ভিসি, প্রোভিসির পদত্যাগ দাবিতে আরেক দফা আল্টিমেটাম- তালা ভেঙ্গে অফিস দখল শিক্ষক নেতাদের ॥ ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারী মুখোমুখি বুয়েটে
উপাচার্য, উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতের আরেক দফা আল্টিমেটাম দিয়েছে বুয়েটের আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তারা প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান নিয়েছেন। আল্টিমেটাম অনুসারে আজ বেলা ১১টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।
ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি অবস্থানে দিনভর উত্তেজনা, তালা ভেঙ্গে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের অফিস শিক্ষক নেতাদের দখলে নেয়াসহ নানা ঘটনার মধ্যেই রবিবার বিকেলে কর্মসূচীর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। শিক্ষক সমিতির খোলস পাল্টে ‘বুয়েট পরিবার’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলন করছেন শিক্ষক নেতারা। তাদের দাবি, আমরা সমিতির নয়, ব্যক্তিগত উদ্যোগে আন্দোলন করছি আর শিক্ষার্থীদের বিষয়ে আদালতের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে এটাকে ভুল মন্তব্য বলে অভিহিত করেছেন উচ্চ আদালতে রিটকারী সুপ্রীমকোর্টের এ্যাডভোকেট ও অভিভাবক ড. ইউনুস আলী আকন্দ। একে আদালত অবমাননা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, মহামান্য আদালতের রায়ে স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভর্তিসহ একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর কথা।
এদিকে শিক্ষক নেতাদের একতরফা কঠোর অবস্থান অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোন ধরনের পদক্ষেপ না নেয়ায় বুয়েটে অচলাবস্থার কোন সমাধান হচ্ছে না। শিক্ষক সমিতির নেতারা তাদের অভিযোগের কোন ভিত্তি না থাকলেও শিক্ষার্থীদের স্বার্থের সেøাগান তুলে যে কোন মূল্যে দাবি আদায় করতে চাচ্ছেন। প্রয়োজনে এভাবেই বুয়েট অচল করে উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করবেন তাঁরা। অন্যদিকে অভিযোগের কোন সত্যতা না থাকা, নতুন করে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য নিয়োগের জন্য গ্রগতিশীলদের মধ্যে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির অভাব, সরকার ও আদালতকে হুমকি দিয়ে শিক্ষক নেতাদের চালানো কর্মকা-, আন্দোলনে মূল ব্যক্তিদের মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের সক্রিয় সদস্যদের জড়িয়ে পড়ার কারণে সরকারের অবস্থানও অনমনীয়। রবিবার পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল ১০টার দিকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ভবনের সামনে জড়ো হয়ে মিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বুয়েট পরিবারের ব্যানারে একটু পরেই একে একে এসে যোগ দেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। এ সময় তাঁরা অবিলম্বে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যের অপসারণ দাবি করে সেøাগান দেন এবং উপাচার্য, উপ-উপাচার্যের কুশপুতুল দাহ করেন। বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা মিছিল বের করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গেলে পুলিশ মিছিলটি থামিয়ে দেয়। পুলিশ আদালতের নির্দেশনা দেখিয়ে বলে, মিছিল করা যাবে না। তাহলে আদালত অবমাননা হবে। এ সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাধা নেই। পরে পুলিশ কিছুটা নমনীয় অবস্থান নিলে মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে আবারও প্রশাসনিক ভবনের সামনে যায়। সেখানেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। আর অফিসে অবস্থান না করলেও তাৎক্ষণিক পদত্যাগের দাবি নিয়ে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের অফিসে চলে যান শিক্ষক নেতারা। ভবনের দোতলায় উঠে নেতারা সেখানে শিক্ষার্থীদের চলে আসার আহ্বান জানান। এ সময় মিছিলসহকারে শিক্ষার্থীরা ভবনে প্রবেশ করেন। কিন্তু উপ-উপাচার্যের কক্ষ বন্ধ থাকায় পেছনের দরজার তালা ভেঙ্গে সেখানে প্রবেশ করেন কয়েকজন শিক্ষক। কিন্তু তালা ভাঙ্গার বিষয়টিতে নিজেরাই কিছুটা বিব্রত অবস্থায় পড়ে দ্রুত চলে যান উপাচার্যের অফিসে। অফিসে প্রবেশ করে শিক্ষক নেতারা রীতিমতো দখলে নিয়ে খোশমেজাজে অবস্থান করতে থাকেন এবং টেলিভিশন দেখতে থাকেন। একপর্যায়ে সেখানে শিক্ষার্থীরাও প্রবেশ করেন। এদিকে এতদিন নমনীয় অবস্থানে থাকলেও ঠিক এই সময়েই প্রকাশ্যে ‘জামায়াত-শিবির রাজাকার এই মুহূর্তে বুয়েট ছাড়’ হিযবুত তাহ্রীরের আস্তানা বুয়েটে থাকবে না; ইত্যাদি সেøাগান নিয়ে মিছিলসহকারে মাঠে নামে ছাত্রলীগ। আন্দোলনের বিপরীতে অবিলম্বে ক্লাস শুরুর দাবিতে মাঠে নামে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা সাদা টি-শার্ট গায়ে দিয়ে মিছিল শুরু করলে হঠাৎই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাদের টি-শার্টে লেখা ছিল ‘সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ ক্লাসকে আন্দোলনের বাইরে রাখুন।’ মিছিলে তারা সেøাগান দেয় ‘জামায়াত-শিবির রাজাকার এই মুহূর্তে বুয়েট ছাড়।’
আন্দোলনরতরা উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেÑ এমন খবর পেয়ে ছাত্রলীগকর্মীরা প্রশাসনিক ভবনের দোতলায় যেতে চাইলে শিক্ষক নেতারা ও শিক্ষার্থীরা তাদের বাধা দেয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। ছাত্রলীগকর্মীরা দরজা ভেঙ্গে উপরে যাওয়ার চেষ্টা করে ফেরার সময় আন্দোলনরতদের সমাবেশের মাইক কেড়ে নেয়। পরে শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে তারা মাইক ফেরত দেয়। শিক্ষক নেতা ড. হুমায়ূন কবির এ সময় বলেন, কিছু বহিরাগত হামলা করে আমাদের আন্দোলন নস্যাত করার চেষ্টা করছে। তবে আমরা ভীত নই। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব এবং উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচী চলবে। আন্দোলনরত শিক্ষকরা রবিবারও কালো রঙের টি-শার্ট পরে শিক্ষার্থীদের মিছিল-সমাবেশে যোগ দেন। তাদের টি-শার্টে লেখা ছিল ‘উপাচার্য উপ-উপাচার্যকে অপসারণ করুন।’ দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছিল কয়েক ঘণ্টা। একপর্যায়ে ছাত্রলীগকর্মীরা চলে গেলে তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই পরিস্থিতি শান্ত হয়। কিন্তু অবস্থান ছাড়েননি শিক্ষক নেতা ও আন্দোলকারী শিক্ষার্থীরা। বিকেল সাড়ে ৪টায় সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন, আগামীকাল (আজ সোমবার) বেলা ১১টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে। উপাচার্যের উদ্দেশে তাঁরা এই বলে হুমকি দেন, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার বিদায়ের জন্য রক্তপাতের প্রয়োজন হয়েছিল। এখানেও কি তাই চান? উল্লেখ্য, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালে সেখানে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়া হয়েছিল। মেয়াদের শেষ সময়ে ছাত্রলীগ ও শিবিরের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছিল। সেখানেও শিবিরের অবস্থান ছিল অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। যদিও শেষ পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই মেয়াদ শেষ হয়। এদিকে রাতের রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বুয়েট উপাচার্যের অফিস দখল করে বসে ছিলেন শিক্ষক সমিতির প্রথম সারির নেতারা। এদের মধ্যে ছিলেন সভাপতি অধ্যাপক মাকসুদ হেলালী, অধ্যাপক সারওয়ার জাহান, ড. মাহবুব রাজ্জাক ও তার স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া, ড. এহসান, ড. মাসুদ, হুমায়ুন কবীরসহ শিক্ষক আন্দোলনের প্রথম সারির নেতারা। ভবনের ভেতরে না থাকলেও বাইরে থেকে আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করছেন সভাপতি অধ্যাপক ড. মুজিবুর রহমান ও সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম।
এদিকে শিক্ষক নেতাদের একতরফা কঠোর অবস্থান অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোন ধরনের পদক্ষেপ না নেয়ায় বুয়েটে অচলাবস্থার কোন সমাধান হচ্ছে না। শিক্ষক সমিতির নেতারা তাদের অভিযোগের কোন ভিত্তি না থাকলেও শিক্ষার্থীদের স্বার্থের সেøাগান তুলে যে কোন মূল্যে দাবি আদায় করতে চাচ্ছেন। প্রয়োজনে এভাবেই বুয়েট অচল করে উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করবেন তাঁরা। অন্যদিকে অভিযোগের কোন সত্যতা না থাকা, নতুন করে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য নিয়োগের জন্য গ্রগতিশীলদের মধ্যে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির অভাব, সরকার ও আদালতকে হুমকি দিয়ে শিক্ষক নেতাদের চালানো কর্মকা-, আন্দোলনে মূল ব্যক্তিদের মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের সক্রিয় সদস্যদের জড়িয়ে পড়ার কারণে সরকারের অবস্থানও অনমনীয়। রবিবার পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল ১০টার দিকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ভবনের সামনে জড়ো হয়ে মিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বুয়েট পরিবারের ব্যানারে একটু পরেই একে একে এসে যোগ দেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। এ সময় তাঁরা অবিলম্বে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যের অপসারণ দাবি করে সেøাগান দেন এবং উপাচার্য, উপ-উপাচার্যের কুশপুতুল দাহ করেন। বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা মিছিল বের করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গেলে পুলিশ মিছিলটি থামিয়ে দেয়। পুলিশ আদালতের নির্দেশনা দেখিয়ে বলে, মিছিল করা যাবে না। তাহলে আদালত অবমাননা হবে। এ সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাধা নেই। পরে পুলিশ কিছুটা নমনীয় অবস্থান নিলে মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে আবারও প্রশাসনিক ভবনের সামনে যায়। সেখানেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। আর অফিসে অবস্থান না করলেও তাৎক্ষণিক পদত্যাগের দাবি নিয়ে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের অফিসে চলে যান শিক্ষক নেতারা। ভবনের দোতলায় উঠে নেতারা সেখানে শিক্ষার্থীদের চলে আসার আহ্বান জানান। এ সময় মিছিলসহকারে শিক্ষার্থীরা ভবনে প্রবেশ করেন। কিন্তু উপ-উপাচার্যের কক্ষ বন্ধ থাকায় পেছনের দরজার তালা ভেঙ্গে সেখানে প্রবেশ করেন কয়েকজন শিক্ষক। কিন্তু তালা ভাঙ্গার বিষয়টিতে নিজেরাই কিছুটা বিব্রত অবস্থায় পড়ে দ্রুত চলে যান উপাচার্যের অফিসে। অফিসে প্রবেশ করে শিক্ষক নেতারা রীতিমতো দখলে নিয়ে খোশমেজাজে অবস্থান করতে থাকেন এবং টেলিভিশন দেখতে থাকেন। একপর্যায়ে সেখানে শিক্ষার্থীরাও প্রবেশ করেন। এদিকে এতদিন নমনীয় অবস্থানে থাকলেও ঠিক এই সময়েই প্রকাশ্যে ‘জামায়াত-শিবির রাজাকার এই মুহূর্তে বুয়েট ছাড়’ হিযবুত তাহ্রীরের আস্তানা বুয়েটে থাকবে না; ইত্যাদি সেøাগান নিয়ে মিছিলসহকারে মাঠে নামে ছাত্রলীগ। আন্দোলনের বিপরীতে অবিলম্বে ক্লাস শুরুর দাবিতে মাঠে নামে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা সাদা টি-শার্ট গায়ে দিয়ে মিছিল শুরু করলে হঠাৎই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাদের টি-শার্টে লেখা ছিল ‘সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ ক্লাসকে আন্দোলনের বাইরে রাখুন।’ মিছিলে তারা সেøাগান দেয় ‘জামায়াত-শিবির রাজাকার এই মুহূর্তে বুয়েট ছাড়।’
আন্দোলনরতরা উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেÑ এমন খবর পেয়ে ছাত্রলীগকর্মীরা প্রশাসনিক ভবনের দোতলায় যেতে চাইলে শিক্ষক নেতারা ও শিক্ষার্থীরা তাদের বাধা দেয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। ছাত্রলীগকর্মীরা দরজা ভেঙ্গে উপরে যাওয়ার চেষ্টা করে ফেরার সময় আন্দোলনরতদের সমাবেশের মাইক কেড়ে নেয়। পরে শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে তারা মাইক ফেরত দেয়। শিক্ষক নেতা ড. হুমায়ূন কবির এ সময় বলেন, কিছু বহিরাগত হামলা করে আমাদের আন্দোলন নস্যাত করার চেষ্টা করছে। তবে আমরা ভীত নই। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব এবং উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচী চলবে। আন্দোলনরত শিক্ষকরা রবিবারও কালো রঙের টি-শার্ট পরে শিক্ষার্থীদের মিছিল-সমাবেশে যোগ দেন। তাদের টি-শার্টে লেখা ছিল ‘উপাচার্য উপ-উপাচার্যকে অপসারণ করুন।’ দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছিল কয়েক ঘণ্টা। একপর্যায়ে ছাত্রলীগকর্মীরা চলে গেলে তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই পরিস্থিতি শান্ত হয়। কিন্তু অবস্থান ছাড়েননি শিক্ষক নেতা ও আন্দোলকারী শিক্ষার্থীরা। বিকেল সাড়ে ৪টায় সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন, আগামীকাল (আজ সোমবার) বেলা ১১টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে। উপাচার্যের উদ্দেশে তাঁরা এই বলে হুমকি দেন, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার বিদায়ের জন্য রক্তপাতের প্রয়োজন হয়েছিল। এখানেও কি তাই চান? উল্লেখ্য, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালে সেখানে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়া হয়েছিল। মেয়াদের শেষ সময়ে ছাত্রলীগ ও শিবিরের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছিল। সেখানেও শিবিরের অবস্থান ছিল অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। যদিও শেষ পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই মেয়াদ শেষ হয়। এদিকে রাতের রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বুয়েট উপাচার্যের অফিস দখল করে বসে ছিলেন শিক্ষক সমিতির প্রথম সারির নেতারা। এদের মধ্যে ছিলেন সভাপতি অধ্যাপক মাকসুদ হেলালী, অধ্যাপক সারওয়ার জাহান, ড. মাহবুব রাজ্জাক ও তার স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া, ড. এহসান, ড. মাসুদ, হুমায়ুন কবীরসহ শিক্ষক আন্দোলনের প্রথম সারির নেতারা। ভবনের ভেতরে না থাকলেও বাইরে থেকে আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করছেন সভাপতি অধ্যাপক ড. মুজিবুর রহমান ও সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম।
No comments