আবার গ্রামীণ ব্যাংক-নিয়ন্ত্রণ যেন জটিলতার সৃষ্টি না করে
আবারও আলোচনার শীর্ষে গ্রামীণ ব্যাংক ও এর প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অনিয়ম তদন্তে নতুন করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের বিধি পরিবর্তন করা হয়েছে।
গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ ২০১২-এর খসড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন পেয়েছে। অন্যদিকে গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশেষ করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের বিধি পরিবর্তনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের এ নোবেল বিজয়ী।
গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ ২০১২-এর খসড়া অনুমোদনের আগে থেকে ব্যাংকটি একটি আইন বা নিয়মে পরিচালিত হয়ে আসছিল। গ্রামীণ ব্যাংক আইন করা হয় ১৯৮৩ সালে। এরপর ১৯৮৬ ও ১৯৯০ সালে এর সংশোধন করা হয়। গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সৃষ্ট সংকটের কারণে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এই সংশোধনী প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করে। আইনের ১৪ ধারার দুটি উপধারার তিনটি বিষয়ে সংশোধনী আনা হয়েছে। সংশোধনীগুলোর একটি হচ্ছে, এখন থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান সিলেকশন বোর্ডের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ করবেন। আগে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দিত সিলেকশন বোর্ড। অন্য সংশোধনীটি হচ্ছে, বর্তমান বিধানে সিলেকশন কমিটিতে প্যানেল করার কথা বলা নেই; কিন্তু সংশোধনীর মাধ্যমে এমডি নিয়োগে তিন সদস্যের একটি প্যানেল করার বিধান করা হয়েছে। তৃতীয় সংশোধনীটি হচ্ছে এমডির যোগ্যতাবিষয়ক। এমডিকে ব্যাংকিং, রুরাল ইকোনমি ও মাইক্রো-ফাইন্যান্সিংয়ের ওপর বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন হতে হবে। মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ব্যাংকটির ঋণগ্রহীতা মহিলা পরিচালকদের ক্ষমতা খর্ব করে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের কর্তৃত্ব বাড়ানোর সরকারি উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামীণ ব্যাংক রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সরকারের এ সিদ্ধান্ত ব্যাংকটিকে ধ্বংস করে দেবে বলে তিনি মনে করেন। অন্যদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী ব্যাংকটিতে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের জটিলতা দূর করতেই এ সংশোধনী আনা হয়েছে। উল্লেখ্য, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৬০ বছর অতিক্রম করার পরও গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে ছিলেন।
গ্রামীণ ব্যাংক একটি বিশেষায়িত ব্যাংক। দেশে ব্যাংকটি যেমন প্রত্যন্ত অঞ্চলে পরিচিতি পেয়েছে, তেমনি বিদেশেও ব্যাংকটির একটি ইতিবাচক অবস্থান তৈরি হয়েছে। এই ব্যাংকটিতে আস্থা স্থাপন করে গ্রামীণ জনপদে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছেন। একটি ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে। দেশে-বিদেশে পরিচিত গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর নতুন করে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে যেন নতুন কোনো জটিলতার সৃষ্টি না হয়, ব্যাংকটির অগ্রযাত্রা যেন ব্যাহত না হয়- সেদিকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে।
গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ ২০১২-এর খসড়া অনুমোদনের আগে থেকে ব্যাংকটি একটি আইন বা নিয়মে পরিচালিত হয়ে আসছিল। গ্রামীণ ব্যাংক আইন করা হয় ১৯৮৩ সালে। এরপর ১৯৮৬ ও ১৯৯০ সালে এর সংশোধন করা হয়। গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সৃষ্ট সংকটের কারণে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এই সংশোধনী প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করে। আইনের ১৪ ধারার দুটি উপধারার তিনটি বিষয়ে সংশোধনী আনা হয়েছে। সংশোধনীগুলোর একটি হচ্ছে, এখন থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান সিলেকশন বোর্ডের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ করবেন। আগে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দিত সিলেকশন বোর্ড। অন্য সংশোধনীটি হচ্ছে, বর্তমান বিধানে সিলেকশন কমিটিতে প্যানেল করার কথা বলা নেই; কিন্তু সংশোধনীর মাধ্যমে এমডি নিয়োগে তিন সদস্যের একটি প্যানেল করার বিধান করা হয়েছে। তৃতীয় সংশোধনীটি হচ্ছে এমডির যোগ্যতাবিষয়ক। এমডিকে ব্যাংকিং, রুরাল ইকোনমি ও মাইক্রো-ফাইন্যান্সিংয়ের ওপর বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন হতে হবে। মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ব্যাংকটির ঋণগ্রহীতা মহিলা পরিচালকদের ক্ষমতা খর্ব করে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের কর্তৃত্ব বাড়ানোর সরকারি উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামীণ ব্যাংক রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সরকারের এ সিদ্ধান্ত ব্যাংকটিকে ধ্বংস করে দেবে বলে তিনি মনে করেন। অন্যদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী ব্যাংকটিতে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের জটিলতা দূর করতেই এ সংশোধনী আনা হয়েছে। উল্লেখ্য, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৬০ বছর অতিক্রম করার পরও গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে ছিলেন।
গ্রামীণ ব্যাংক একটি বিশেষায়িত ব্যাংক। দেশে ব্যাংকটি যেমন প্রত্যন্ত অঞ্চলে পরিচিতি পেয়েছে, তেমনি বিদেশেও ব্যাংকটির একটি ইতিবাচক অবস্থান তৈরি হয়েছে। এই ব্যাংকটিতে আস্থা স্থাপন করে গ্রামীণ জনপদে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছেন। একটি ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে। দেশে-বিদেশে পরিচিত গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর নতুন করে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে যেন নতুন কোনো জটিলতার সৃষ্টি না হয়, ব্যাংকটির অগ্রযাত্রা যেন ব্যাহত না হয়- সেদিকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে।
No comments