অতিরিক্ত শিক্ষার্থীর ভারে ন্যুব্জ প্রতিষ্ঠানটি বাঁচাবে কে?- মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে মেধা, নিয়ম, অধিকার এমনকি বাণিজ্যিক সুযোগের চেয়েও বড় হয়ে উঠেছে ক্ষমতাবান বিভিন্ন ব্যক্তির সুপারিশ। সুপারিশের দৌলতে নিয়ম ভেঙে প্রথম শ্রেণীতেই অতিরিক্ত ভর্তি হয়েছে এক হাজার ৩৩৭ জন।
এই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা এমনই ক্ষমতাবান যে স্কুলের পরিচালনা কমিটিকে তাঁদের কথা শুনতে হয়! কিন্তু তাঁরা কেন স্কুলের ওপর বোঝা হয়ে চেপেছেন? এ রকম ক্ষমতা ও বিত্ত দিয়ে তো তাঁরা একটা মানসম্পন্ন বিদ্যালয়ই প্রতিষ্ঠা করতে পারতেন! সুবিধাবাদিতা আর নিয়মের ঊর্ধ্বে থাকার সংস্কৃতি গঠনমূলক কিছু করতে অক্ষম।
শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ ও ক্ষমতা প্রদর্শনের আদর্শ উদাহরণ আইডিয়াল স্কুলের ঘটনা। আসনের বাইরে নির্ধারিত সময়ের দুই মাস পরে এত বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি করা রীতিমতো জবরদস্তি! যে অভিভাবকেরা সন্তানকে ভালো স্কুলে পড়াতে মেধার চেয়ে ক্ষমতা-বিত্তের ওপরই বেশি ভর করেন, তাঁরা কেন নিজেরা একটি ভালো স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন না? তা না করে তাঁরা একটি সুপ্রতিষ্ঠিত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত, শ্রেণীকক্ষের ধারণক্ষমতা এবং মেধা-সংস্কৃতির ওপর বাড়তি বোঝা চাপিয়ে দিলেন। এতে স্কুলের মান পড়ে যাবে। এভাবে অর্থের জোরে শিক্ষার্থী ভর্তি করার বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। অন্যান্য স্কুলেও এর প্রাদুর্ভাব ঘটবে।
বিদ্যালয় ও কলেজটির অধ্যক্ষ প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে।’ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি কীভাবে এই প্রতিষ্ঠান ধ্বংসকারী অনিয়ম হতে দিলেন? একে সাধারণ অনিয়ম বলা যায় না। এর আইনানুগ বিহিত ও বিচার হওয়া উচিত।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ভর্তির জন্য অতিরিক্ত ফি বা ডোনেশন নেওয়া ইত্যাদিকে নিষিদ্ধ করেছিল। দেখা যাচ্ছে, তা বন্ধ তো হয়ইনি বরং আরও ব্যাপক রূপ লাভ করেছে। দুর্ভাগ্য যে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলও সেই ব্যাধি থেকে মুক্ত নয়। এই অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতি বন্ধ করতে না পারলে রাজধানীর স্বনামধন্য এই বিদ্যালয়টি রক্ষা করা যাবে না।
শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ ও ক্ষমতা প্রদর্শনের আদর্শ উদাহরণ আইডিয়াল স্কুলের ঘটনা। আসনের বাইরে নির্ধারিত সময়ের দুই মাস পরে এত বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি করা রীতিমতো জবরদস্তি! যে অভিভাবকেরা সন্তানকে ভালো স্কুলে পড়াতে মেধার চেয়ে ক্ষমতা-বিত্তের ওপরই বেশি ভর করেন, তাঁরা কেন নিজেরা একটি ভালো স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন না? তা না করে তাঁরা একটি সুপ্রতিষ্ঠিত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত, শ্রেণীকক্ষের ধারণক্ষমতা এবং মেধা-সংস্কৃতির ওপর বাড়তি বোঝা চাপিয়ে দিলেন। এতে স্কুলের মান পড়ে যাবে। এভাবে অর্থের জোরে শিক্ষার্থী ভর্তি করার বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। অন্যান্য স্কুলেও এর প্রাদুর্ভাব ঘটবে।
বিদ্যালয় ও কলেজটির অধ্যক্ষ প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে।’ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি কীভাবে এই প্রতিষ্ঠান ধ্বংসকারী অনিয়ম হতে দিলেন? একে সাধারণ অনিয়ম বলা যায় না। এর আইনানুগ বিহিত ও বিচার হওয়া উচিত।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ভর্তির জন্য অতিরিক্ত ফি বা ডোনেশন নেওয়া ইত্যাদিকে নিষিদ্ধ করেছিল। দেখা যাচ্ছে, তা বন্ধ তো হয়ইনি বরং আরও ব্যাপক রূপ লাভ করেছে। দুর্ভাগ্য যে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলও সেই ব্যাধি থেকে মুক্ত নয়। এই অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতি বন্ধ করতে না পারলে রাজধানীর স্বনামধন্য এই বিদ্যালয়টি রক্ষা করা যাবে না।
No comments