পর্যাপ্ত প্রচার না হওয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের- ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণ কার্যক্রমে আশানুরূপ সাড়া নেই by সুমনকুমার দাশ
জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত প্রচারের অভাবে সিলেটে ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণ কার্যক্রমে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে নতুন ভোটার তালিকায় নাম নিবন্ধন করা থেকে অনেকেই বঞ্চিত হতে পারেন। ভোটার হতে ইচ্ছুক ব্যক্তি ও তথ্য সংগ্রহকারীদের অনেকেই এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, এ আশঙ্কা প্রত্যাখ্যান করে নগরের ২৭টি ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত প্রচারণা চালানোর দাবি করেছেন নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, ২৬ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিটি ওয়ার্ডে তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের নাম নিবন্ধন করেন। তবে সব ওয়ার্ডে শতভাগ নিবন্ধনের কাজ শেষ না হওয়ায় তালিকাভুক্তির সময় আরও তিন দিন বাড়ানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, ১ নম্বর ওয়ার্ডের নিবন্ধন শেষ হওয়ায় শুক্রবার থেকে ছবি তোলার কাজ শুরু হয়। অন্যান্য ওয়ার্ডের নিবন্ধনকারী ব্যক্তিদের ছবি তোলার কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রে ১ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যায়ক্রমে শুরু হয়ে গেছে। সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার নগরের কয়েকটি ওয়ার্ডের পাড়া-মহল্লায় ঘুরে জানা গেছে, অনেক বাড়িতেই তথ্য সংগ্রহকারীরা যাননি। তাই ভোটার হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। নগরের টিলাগড় এলাকার বাসিন্দা মনির হোসেন বলেন, ‘আমার বাসায় এখনো কোনো তথ্য সংগ্রহকারী আসেননি। এ ছাড়া ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম চলছে, সেটাও তো জানি না। নির্বাচন কমিশনের কোনো প্রচারণাও আমার চোখে পড়েনি।’ ভোটারদের তথ্য সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা জানান, প্রয়োজনের তুলনায় প্রচারণা অনেক কম হওয়ায় বিভিন্ন বাসার লোকজন তথ্য সংগ্রহকারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছেন। অনেক ক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহকারীরা নাজেহালও হচ্ছেন। তাই ব্যাপক প্রচার কার্যক্রম চালিয়ে ভোটারদের সচেতনতা আরও বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তথ্য সংগ্রহকারী বলেন, একজন ভোটারের নিবন্ধন করতে হলে একটি ফরমের ৪৬টি তথ্য পূরণ করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় মাত্র তিন দিনের মধ্যে একটি পাড়ার সব বাড়িতে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই সময় আরও বাড়ানো উচিত, নতুবা অনেকেই ভোটার তালিকায় নাম তালিকাভুক্ত করা থেকে বঞ্চিত হবেন।
নগরের যতরপুর এলাকায় তথ্য সংগ্রহের কাজ করছেন দুর্গাকুমার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শিপ্রা রানী নাথ। তিনি বলেন, ‘ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাম তালিকাভুক্ত করছি। এত বাড়িতে স্বল্প সময়ে যেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে ঠিক, তবে নিজের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে আন্তরিকভাবে কাজ করছি।’ ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. রেজাউল হাসান লোদী কয়েস জানান, একজন তথ্য সংগ্রহকারী জানেন না কোন বাসায় নতুন ভোটার রয়েছেন। তাই গণহারে বিভিন্ন বাসায় তাঁরা যাচ্ছেন। আবার নতুন ভোটার হতে ইচ্ছুক কোনো ব্যক্তিও জানেন না কখন তথ্য সংগ্রহকারীরা তাঁর বাসায় আসবেন। এতে অনেক সময় যখন তথ্য সংগ্রহকারী বাসায় আসেন, তখন ভোটার থাকেন না। আবার যখন ভোটার বাসায় থাকেন, তখন তথ্য সংগ্রহকারী যান না। তিনি বলেন, এ অবস্থায় একটি নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট স্থানে ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ হলে সবাই কাগজপত্র নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে নাম নিবন্ধন করতে পারতেন। আর এখন যেটা হচ্ছে, সেটা মোটেই যথাযথ প্রক্রিয়া নয়। এভাবে সঠিক ভোটার তালিকা প্রণয়নে কতটুকু সফলতা আসবে, সেটা অবশ্যই ভাবার বিষয়।
জেলা নির্বাচন অফিস জানিয়েছে, ২৭টি ওয়ার্ডকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণের কাজ চলছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা প্রচার-প্রচারণা থেকে শুরু করে ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহকারীদের সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় করছেন। এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রচারণায় আমাদের কোনো ঘাটতি নেই। মাইকিং থেকে শুরু করে পুরো নগরে ১০ থেকে ১২ হাজার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এটা এ নগরের জন্য পর্যাপ্ত প্রচারণা। এ ছাড়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহকারীরা নাম তালিকাভুক্ত করে আসছেন। তাই কারও বাদ পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, ২৬ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিটি ওয়ার্ডে তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের নাম নিবন্ধন করেন। তবে সব ওয়ার্ডে শতভাগ নিবন্ধনের কাজ শেষ না হওয়ায় তালিকাভুক্তির সময় আরও তিন দিন বাড়ানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, ১ নম্বর ওয়ার্ডের নিবন্ধন শেষ হওয়ায় শুক্রবার থেকে ছবি তোলার কাজ শুরু হয়। অন্যান্য ওয়ার্ডের নিবন্ধনকারী ব্যক্তিদের ছবি তোলার কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রে ১ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যায়ক্রমে শুরু হয়ে গেছে। সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার নগরের কয়েকটি ওয়ার্ডের পাড়া-মহল্লায় ঘুরে জানা গেছে, অনেক বাড়িতেই তথ্য সংগ্রহকারীরা যাননি। তাই ভোটার হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। নগরের টিলাগড় এলাকার বাসিন্দা মনির হোসেন বলেন, ‘আমার বাসায় এখনো কোনো তথ্য সংগ্রহকারী আসেননি। এ ছাড়া ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম চলছে, সেটাও তো জানি না। নির্বাচন কমিশনের কোনো প্রচারণাও আমার চোখে পড়েনি।’ ভোটারদের তথ্য সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা জানান, প্রয়োজনের তুলনায় প্রচারণা অনেক কম হওয়ায় বিভিন্ন বাসার লোকজন তথ্য সংগ্রহকারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছেন। অনেক ক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহকারীরা নাজেহালও হচ্ছেন। তাই ব্যাপক প্রচার কার্যক্রম চালিয়ে ভোটারদের সচেতনতা আরও বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তথ্য সংগ্রহকারী বলেন, একজন ভোটারের নিবন্ধন করতে হলে একটি ফরমের ৪৬টি তথ্য পূরণ করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় মাত্র তিন দিনের মধ্যে একটি পাড়ার সব বাড়িতে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই সময় আরও বাড়ানো উচিত, নতুবা অনেকেই ভোটার তালিকায় নাম তালিকাভুক্ত করা থেকে বঞ্চিত হবেন।
নগরের যতরপুর এলাকায় তথ্য সংগ্রহের কাজ করছেন দুর্গাকুমার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শিপ্রা রানী নাথ। তিনি বলেন, ‘ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাম তালিকাভুক্ত করছি। এত বাড়িতে স্বল্প সময়ে যেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে ঠিক, তবে নিজের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে আন্তরিকভাবে কাজ করছি।’ ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. রেজাউল হাসান লোদী কয়েস জানান, একজন তথ্য সংগ্রহকারী জানেন না কোন বাসায় নতুন ভোটার রয়েছেন। তাই গণহারে বিভিন্ন বাসায় তাঁরা যাচ্ছেন। আবার নতুন ভোটার হতে ইচ্ছুক কোনো ব্যক্তিও জানেন না কখন তথ্য সংগ্রহকারীরা তাঁর বাসায় আসবেন। এতে অনেক সময় যখন তথ্য সংগ্রহকারী বাসায় আসেন, তখন ভোটার থাকেন না। আবার যখন ভোটার বাসায় থাকেন, তখন তথ্য সংগ্রহকারী যান না। তিনি বলেন, এ অবস্থায় একটি নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট স্থানে ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ হলে সবাই কাগজপত্র নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে নাম নিবন্ধন করতে পারতেন। আর এখন যেটা হচ্ছে, সেটা মোটেই যথাযথ প্রক্রিয়া নয়। এভাবে সঠিক ভোটার তালিকা প্রণয়নে কতটুকু সফলতা আসবে, সেটা অবশ্যই ভাবার বিষয়।
জেলা নির্বাচন অফিস জানিয়েছে, ২৭টি ওয়ার্ডকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণের কাজ চলছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা প্রচার-প্রচারণা থেকে শুরু করে ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহকারীদের সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় করছেন। এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রচারণায় আমাদের কোনো ঘাটতি নেই। মাইকিং থেকে শুরু করে পুরো নগরে ১০ থেকে ১২ হাজার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এটা এ নগরের জন্য পর্যাপ্ত প্রচারণা। এ ছাড়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহকারীরা নাম তালিকাভুক্ত করে আসছেন। তাই কারও বাদ পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
No comments