়ে নেয়ার সময়ও পায়না। আবার বাবার বাড়িতে কিছু বলতেও পারেনা। শ্বশুরবাড়ির সমস্যা, স্বামীর উদাসীনতা সবকিছু মিলিয়ে জন্ম নেয় হতাশার। যা তাকে সাংসারিক কাজ থেকে অনেক দূরে ঠেলে দেয়। এক্ষেত্রে নিজে নিজে সমস্যার পথ না খুজে বিস্বস্ত কারও সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা উচিত। প্রয়োজনে মানসিক বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেয়া উচিত। একটি ভ্রান্ত ধারনা এদেশের মানুষের রয়েছে। মানসিক বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া মানেই নিজেকে মানসিক রোগী ভাবা। ব্যাপারটা মোটেও তা নয়।
শামিমা আক্তার রিমা
No comments