সোমার বোন শায়লার আকুতিঃ অপূরনীয় ক্ষতি করেছে লাক্স- চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা by মনোয়ারুল ইসলাম
লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার কারণেই সাদিয়া আর্জুমান্দ বানু সোমার লেখাপড়া ও ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ অভিযোগ তারই বড়বোন, কলেজ শিক্ষক শায়লা আরজুমান্দ বানুর।
বাংলানিউজের কাচ্ছে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তিনি বলেন, প্রতিযোগিতার আয়োজকদের কারণেই আমার বোনের মারত্মক ক্ষতি হয়েছে। আমরা জানিনা এই ক্ষতি কিভাবে পূরণ হবে। আমরা হতাশায় ভুগছি।
রাজধানীর ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শায়লা বলেন, “আমার বোন অত্যন্ত সুন্দরী ও মেধাবী। কিন্তু লাক্স-চ্যানেল আই সুপার স্টার প্রতিযোগিতা তার সৌন্দর্যের দাম দিতে গিয়ে মেধা ও ভবিষ্যত গড়ার পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে। সোমার জীবনের এই অপূরনীয় ক্ষতির কারনে আমরা ক্ষুব্ধ।”
লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা ২০১২’এ অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব হারিয়েছেন মেধাবী ছাত্রী সোমা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) শিক্ষাক্রম থেকে বাদ পড়েছেন তিনি।
সোমার বোন শায়লা বাংলানিউজকে আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইবিএ পড়াশোনার সুযোগ হারানোয় শুধু পড়াশোনার ক্ষেত্রে বড় ক্ষতিই নয় সামাজিকভাবেও হেয় হতে হচ্ছে সোমা ও আমাদের পরিবারকে।
তিনি বলেন, বিষয়টি প্রকাশ্য হওয়ায় আমরা এক কঠিন বিপদে পড়ছি। কারণ মেয়েদের প্রতি সমাজে কি দৃষ্টিভংগী তা সকলেরই জানা।
সাদিয়া আর্জুমান্দ বানু সোমা এখন লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা ২০১২ এর সেরা ৫ এ রয়েছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) ১৮ ব্যাচের বিবিএর ছাত্রী ছিলেন।
শায়লা আরজুমান্দ বানু আরও বলেন, আমি নিজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি। এখন শিক্ষকতা করছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র মতো প্রতিষ্ঠানে পড়া বাংলাদেশের সবার কাছে স্বপ্নের মতো। কিন্ত আমার বোনের সামান্য ভুল আর লাক্স- চ্যানেল আই প্রতিযোগিতার আয়োজকদের একগুয়েমির কারণে আমার বোন ঝরে পড়লো।
এই প্রতিযোগিতাআমার বোনের আর গোটা পরিবারের স্বপ্নকে তছনছ করে দিয়েছে।
সোমার বাবা সাধারন চাকুরীজীবি আনোয়ারুল ইসলাম আর মা জরিনা ইসলাম এখন মেয়ের চিন্তায় অস্থির। তারা মিরপুরের শ্যাওড়াপাড়ায় থাকছেন। মেয়ের এই খবর জানার পর তারা কারো সাথে কথা বলছেন না।
ঢাকার আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২০০৭ সালে জিপিএ-৫ নিয়ে এসএসসি এবং ২০০৯ সালে জিপিএ-৫ নিয়ে এইচএসসি পাস করেন সোমা। ভর্তি পরীক্ষায় যোগ্যতার প্রমাণ রেখে পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএতে ভর্তি হন।
সোমার বড়বোন বলেন, আমার বোন পঞ্চম শ্রেণীতে মতিঝিল জোনে একমাত্র ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিলো। সে ছোটবেলা থেকেই মেধাবী।
এদিকে, বাংলানিউজে সোমার এই খবর প্রকাশ হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন। তারা এভাবে একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন ধ্বংস করাটাকে কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। তারা এজন্য ইউনিলিভারের এই অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করেছেন। তাদের মতে লাক্স–চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীন আচরনের বলি হতে হলো মেধাবী ছাত্রী সোমাকে। সোমার মত আর কারো যেন এ ধরনের সর্বনাশ না হয় এজন্য প্রশাসনের প্রতি ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তারা ।
প্রসঙ্গত, শিক্ষাক্ষেত্রে একাধিক নিয়ম ভঙ্গ করায় আইবিএ কর্তৃপক্ষ সোমাকে ড্রপ আউট হিসেবে চিহ্নিত করে নোটিশ দেয়। সোমা পুনরায় আইবিএতে ছাত্রত্ব রক্ষার আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ তার আবেদন নাকচ করে। ফলে সে আইবিএর বিবিএর ছাত্রত্ব হারায়। পরে আইবিএর নোটিশ বোর্ডে এ সংক্রান্ত নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, বাংলানিউজে সোমার এই সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর ফেসবুক, ব্লগসহ বিভিন্ন সামাজিক ওয়েবসাইটেও এ ব্যপারে তীব্র প্রতিক্রিয়া এবং আলোচনা চলছে। অনেকেই তাদের আপনজন এবং পরিচিতরা কিভাবে এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সর্বস্ব খুইয়েছেন তা জানিয়ে বাংলানিউজের সাথে যোগাযোগ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঠিক কোন পরিস্থিতিতে সোমা তার ছাত্রত্ব হারিয়েছেন সেসব তথ্যও বাংলানিউজের হাতে পৌঁছেছে।
লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা ২০১২’এ অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব হারিয়েছেন মেধাবী ছাত্রী সোমা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) শিক্ষাক্রম থেকে বাদ পড়েছেন তিনি।
সোমার বোন শায়লা বাংলানিউজকে আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইবিএ পড়াশোনার সুযোগ হারানোয় শুধু পড়াশোনার ক্ষেত্রে বড় ক্ষতিই নয় সামাজিকভাবেও হেয় হতে হচ্ছে সোমা ও আমাদের পরিবারকে।
তিনি বলেন, বিষয়টি প্রকাশ্য হওয়ায় আমরা এক কঠিন বিপদে পড়ছি। কারণ মেয়েদের প্রতি সমাজে কি দৃষ্টিভংগী তা সকলেরই জানা।
সাদিয়া আর্জুমান্দ বানু সোমা এখন লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা ২০১২ এর সেরা ৫ এ রয়েছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) ১৮ ব্যাচের বিবিএর ছাত্রী ছিলেন।
শায়লা আরজুমান্দ বানু আরও বলেন, আমি নিজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি। এখন শিক্ষকতা করছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র মতো প্রতিষ্ঠানে পড়া বাংলাদেশের সবার কাছে স্বপ্নের মতো। কিন্ত আমার বোনের সামান্য ভুল আর লাক্স- চ্যানেল আই প্রতিযোগিতার আয়োজকদের একগুয়েমির কারণে আমার বোন ঝরে পড়লো।
সোমার বাবা সাধারন চাকুরীজীবি আনোয়ারুল ইসলাম আর মা জরিনা ইসলাম এখন মেয়ের চিন্তায় অস্থির। তারা মিরপুরের শ্যাওড়াপাড়ায় থাকছেন। মেয়ের এই খবর জানার পর তারা কারো সাথে কথা বলছেন না।
ঢাকার আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২০০৭ সালে জিপিএ-৫ নিয়ে এসএসসি এবং ২০০৯ সালে জিপিএ-৫ নিয়ে এইচএসসি পাস করেন সোমা। ভর্তি পরীক্ষায় যোগ্যতার প্রমাণ রেখে পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএতে ভর্তি হন।
সোমার বড়বোন বলেন, আমার বোন পঞ্চম শ্রেণীতে মতিঝিল জোনে একমাত্র ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিলো। সে ছোটবেলা থেকেই মেধাবী।
এদিকে, বাংলানিউজে সোমার এই খবর প্রকাশ হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন। তারা এভাবে একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন ধ্বংস করাটাকে কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। তারা এজন্য ইউনিলিভারের এই অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করেছেন। তাদের মতে লাক্স–চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীন আচরনের বলি হতে হলো মেধাবী ছাত্রী সোমাকে। সোমার মত আর কারো যেন এ ধরনের সর্বনাশ না হয় এজন্য প্রশাসনের প্রতি ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তারা ।
প্রসঙ্গত, শিক্ষাক্ষেত্রে একাধিক নিয়ম ভঙ্গ করায় আইবিএ কর্তৃপক্ষ সোমাকে ড্রপ আউট হিসেবে চিহ্নিত করে নোটিশ দেয়। সোমা পুনরায় আইবিএতে ছাত্রত্ব রক্ষার আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ তার আবেদন নাকচ করে। ফলে সে আইবিএর বিবিএর ছাত্রত্ব হারায়। পরে আইবিএর নোটিশ বোর্ডে এ সংক্রান্ত নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, বাংলানিউজে সোমার এই সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর ফেসবুক, ব্লগসহ বিভিন্ন সামাজিক ওয়েবসাইটেও এ ব্যপারে তীব্র প্রতিক্রিয়া এবং আলোচনা চলছে। অনেকেই তাদের আপনজন এবং পরিচিতরা কিভাবে এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সর্বস্ব খুইয়েছেন তা জানিয়ে বাংলানিউজের সাথে যোগাযোগ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঠিক কোন পরিস্থিতিতে সোমা তার ছাত্রত্ব হারিয়েছেন সেসব তথ্যও বাংলানিউজের হাতে পৌঁছেছে।
No comments