প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা- কর্মসংস্থান নিয়ে ওবামা রমনির তীব্র বাগ্যুদ্ধ
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদলীয় প্রার্থী বারাক ওবামা ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকানদলীয় প্রার্থী মিট রমনি এখন সুইং স্টেট (যে রাজ্যগুলোতে ভোটারদের সমর্থন দোদুল্যমান) বলে পরিচিত অঙ্গরাজ্যগুলোতে প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছেন। বক্তব্য দেওয়ার সময় তাঁরা কর্মসংস্থান নিয়ে প্রচণ্ড বাগ্যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছেন। এসব সুইং স্টেটের ফলাফলের ওপরই আগামী নির্বাচনের জয়-পরাজয় নির্ধারিত হতে পারে।
প্রেসিডেন্ট ওবামা সুইং স্টেটগুলোতে চার দিনের সফরে রয়েছেন। নর্থ ক্যারোলাইনায় ডেমোক্র্যাট দলের সম্মেলন সামনে রেখে সফরের শুরুতে গত শনিবার তিনি আইওয়াতে প্রচারণা চালান। গতকাল রোববার তিনি কলোরাডো সফর করেন। আজ লুইজিয়ানা যাবেন। সেখানে হারিকেন আইজ্যাকের ছোবলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করবেন তিনি। লুইজিয়ানা থেকে ওবামা আগামীকাল ভার্জিনিয়া যাবেন।
নর্থ ক্যারোলাইনার শারলটে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় দলের জাতীয় সম্মেলন গতিশীল করার চেষ্টার অংশ হিসেবে আইওয়াতে ওবামা নিজ সমর্থকদের এক শোভাযাত্রায় অংশ নেন। ২০০৮ সালে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার সফল প্রচারণা শুরুর ক্ষেত্রে এই রাজ্যের সমর্থন তাঁকে দারুণ সহায়তা করেছিল।
চলতি সপ্তাহে ফ্লোরিডার টাম্পায় অনুষ্ঠিত রিপাবলিকান দলের সম্মেলন নিয়ে আইওয়ার আরবানডেলে সমর্থকদের একটি শোভাযাত্রায় ব্যাঙ্গ করেন ওবামা। ওই সম্মেলনে গত শতকের পুরোনো রক্ষণশীল সামাজিকনীতি ফের তুলে ধরায় ঠাট্টা করে তিনি বলেন, ‘এটি সিনেমা ও নাটকের পুনঃপ্রচার। যা আমরা আগেও দেখেছি। আপনারা এটি সেই সাদাকালো টেলিভিশনে দেখে থাকতে পারেন।’
সম্মেলনে রিপাবলিকান-কর্মীদের সামনে কোনো নতুন পরিকল্পনা তুলে ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় ম্যাসাচুসেটসের সাবেক গভর্নর রমনির সমালোচনা করে ওবামা বলেন, ‘নতুন চিন্তার প্রতিফলন ঘটানোর পরিবর্তে রমনি বছরের পর বছর মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে ক্ষতিগ্রস্তকারী পুরোনো নীতির পুনরাবৃত্তি করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘রিপাবলিকান নেতারা আমার বিরুদ্ধে অনেক কথা বলেছেন। তাঁরা রমনি সম্পর্কেও অনেক কথা বলেছেন। কিন্তু তাঁরা জনগণ সম্পর্কে তেমন কিছুই বলেননি।’
আরবানডেলের পর ওবামা সিয়োক্স শহরে অপর এক শোভাযাত্রায় অংশ নেন। আফগানিস্তান সম্পর্কে কোনো কিছু না বলার জন্য এখানেও রমনির সমালোচনা করেন ওবামা।
ইতিমধ্যে নির্বাচনী লড়াইয়ে অতি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য ওহাইওতে গতকাল প্রচারণা চালানোর সময় রমনি ওই সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ওবামা ডুবন্ত মার্কিন অর্থনীতি ডাঙায় ওঠানোর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেননি।’ এ প্রসঙ্গে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, যুক্তরাষ্ট্রে এ মুহূর্তে দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষ পুরোপুরি বেকার কিংবা কাজ খুঁজে না পেয়ে চেষ্টা বন্ধ করে দিয়েছে কিংবা প্রায় বেকারত্বে ভুগছে।’
প্রসঙ্গত, ওবামা প্রশাসনের গত ৪৩ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার টানা বেড়ে গিয়ে আট শতাংশ ছাড়িয়েছে। ৬ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে মার্কিন অর্থনীতিকে রাতারাতি জাগিয়ে তোলার বিষয়টিকে বর্তমানে ওবামার জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এএফপি।
নর্থ ক্যারোলাইনার শারলটে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় দলের জাতীয় সম্মেলন গতিশীল করার চেষ্টার অংশ হিসেবে আইওয়াতে ওবামা নিজ সমর্থকদের এক শোভাযাত্রায় অংশ নেন। ২০০৮ সালে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার সফল প্রচারণা শুরুর ক্ষেত্রে এই রাজ্যের সমর্থন তাঁকে দারুণ সহায়তা করেছিল।
চলতি সপ্তাহে ফ্লোরিডার টাম্পায় অনুষ্ঠিত রিপাবলিকান দলের সম্মেলন নিয়ে আইওয়ার আরবানডেলে সমর্থকদের একটি শোভাযাত্রায় ব্যাঙ্গ করেন ওবামা। ওই সম্মেলনে গত শতকের পুরোনো রক্ষণশীল সামাজিকনীতি ফের তুলে ধরায় ঠাট্টা করে তিনি বলেন, ‘এটি সিনেমা ও নাটকের পুনঃপ্রচার। যা আমরা আগেও দেখেছি। আপনারা এটি সেই সাদাকালো টেলিভিশনে দেখে থাকতে পারেন।’
সম্মেলনে রিপাবলিকান-কর্মীদের সামনে কোনো নতুন পরিকল্পনা তুলে ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় ম্যাসাচুসেটসের সাবেক গভর্নর রমনির সমালোচনা করে ওবামা বলেন, ‘নতুন চিন্তার প্রতিফলন ঘটানোর পরিবর্তে রমনি বছরের পর বছর মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে ক্ষতিগ্রস্তকারী পুরোনো নীতির পুনরাবৃত্তি করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘রিপাবলিকান নেতারা আমার বিরুদ্ধে অনেক কথা বলেছেন। তাঁরা রমনি সম্পর্কেও অনেক কথা বলেছেন। কিন্তু তাঁরা জনগণ সম্পর্কে তেমন কিছুই বলেননি।’
আরবানডেলের পর ওবামা সিয়োক্স শহরে অপর এক শোভাযাত্রায় অংশ নেন। আফগানিস্তান সম্পর্কে কোনো কিছু না বলার জন্য এখানেও রমনির সমালোচনা করেন ওবামা।
ইতিমধ্যে নির্বাচনী লড়াইয়ে অতি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য ওহাইওতে গতকাল প্রচারণা চালানোর সময় রমনি ওই সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ওবামা ডুবন্ত মার্কিন অর্থনীতি ডাঙায় ওঠানোর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেননি।’ এ প্রসঙ্গে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, যুক্তরাষ্ট্রে এ মুহূর্তে দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষ পুরোপুরি বেকার কিংবা কাজ খুঁজে না পেয়ে চেষ্টা বন্ধ করে দিয়েছে কিংবা প্রায় বেকারত্বে ভুগছে।’
প্রসঙ্গত, ওবামা প্রশাসনের গত ৪৩ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার টানা বেড়ে গিয়ে আট শতাংশ ছাড়িয়েছে। ৬ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে মার্কিন অর্থনীতিকে রাতারাতি জাগিয়ে তোলার বিষয়টিকে বর্তমানে ওবামার জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এএফপি।
No comments