'ইরাক যুদ্ধের জন্য বুশ-ব্লেয়ারের বিচার হওয়া উচিত'
ইরাক যুদ্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারকে আন্তর্জাতিক আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত বলে মনে করেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ডেসমন্ড টুটু। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই আর্চবিশপ গণবিধ্বংসী অস্ত্রের ব্যাপারে মিথ্যাচারের দায়েও অভিযুক্ত করেন সাবেক দুই
রাষ্ট্রনেতাকে। তাঁর মতে, ইরাকে পশ্চিমাদের সামরিক অভিযান বিশ্বকে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অধিক অস্থিতিশীল করে তুলেছে।
ব্রিটিশ পত্রিকা অবজারভারে গতকাল রবিবার প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ অভিমত দেন টুটু। ২০০৩ সালে ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যৌথ নেতৃত্বে চালানো অভিযানের কারণে সিরিয়ার বর্তমান গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। টুটু অভিযোগ করেন, ইরানকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে সম্ভাব্য নতুন সংঘাত তৈরির ক্ষেত্রও প্রস্তুত করা হচ্ছে।
চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে ব্লেয়ারের সঙ্গে এক মঞ্চে উঠতেও অস্বীকৃতি জানান প্রখ্যাত এই মানবাধিকারকর্মী।
টুটুর এ নিবন্ধের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ব্লেয়ার। ইরাক অভিযানের সপক্ষে জোরালো ভাষায় সাফাই গান তিনি। বলেন, 'গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। সেটি ভুল ছিল। এটি সেই একই বিতর্ক। অনেকবার এ নিয়ে কথা হয়েছে। নতুন করে বলার কিছু নেই।' ইরাকের কাছে 'ব্যাপক গণবিধ্বংসী অস্ত্র' থাকার দাবি করেন বুশ ও ব্লেয়ার। তবে পরবর্তী সময়ে তাঁদের দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। তত দিনে ধ্বংসের কিনারে পেঁৗছে যায় ইরাক। হাজারো মানুষের প্রাণহানি ঘটে। বুশ-ব্লেয়ারকে হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের জন্য সোপর্দ করতে এ প্রাণহানির সংখ্যা আমলে নেওয়াই যথেষ্ট বলে মনে করেন টুটু। 'যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের তৎকালীন নেতারা প্রকৃত পরিস্থিতি আড়াল করে আমাদের দূরে ঠেলে রাখেন। এখন ইরান ও সিরিয়া জুজুর ভয় দেখিয়ে তারা আমাদের খাদের কিনারায় এনে দাঁড় করিয়েছে' বলেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ প্রথার বিরুদ্ধে শান্তিকামী আন্দোলনকারী টুটুকে ১৯৮৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
ব্রিটিশ পত্রিকা অবজারভারে গতকাল রবিবার প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ অভিমত দেন টুটু। ২০০৩ সালে ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যৌথ নেতৃত্বে চালানো অভিযানের কারণে সিরিয়ার বর্তমান গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। টুটু অভিযোগ করেন, ইরানকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে সম্ভাব্য নতুন সংঘাত তৈরির ক্ষেত্রও প্রস্তুত করা হচ্ছে।
চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে ব্লেয়ারের সঙ্গে এক মঞ্চে উঠতেও অস্বীকৃতি জানান প্রখ্যাত এই মানবাধিকারকর্মী।
টুটুর এ নিবন্ধের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ব্লেয়ার। ইরাক অভিযানের সপক্ষে জোরালো ভাষায় সাফাই গান তিনি। বলেন, 'গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। সেটি ভুল ছিল। এটি সেই একই বিতর্ক। অনেকবার এ নিয়ে কথা হয়েছে। নতুন করে বলার কিছু নেই।' ইরাকের কাছে 'ব্যাপক গণবিধ্বংসী অস্ত্র' থাকার দাবি করেন বুশ ও ব্লেয়ার। তবে পরবর্তী সময়ে তাঁদের দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। তত দিনে ধ্বংসের কিনারে পেঁৗছে যায় ইরাক। হাজারো মানুষের প্রাণহানি ঘটে। বুশ-ব্লেয়ারকে হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের জন্য সোপর্দ করতে এ প্রাণহানির সংখ্যা আমলে নেওয়াই যথেষ্ট বলে মনে করেন টুটু। 'যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের তৎকালীন নেতারা প্রকৃত পরিস্থিতি আড়াল করে আমাদের দূরে ঠেলে রাখেন। এখন ইরান ও সিরিয়া জুজুর ভয় দেখিয়ে তারা আমাদের খাদের কিনারায় এনে দাঁড় করিয়েছে' বলেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ প্রথার বিরুদ্ধে শান্তিকামী আন্দোলনকারী টুটুকে ১৯৮৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments